আজ সকালেই আমার একটা পোষ্টে
মুহতারিমা রহমান সইতি
আপু জানতে চাইলেন ওনার আইডী ডিএকটিভ করবেন,
আমি কারন জানতে চাইলে জানালেন আত্নবিশ্বাস রেখে কাজ করা কঠিন তাই ব্রেক নিচ্ছেন।
আপু হয়তো মুখ ফুটে বলেছেন কিন্তু না বলা অনেকের ই এমন ই অবস্থা আছে বলেই আমি লিখতে বসে গেলাম এখন।
আমরা সবাই জানি, আত্মবিশ্বাসী মানুষ জীবনে সফল হয়। আত্মবিশ্বাস এবং
জয়ের মধ্যে প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। আত্মবিশ্বাস এমন একটি মানসিকতা যা সমস্ত
বিজয়ীদের মধ্যে একই রকম থাকে এবং জ্ঞান আত্মবিশ্বাসের অন্যতম ভিত্তি হিসাবে কাজ করে।
তারা নিজের সাথে অন্যদের তুলনা করে না
তারা নিজের সাথে নিজের তুলনা করে। গত কালকের চেয়ে আজকে কতটুকু উন্নত হয়েছে
এই তুলনা নিজের সাথে করে। তারা বিশ্বাস করে, অন্যের সাথে নিজের তুলনা করলে লাভের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনা বেশী থাকে।
কোন কাজ করার পরে তারা ইতিবাচক এবং আশাবাদী থাকে
যারা আত্নবিশ্বাসী তারা সর্বদা মনে করে যে, ভাল জিনিস তাদের সাথে ঘটবে।
আপনি ভালো পাচ্ছেন নাকি খারাপ সেই বিচারে যাবেন ই না।কারন সব সময় পজিটিভ কিছুকে সংগ্রহ করে নিন।
তারা দায়িত্ব সহকারে সাথে কথা বলে
দায়িত্ব সাধারনত জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে। এছাড়া জ্ঞান আত্মবিশ্বাসের অন্যতম ভিত্তি হিসাবে কাজ করে।
যারা আত্নবিশ্বাসী তারা দায়িত্ব নিতে ভুল করেন না কিংবা ভয় ও পান না।
আপনি কাজ শুরু করার পরে নেতিবাচক কথায় উপহার পাবেন এবং এটিকে ভুল প্রমানের দায়িত্ব ও আপনার হাতেই।
নিজের এবিলিটি সম্পর্কে জানেন তারা
তারা কি পারে এবং কি পারেন না তাও তারা জানেন।
তারা তাদের দুর্বলতা চেয়ে নিজেদের শক্তি উন্নত করতে বেশী পছন্দ করে।
আত্মবিশ্বাসী মানুষেরা যেই বিষয়ে জানে না সেই বিষয়ে কথাও বলতে চায় না।
তারা শিখতে পছন্দ করে
আত্মবিশ্বাসী মানুষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য তারা সব সময় শিখতে পছন্দ করে।
তারা বিশ্বাস করে জ্ঞান আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করে এবং অজ্ঞতা সন্দেহের জ্বালানী যোগায়।
সব সময় শেখার আগ্রহ থাকলে নিজেকে জানা যায় এবং অন্যকে আরো ভালোভাবে জানা যায়।
লোক দেখানো কাজ করেন না তারা
তারা কাউকে দেখানোর জন্য কিছু করে না এবং কোন ব্যাখ্যা ছাড়া “না” বলতে পারে।
তারা অন্যকে ইমপ্রেস করার জন্য মোটেই চিন্তা করে না।
স্পষ্টভাষী না হতে পারলে কিভাবে আগাবেন আপনি?
যেকোন চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পায় তারা
আত্মবিশ্বাসী মানুষের অন্যতম বৈশিষ্ট্য তারা আবেগগতভাবে Balanced এবং তারা কোনও চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পায় না।
এর কারন চ্যালেঞ্জ নিতে না পারলে কোন কাজে সফলতা আসে না।
কমফোর্ট জোনের বাইরে যেয়ে কাজে ভয় পান না
তারা কমফোর্ট জোনে থাকতে চায় না, কেননা তারা বিশ্বাস করে কমফোর্ট জোনে সফলতা আসে না।
আরোও পড়ুন – কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে কাজ করার কারন
তারা স্থির বুদ্ধিসম্পন্ন
আত্মবিশ্বাসী মানুষেরা খুব সহজেই তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে না,
তারা না জেনে বুঝে কোন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে না।
কথায় নয়, কাজে জবাব দিতে পছন্দ করেন
আত্নবিশ্বাসী মানুষ কথায় জবাব না দিয়ে কাজে জবাব দেন, এটা আসলে পরীক্ষার বিষয়।
আমি যা আলোচনা করছি সেগুলি আপনাকে পর্যবেক্ষন করেই বের করতে হবে।
নিজের মাঝে কি আছে আর কি নেই দেখে জাজ করুন নিজেই নিজেকে যে আপনি কতটুকু আত্নবিশ্বাসী।