বিশ শতকের শেষ ভাগে উন্নত দেশগুলোতে ডিজিটাল বিপ্লব শুরু হলেও একুশ শতকে এসে তা উন্নয়নশীলঅধিকাংশ দেশে ছড়িয়ে পড়ে। তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তির বিস্ময়কর এই সম্প্রসারণ বিশ্বে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আধুনিকতা ও নতুন মাত্রা নিয়ে এসেছে – যা ই-কমার্স নামে সমধিক পরিচিত।
বাংলাদেশে ২০০৯ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় তথ্য ও যোগযোগ প্রযুক্তির সুবিধা শহর ও গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ায় ই-কমার্স সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ই-কমার্স সাইটে অনলাইনে কেনাকাটার বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তৃণমূলের মানুষও ধীরে ধীরে এতে সম্পৃক্ত হতে শুরু করছে।
সেদিন হয়তো খুব বেশি দূরে নয় যেদিন আমাদের যেকোনো পণ্যও ই-কমার্সের কল্যাণে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের ক্রেতাই ঘরে বসে অর্ডার দিতে পারবেন। দ্রুত সময়ের মধ্যেই সেই পণ্য পৌঁছে যাবে ক্রেতার ঠিকানায়; লেনদেনেও থাকবে না কোনো অনিয়ম বা ভোগান্তি।
আমার আগের পোষ্ট গুলিতে আমি ই-কমার্স পরিচালনা নিয়ে লিখেছি, ইনশাআল্লাহ পড়লে বুঝবেন।
ই–কমার্স পরিচালনার জন্য বিপণন পরিকল্পনা গুলি দেখে নিতে পারি।
ই-কমার্স পরিচালনায় পণ্য সামগ্রী ক্রয় ও বিক্রয়ের জন্য একটি বিপণন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। কারণ, পণ্যের বিপণন কৌশলের ওপর ই-কমার্সের সাফল্য অনেকাংশে নির্ভরশীল।
বিপণন পরিকল্পনা বিভিন্নভাবে করা যেতে পারে:
১. গ্রাহক নিবন্ধন;
২. পণ্য উৎপাদনকারী নিবন্ধন;
৩. ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতাদের নিবন্ধন;
৪. ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন;
৫. স্বেচ্ছাসেবক টিম তৈরি;
৬. বিপণন টিম গঠন।