আমাদের দেশটা যে কারনে ইউরোপ আর আমেরিকা হয়নি-
দুইদিন পর পরই রব উঠে যায় দেশে যে, দেশটা কেন ইউরোপ বা আমেরিকা হলোনা?
দেশের সরকারের উপরে দ্বায় চাপিয়ে ফেসবুক দাপিয়ে এই আক্ষেপ দেখানো ছাড়া আদতে জাতি হিসাবে ঐ ইউরোপ – আমেরিকা আমরা ডিজার্ব ও করিনা।এর সবচেয়ে আল্টিমেট বিষয় হলো- “অজ্ঞতা” এবং সেই অজ্ঞতা কেউ ধরিয়ে দিলেও শুধরে না নেবার প্রবণতা।
ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ অনেক দেশে অনেক আগে থেকেই শপিং ব্যাগ কেনার নিয়ম চালু আছে। বিশেষ করে বড় সুপারশপ বা ব্র্যান্ড (H&M, Zara, Walmart, Aldi ইত্যাদি) কাস্টমারদের আলাদা করে ব্যাগ কিনতে বলে। কারণ—
১. পরিবেশ বান্ধব হওয়া (প্লাস্টিক কমানোর পাশাপাশি পুনঃব্যবহারযোগ্য ব্যাগে অভ্যস্ত করা)।
২. কাস্টমারকে সচেতন করা যে ব্যাগ আসলে একটি প্রোডাক্ট, “ফ্রি জিনিস” নয়।
৩. খরচও বাঁচানো হয় ব্র্যান্ডের, তবে আসল উদ্দেশ্য পরিবেশ সুরক্ষা দেখানো হয়।
বাংলাদেশে যেহেতু গ্রাহকরা এখনো “শপিং ব্যাগ ফ্রি” জিনিসটাই বেশি স্বাভাবিকভাবে আশা করে, তাই এটা অনেকের কাছে অস্বস্তিকর বা অদ্ভুত মনে হচ্ছে।
তবে গ্লোবাল ট্রেন্ড অনুযায়ী এটা মোটেও অস্বাভাবিক না—বরং অনেকটা দেরিতে চালু হলো বলা যায়।
আমাদের দেশের প্রধান সমস্যাগুলির একটা হলো- এই ফ্রী চাইবার বা পাবার মানসিকতা থাকা।
পৃথিবীর একমাত্র দেশ,যে দেশে নেগেটিভ প্রচারের প্প্র ঐ ব্রান্ডের ব্রান্ড ভ্যালু বেড়ে যায় এবং মানুষ উৎসাহ নিয়ে ঐ ব্রান্ডের ব্রান্ড ভ্যালু বাড়াতে চায়।
আজ একটা নেগেটিভ পোস্ট দিলে আপনার পরিচিতি যে লেভেলে বৃদ্ধি পাবে,সেটা আপনি সারাদিন পজিটিভ বলেও দেখাতে পারবেন না।
উদাহরণ হিসাবে তো দেখেন, সাকিব আল হাসান আর ইউনুস স্যার ই আছেন।
ক্রিকেট বোর্ড সাকিবের মেধাকে মুল্যায়ন করতে পারে নাই কারন,তাদের ঐ মেধা নাই আর ইউনুস স্যার কে আমরা মুল্যায়ন করতে পারিনাই,কারন আমাদের ঐ মেধা নাই।
আমি কোন কন্ট্রোভার্সির জন্য বলিনি জাস্ট রিয়েলিটি টা হলো- আমাদের জাতিগতভাবে ন্যাচার টাই এমন হয়ে গেছে যে,আমরা নেগেটিভিটি ছড়ানো আর সেই নিউজে যে আগ্রহ পাই,বাস্তবে পজিটিভিটিতে সেটা নাই।