আপনার মাঝে কি এই অভ্যাস গুলি রয়েছে ? এগুলি আপনাকে পিছিয়ে দিচ্ছে নিয়মিত।

✅ আপনি পরিকল্পনাকে যথেষ্ঠ দ্রুততার সাথে বাস্তবায়ন করেন না
বাস্তবায়ন করার মাঝেই আসল সাফল্য। আপনি হয়তো দারুন মেধাবী, এবং সেই মেধা দিয়ে হয়তো আপনি দারুন একটি পরিকল্পনা সাজিয়েছেন, কিন্তু যতক্ষণ না আপনি সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবে রূপ দিচ্ছেন – ততক্ষণ কিছুই হবে না। আপনার মত অনেকেই হয়তো একই রকমের উদ্যোগের পরিকল্পনা করেছে। এই অনেকের মধ্যে যে সবচেয়ে দ্রুত সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে – সেই সফল হবে। সেটা আপনি হতে পারেন যদি সবার চেয়ে দ্রুত কাজে নামতে পারেন।
স্বপ্ন দেখলেই সফল উদ্যোক্তা হওয়া যায় না। সেরা উদ্যোক্তা তারাই, যারা দ্রুততার সাথে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে।
✅ আপনি অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় নষ্ট করছেন
ব্যস্ত থাকাটাই ভবিষ্য‌ৎ সাফল্যের নিশ্চয়তা দেয় না। এমনকি ব্যস্ত থাকার মানে সব সময়ে ‘কাজের কাজ’ করাও নয়। ব্যস্ততা তখনই ভাল যখন আপনি সঠিক কাজে ব্যস্ত থাকেন। অনেক সময়েই উদ্যোক্তারা দারুন ব্যস্ত হয়ে পড়েন, কিন্তু তারা বুঝতে পারেন না যে তারা আসলে অপ্রয়োজনীয় কাজে সময় নষ্ট করছেন। প্রথমে পরিস্কার হোন যে কাজটি আপনি এখন করছেন, তা কেন করছেন। এরপরই আপনার ব্যস্ত হওয়া সাজে।
✅ আপনি আর্থিক লাভের দিকে যথেষ্ঠ মন দিচ্ছেন না
একথা সত্যি যে যদি শুধু টাকার পেছনে ছোটেন, তবে অভাবনীয় সাফল্য পাবেন না। আপনাকে ছুটতে হবে “প্যাশন” এর দিকে। তবে আর্থিক লাভের দিকে আপনাকে যথেষ্ঠ মনযোগ দিতেই হবে। অর্থ না থাকলে ব্যবসাও থাকে না। হ্যাঁ, একটি নতুন উদ্যোগকে দাঁড় করাতে গেলে অর্থের বাইরেও আপনাকে প্রতিষ্ঠানের কাজের পরিবেশ সহ অন্য সবকিছুর প্রতি যত্নশীল হতে হবে। কিন্তু আপনি যদি দেখেন অর্থের ব্যাপারটি ধীরে ধীরে গুরুত্ব হারাচ্ছে, তবে ধরে নিন আপনার ব্যবসা আর বেশিদিন টিঁকবে না। এটি অনেক বড় একটি সতর্ক সংকেত।
আর্থিক লাভ যে কোনও ব্যবসার একটি প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচি‌ৎ। শেষ পর্যন্ত এটাই আপনার সাফল্যের মাপকাঠি। এই অর্থের কারনেই আপনি ও আপনার সাথের সবাই কাজ করছে। কাজেই আর্থিক লাভের থেকে মনযোগ সরাবেন না। দীর্ঘ সময় লাভ না আসলে যে কোনও ব্যবসাই বন্ধ হয়ে যেতে বাধ্য। নগদ পুঁজি আপনার ব্যবসাকে চলমান রাখবে। পুঁজি শেষ তো ব্যবসাও শেষ। কাজেই আপনার পুঁজির ভান্ডারের দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন, সেটা যেন কখনওই একেবারে খালি না হয়ে পড়ে।
✅ আপনার পুঁজির ভান্ডার শেষ হয়ে যাচ্ছে
প্রতিটি উদ্যোগের পেছনেই কিছু না কিছু পুঁজি বিনিয়োগ করতে হয়। ইংরেজীতে ‘রানওয়ে’ বলে একটি ব্যবসায়িক টার্ম আছে। ব্যবসার পুঁজি শেষ হওয়ার আগে যে সময়টি আপনার হাতে থাকে তাকেই রানওয়ে বলে। প্লেন ওড়ার আগে যেমন নির্দিষ্ট পরিমান রাস্তা বা পায়, তারপর তাকে উড়তেই হয় – তেমনি ব্যবসার পুঁজি শেষ হয়ে গেলেও ব্যবসা গোটাতেই হয়। তাই এই ‘রানওয়ের’ দিকে সব সময়ে খেয়াল রাখবেন। রানওয়ে শেষ হয়ে আসতে দেখলে নতুন করে পুঁজি জমানোর দিকে মনযোগ দিন। এবং নিশ্চিত করুন শেষ হওয়ার আগেই যেন সেখানে নতুন পুঁজি যোগ হয়। প্লেন একবার রানওয়ে ছেড়ে উড়ে গেলে আবার তাকে ফিরিয়ে আনা দারুন কঠিন হয়ে পড়ে। আর নতুন পুঁজি যোগাড় করতে যদি অনেক বেশি সময় পার হয়ে যায়, তবে আপনাকে আবার সব নতুন করে শুরু করতে হতে পারে। আপনি যদি এই ব্যাপারে সতর্ক না হন, তবে আপনার উদ্যোগ ব্যর্থ হতে বাধ্য। কত টাকা আপনার হাতে আছে, এবং কতটা সময় আপনার কাছে আছে – দু’টো সম্পর্কেই আপনার স্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে। যে পরিমান পুঁজি আপনার হাতে আছে, তা দিয়ে আরও অর্থ আয় করার চেষ্টা করতে হবে। পরিকল্পনা এমন হতে হবে, যে বিপদের সময়ে যেন কিছু অর্থ আপনার হাতে থাকে। না থাকলেই বিপদ।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *