আপনার উদ্যোগের সফলতায় জানতে হবে যে বিষয়গুলো –

বর্তমানে আমাদের দেশে ব্যবসা করার চেয়ে চাকরি করা তুলনামূলক বেশ সহজ যদিও আবার চাকরি খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমার লেখায় এই একটা লাইন পড়ে অনেকেই আমায় নিয়ে আবার অনেক কিছু বলে ফেলতে পারেন। কিন্তু বাস্তব সত্য এটায়।
World Bank, প্রতি বছর একটি তালিকা করে, সেই তালিকার নাম “Ease of Doing Business”.
এই তালিকায় মূলত কোন দেশ বেশী ব্যবসা বান্ধব এবং কোন দেশে ব্যবসা শুরু করা সহজ তা প্রকাশ করে। এই ease of doing business index ২০২০ এ বাংলাদেশের অবস্থান ১৯০ দেশের মধ্যে ১৬৮তম।
এর সহজ মানে কি দাঁড়ায় বলেন তো?কমেন্টে জানাবেন।
আমাদের দেশের তুলনার ১৬৭ দেশ এগিয়ে আছে, যেখানে ব্যবসা করা সহজ। তবে আমরা এটাও আশা করতে পারি যে সামনের বছর গুলিতে এই তালিকায় পরিবর্তন আসবে আমাদের উদ্যোক্তাদের জন্য।
আমাদের দেশে যে নতুন ব্যবসা শুরু হচ্ছে না তা কিন্তু নয়, প্রতিদিন নতুন নতুন উদ্যোক্তারা ব্যবসার ধারনা নিয়ে আসলেও সফলতার হার খুবই সামান্য, কিন্তু কেন?
আজকে আমি উদ্যোগে সফলতা আনতে পারে এমন কিছু পয়েন্ট নিয়ে বলবো আর বিস্তারিত আলোচনা করবো আস্তে আস্তে।
➡️ ব্যাবসা কে ব্যাবসা না ভেবে সেবা বা সার্ভিস ভাবুন |
➡️ ব্যাবসা নয়, কাষ্টমার দের সমস্যার সমাধান করুন|
➡️ সুযোগের অপেক্ষায় থাকুক রাতারাতি হবে এমন চিন্তা থেকে সরে আসুন।
➡️ গ্রাহকদের বা কাষ্টমারদের গুরুত্ব দিন সর্বাধিক মৌখিক নয়, লিখিত বিজনেস প্ল্যানে গুরুত্ব দিন নিজের কর্মী থেকে শুরু করে আপনার উদ্যোগে জড়িত দের পরিবারের ন্যায় ভাবুন।
➡️ লক্ষ্য কে স্থির করুন এবং সেটি বড় করে।
➡️ একটি বড় লক্ষ্য কে ছোট ছোট সাইকেল ভেদে ভেঙে কাজ করুন ছোট ছোট অর্জন কে প্রাধান্য দিন।
➡️ নিজের কমিউনিটি বা নেটওয়ার্ক তৈরি করুন নিজেকে নতুন কিছুর সাথে পরিচয় করাতে ভয় পাবেন না নিজের জন্য সময় রাখুন এবং নিজেকে সময় দিন।
➡️ মার্কেটিং পরিকল্পনায় জ্বোর দিন|
➡️ বিনিয়োগের টাকা কে ভাগ করে করে বিনিয়োগ করুন |
➡️ সক্ষমতা থাকলে একাই ব্যাবসা করুন এবং পার্টনারশিপ এড়িয়ে চলুন|
➡️ প্রতিযোগীদের শত্রু ভাববেন না, সামনে রাখুন তাদের খোঁজ রাখুন যেকোন সিধান্ত নেবার আগে পিজিটিভ ও নেগেটিভ ভাবুক।
➡️ ঝুঁকি নেবার আগে গভিরতা অনুধাবন করুন।
➡️ পজিটিভ সার্কেল তৈরি করুন এবং তাদের সাথেই আলোচনা করুন।
➡️ বিজনেসে কোন অংশের গুরুত্ব বেশি সেটি ডিফাইন করেন ইনভেষ্ট করুন নতুন উদ্যোক্তা কিংবা পুঁজি কম বলে নিজেকে ছোট না ভেবে বরং বাজেট ধরে ধরে কথা বলুন এক্সপার্ট দের সাথে।
➡️ উদ্যোগের নাম নির্বাচনে সচেতন হউন, প্রয়োজনে আলোচনা করুন।
➡️ সর্বোপরি নিজের উপরে কনফিডেন্স রাখুন।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *