৪টার পর সকল প্রকার-কফি খাবেন না
লিওনের মতে, রাতের রুটিন আসলে রাতের আগেই শুরু হয়ে যায়। বছরের বেশিরভাগ সময় জুড়ে ৫টার আশেপাশে সন্ধ্যা লাগে। ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে আপনার কার্যক্রম ঘুমকে প্রভাবিত করে।
ক্যাফেইনের প্রভাব শরীরে ৬ ঘন্টা পর্যন্ত থাকে। আপনি যদি ৪টার পর চা-কফি খান, তবে তার প্রভাব রাত ১০-১১টা পর্যন্ত থাকে, যা আপনাকে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে বাধা দেবে। কাজেই, বিকেল ৪টার পর চা-কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সেইসাথে, কোমল পানীয়তেও ভালো মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে – তাই এগুলোও এড়িয়ে চলুন।
যথেষ্ঠ পানি পান করুন
বেশি রাতে বেশি পানি খাওয়া কিডনীর জন্য খারাপ। কিন্তু তাই বলে শরীরকে শুকনো রাখা যাবে না। এতে করে ঘুম ভালো হয়না এবং সকালে এনার্জিটিক থাকতে পারবেন না। কিডনীর ক্ষতি না করে শরীরে যথেষ্ঠ পানির যোগান রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হল বিকাল থেকেই শরীরে যথেষ্ঠ পানির যোগান দেয়া। বিকাল থেকে রাতের খাবার খাওয়ার আগ পর্যন্ত বেশি করে পানি খান।
দিনের কাজ সন্ধ্যার মাঝে শেষ করুন
একটি দিনে যত কাজ করার পরিকল্পনা করবেন – সেগুলো সন্ধ্যার পরপর শেষ করার চেষ্টা করুন। তারপর ফ্রি হয়ে যান, যাতে নিজের জন্য সময় রাখতে পারেন। দরকার হলে দিনের কাজ একটু আগে আগে শুরু করুন। কিন্তু তাকে বেশি রাত পর্যন্ত নিয়ে যাবেন না। এতে করে মাথা কাজের চিন্তা থেকে দ্রুত ফ্রি হবে। নিশ্চিন্ত গভীর ঘুমের জন্য এটা খুব জরুরী।
ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘন্টা আগ থেকে ধূমপান করবেন না
দিনের কাজ শেষে আমরা অনেকেই একটু আধটু বন্ধু বা কলিগদের সাথে সময় কাটাই। আর এই সময়টাতে চা-কফি বা হাল্কা নাস্তার সাথে ধূমপানও চলে। ধূমপান যে স্বাস্থ্যের জন্য দারুন ক্ষতিকর – এটা সবাই জানলেও, অনেকেই এটা করে থাকেন। আপনি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন – তবে সেটা অবশ্যই ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করবেন।
আর যদি তা না-ও করেন ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘন্টা আগে থেকে ধূমপান করা বন্ধ করুন। তাহলে আপনার মস্তিষ্ক এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকবে এবং ঘুম ভালো হওয়ার পাশাপাশি চিন্তাশক্তিও আরও ভালোভাবে কাজ করবে। এতে পরদিন সকালে উঠে আপনি অনেক বেশি সতেজ অনুভব করবেন।
মোঃ সৌভিকুর রহমান
শিক্ষক (কম্পিউটার বিভাগ)
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
আমার কাজ- লোগো ডিজাইন,ব্যানার ডিজাইন,বিজনেস কার্ড ডিজাইন,ফেসবুক পেজ ডেকোরেশন,ই-কমার্স ওয়েবসাইট ডিজাইন,পেজ প্রমোট ও বুষ্টিং,কন্টেন্ট রাইটিং,ভিডিও এডিটিং ও সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট নিয়ে।
আমার পেজ- ICT CARE