অতিরিক্ত চিন্তা করার একটি প্রধান কারন হলো, সবকিছু ‘পারফেক্ট’ ভাবে করতে চাওয়া। আমরা অনেকেই কোনও কাজকে বিশেষভাবে করতে গিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করি আর এই কারনেই আমরা চাই কাজটি ‘সঠিক সময়ে’, ‘সেরা’ ফলাফল সহ করতে।
কিন্তু সত্যিকথা বলতে, আপনি যদি চিন্তা করে সময় পার করতে থাকেন, তবে সঠিক সময়টি কখনওই আসবেনা। আর একটি কথাও আমাদের মাথায় সব সময় রাখা উচিত-Nothing is so perfect
কোনও কাজ শুরু করার সেরা সময় আসলে আপনি যে মূহুর্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন – সেই মূহুর্তটাই।কেননা আপনার মনের মাঝে যে কাজ করার সিধান্ত তৈরি হয় সেটার অর্থ হলো- আপনার ঐ কাজে এখন পূর্ন মনযোগ আছে। এজন্য চিন্তা বাদ দিয়ে কাজে নেমে পড়া উচিত, আর চিন্তা করে কখনও সেরা ফলাফল বের করে আনা যায় না।
সেরা ফলাফল কখনও ভাবনার ফলাফল হতে পারে না – এটা আসলে কাজের ফলাফল। কাজে নামলে হয়তো আপনার ভুল হবে, কাজটি আপনার মনের মত হবে না। কিন্তু কাজ করতে থাকলে এক সময়ে না এক সময়ে সেই কাঙ্খিত ফলাফল আপনি পেয়েই যাবেন।
তবে আমার আবার এসব বলার মানে এই নয় যে, আপনি কোনওরকম চিন্তাভাবনা ছাড়াই বোকার মত যে কোনও কাজে ঝাঁপ দেবেন। অবশ্যই আপনাকে প্রতিটি কাজে নামার আগে চিন্তা ভাবনা করতে হবে। কিন্তু আপনাকে এটাও বুঝতে হবে কখন আপনি একই চিন্তা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করা শুরু করেছেন। এই চক্রটিই আসলে আমাদের কাজ করতে বাধা দেয়। কাজেই নিজের চিন্তার গতি ও পথকে আপনার নজরে রাখতে হবে।
প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় বরাদ্ধ রাখুন। যতটা কম সময়ে যতটা বেশি চিন্তা করতে পারবেন, সত্যিকার কাজের জন্য ততটাই সময় পাবেন। আর অতিরিক্ত চিন্তার বলয় থেকে বের হতে পারলে বেঁচে যাওয়া মেধা ও শক্তি দুটোই সত্যিকার লক্ষ্যটি পূরণে কাজে লাগবে। মনে রাখবেন, প্রতিটি দিনের জন্য আমাদের শরীর ও মনে একটি নির্দিষ্ট পরিমান শক্তি বরাদ্দ থাকে।
কাজেই অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত চিন্তা করে সেই শক্তি ক্ষয় করা মানে একটি দিন নষ্ট করা। আর সপ্তাহ, মাস আর বছর কিন্তু দিনেরই যোগফল।