অনেকেই কাজ গুছিয়ে করেন না বলাতে,অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে-গোছালো কাজ কিভাবে হবে?

আসলে এই ব্যাপারটা যার যার উপরে নির্ভর করে,আমি সর্বদায় সময়ে কাজে লাগানোর পক্ষ্যে,এবং ওয়ান বাই ওয়ান চিন্তা করে কাজ করার পক্ষ্যে,অন্তত প্রফেশনাল লাইফে।
একটা ব্যাপার মনে রাখা উচিত যে- প্রফেশনাল লাইফ আর পার্সোনাল লাইফ কিন্তু অনেক আলাদা,এটাকে মেনে নিয়েই কাজ করতে হবে আমাদের।
আমি সব সময় খুব সকালে কিংবা আগের দিন রাতেই আমার পরের দিনের কাজের একটা to do list বানিয়ে ফেলি।সেখানে মিটিং থেকে শুরু করে সবটাই উল্লেখ থাকে।
  • সকালে আমি ভোরে উঠে চেষ্টা করি সবাই ঘুম থেকে ওঠার আগেই আমার গতদিনের বুষ্টের হিসাব কমপ্লিট করতে,কোন পেজে বুষ্ট দিলাম,কত ডলার দিলাম,কোন আই্ডি থেকে দিলাম,পেমেন্ট পেলাম কিনা, কাজের স্ট্যাটাস এইগুলি চেক করে নিই।
  • এরপরেই আমি নিয়ম করে ব্যাংকের জন্য টাকাটা রেডি করে ফেলি।ডলারের বিল দিতে হবে বলেই এটা দ্রুত করতে হয়,আর দিনের টাকা দিনে ম্যানেজ না করলে দেখবেন টাকা এক জায়গায় হচ্ছেনা।
  • এরপরেই আমি ডোমেইন এর হিসাব নিয়ে বসি,এই হিসাব একইভাবে করে নিয়ে আমি যথারীতি টাকা আলাদা করে ডায়েরীতে নোট করে ফেলি।
  • এখনো আমি অফিসের খরচ আর বাসার খরচ লেখার জন্য ডায়েরী ব্যবহার করি,ডায়েরীতে ১ টাকা থেকে শুরু করে সকল খরচ আমি লিপিবদ্ধ করি।এইটাও দিনের টা দিনে করি,বাইরে গেলে Google Keeps এ এটাকে লিপিবদ্ধ করে রাখি,বাড়িতে এসেই আগে ডায়েরীতে তুলে ফেলি।
  • সারাদিনে আমাকে যেখানে যেখানে কন্টেন্ট লিখতে হবে এবং কোন টপিকে লিখবো সেটা নোট করে নেয়া থাকে,সেই অনুযায়ী লিখতে শুরু করি।
  • আজকে যেমন আমাদের নতুন অফিসের জন্য সম্পূর্ন নতুন করে একটা পেজ খুলেছি www.facebook.com/ictcare.com.bd নামে। সেখানে ২ ঘন্টা সময় দিয়ে সব সেটাপ মোটামুটি কমপ্লিট করেছি।
  • একটা করে কাজ শেষ করি আর মার্ক করে খাতা থেকে সেটাকে বাদ দিয়ে দিই,এইটা একটা দারুন অনুভূতি।
  • পেজে রিভিউ আসলে আমরা দিতে চাইনা,তাই একটা অফার দিয়ে রিভিউ চেয়েছি,এটাকে পিন পোষ্ট করে দিয়েছি,একটা ব্যানার ও ডিজাইন করেছি।
  • এখন ১ ঘন্টা যাচ্ছে এই গ্রুপে,এরপরে সময় দিব বিভিন্ন পেজে।
এইভাবেই আমি দিনের কাজ গোছাতে চেষ্টা করি,কাজের ভিড়ে মুলত পরিবারকে সময় দেয়া হয়ে ওঠে কম,তাই আমি বাসায় যেয়ে ছেলেকে একবেলা খাইয়ে দিতে চেষ্টা করি প্রতিদিন,এই সময়ে গল্পটাও হয়ে যায় ওর সাথে।
আমি খেলা দেখি যখন টিভিতে তখন,ছেলেকে পাশে নিয়ে নিই।এই সময়ে ও হয়তো খেলা করে আর আমার সাথে গল্প করে,আবার পড়ালেখা করাই ঐ সময়ে।আবার আমার সাথে খেলাও দেখে।
খাবার টেবিলে একসাথে খাওয়া হয়না বললেই চলে আমাদের,তাই আমি খাবার নিয়ে তার সামনেই যাই,বসে গল্প করি আর খাই।এইজন্যই বসি,কারন তার সাথে বসলে মোটামুটি পরিবারের সব খবর নেওয়া হয়ে যাবে।
যখন বাসায় কেউ থাকেনা,তখন তো আমাকে রান্না করেও খেতে হয় কিন্তু এইজন্য আমার কাজে কখনোই ব্যঘাত ঘটেনা,আলহামদুলিলাহ।আমি বাইরে থেকে বাসায় যেয়ে ড্রেস চেঞ্জ না করেই কিচেনে চলে যায়।
ভাত টা চাপিয়ে দিয়ে আমি ড্রেস চেঞ্জ করি এবং ফ্রেশ হয়ে এসে তরকারী নিয়ে কাজ শুরু করি।একদিকে ভাত হয়ে যায় আবার আমার তরকারীটাও রান্না হতে থাকে।আমি গরম ভাত খেতে পারিনা বিধায়,ভাতটা ঠান্ডা করতে দিয়ে তরকারী নামিয়ে কিছু সময় কাজের পিছনে দিয়ে নিই।
এইভাবেই আমি মাল্টটাক্সিং করে সময়কে কাজে লাগাতে চেষ্টা করি,আমি জানি আমি আপনাদের মত দক্ষ না হয়তো কিন্তু আমি আমার যা আছে,যেটুকু স্কিল আছে সেটাকে কাজে লাগাতে মোটেও পিছপা হইনা,অজুহাত দিই না।
পেযে কিভাবে গুছিয়ে কাজ করবেন সেটি নিয়ে লিখবো সময় করে।আপনি কি আপনার রুটিন করেছেন?

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *