সন্ধ্যা ৬ টা আর সকাল ৬ টা ছিলো ঘড়ির কাটার সবচেয়ে কঠিন মুহুর্ত্বগুলির একটি।সন্ধ্যা ৬ টা কিংবা মাগরিবের আযানের আগেই বাড়িতে ফেরা আর সকাল ৬ টার আগেই ঘুম থেকে উঠে প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়া।
সকালের খাবারের জন্য বাড়িতে এসে একটু খেয়েই আবার চলে যাওয়া স্কুলে,টিফিন পিরিওডে না খেয়ে বরং মাঠ দাপিয়ে খেলার দিকেই নজর ছিলো বেশি।
স্কুল ছুটি হলেই বাড়িতে কোন রকম ব্যাগ রেখে একটু খেয়েই চলে যেতাম মাঠে,সারা মাঠ দাপিয়ে ক্রিকেট-ফুটবল আরো কত কি।সেই দিনগুলিতেই আনন্দ ছিলো।সেই সময় গুলিতেই মুলত আমাদের বিকাশ ঘটেছে মেধার।তখন সব সময় ভাবতাম- কবে এই সন্ধ্যা ৬ টার আগে বাড়ী ঢোকার নিয়মটা চেঞ্জ হবে?
কবেই বা সকাল সন্ধ্যা পড়তে বসার কথা শোনাটা বন্ধ হবে?
দিন গড়িয়ে মাস,আবার মাস গড়িয়ে বছর চলে গেছে।আমরা সকলেই বড় হয়েছি বয়সের ভারে।একইসাথে পরিবর্তন হয়ে গেছে সকল নিয়মের।কিন্তু না দেখা সুখ আসেনি,এটাই সত্যি।
এখন, কোন বিধি নিষেধ নেই,সেই জেনারেশনটাও নেই।এখন সকলেই ব্যাস্ত থাকে মোবাইল গেমস আর ল্যাপটপে ইংরেজি সিনেমা আর ফানি ভিডিও নিয়ে। এটাই বাচ্চাদের বিনোদন।
চারদেয়ালের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সংসারে থাকছেনা একান্নবর্তী পরিবারের ছোঁয়া, যে কারনে বিদ্ধাশ্রমগুলিতেই ছড়িয়ে গেছে মায়া।
এই কথাগুলি কেন আজ মনে হচ্ছে জানেন?
আমাদের কর্মফল আর অভ্যাস গুলির দিকে তাকিয়ে।রাত ১০ টা কিংবা তার আগে ঘুমানোর পরিবর্তে,আমাদের সন্ধ্যা হচ্ছে রাত ১০ টাই।আর ঘুমাতে যেয়ে গভীর রাত,যখন আসলে মুলত ঘুম থেকে ওঠার সময়।
সকালে থাকছে সারা বাড়িই ঘুমে আচ্ছন্ন কিংবা ঘুম ঘুম চোখে উঠে নাস্তা বানাতে চাওয়া। আসলে জীবনের সঠিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে গেলে আমাদেরকে কিছু জিনিসে পরিবর্তন নিয়ে আসাটা সত্যিই খুব জরুরী।
-
নিজ নিজ ধর্মের উপাসনা করা
-
যতটা দ্রুত সম্ভব ঘুমাতে যাওয়া
-
যতটা দ্রুত সম্ভব ঘুম থেকে ওঠা
-
পরিবারে সকল বয়স্কদের প্রাধান্য দেয়া
-
সন্তানকে সঠিকভাবে সময় দেয়া
-
জীবনের প্রয়োজনে নিজেকে বদলে ফেলতে কষ্ট হলেও বদলে ফেলাই ভালো।
-
নিয়মিত বই পড়ুন,এবং বাড়িতেই ছোট্ট লাইব্রেরী তৈরি করুন।
-
সবাই বন্ধু হয়না
-
যে ভালোবাসায় সুখ মেলেনা সেখান থেকে বিচ্ছেদ ঘটানো ভালো।
-
যেটাই করছেন সেটাকে ভালোবেসে করুন
-
যেভাবে আপনি আপনার জীবন কাটাচ্ছেন এবং আপনার পরিবারকে গড়ছেন,সেটিই আপনার কাছে ফিরে আসবে ভবিষ্যতে।
-
কোথাও মুল্যহীন হবার আগেই সেখান থেকে সরে আসুন
পৃথিবীর নিয়ম বড়ই আজব,এখানে- “যার টাকা আছে তার মন নেই,আর যার মন আছে তার টাকা নেই”।
মোঃ সৌভিকুর রহমান
শিক্ষক (কম্পিউটার বিভাগ)
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
আমার কাজ- লোগো ডিজাইন,ব্যানার ডিজাইন,বিজনেস কার্ড ডিজাইন,ফেসবুক পেজ ডেকোরেশন,ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডিজাইন,পেজ প্রমোট ও বুষ্টিং,কন্টেন্ট রাইটিং,ভিডিও এডিটিং, সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট এবং প্রফেশনাল সিভি নিয়ে।
আমার পেজ- ICT CARE