স্ক্যাম ২০২৩? বাইজুসের নজরকাঁড়া উন্নতি আর নাটকীয়ভাবে ধ্বসে পড়া
বাইজু রবীন্দ্রন প্রথমে ছোট ছোট ব্যাচে ক্যাট প্রিপারেশন করানো থেকে শিক্ষকতার পেশায় যুক্ত হন। তারপর একে একে বিভিন্ন ব্যাচ চালু করা, ২০ হাজার, ২৫ হাজার শিক্ষার্থীর সেশন এবং ২০১১ সালে বাইজু’স প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারতের শিক্ষাব্যবস্থায় বিরাট পরিবর্তন শুরু করেন বাইজু রবীন্দ্রন।
ভিডিও ক্লাসের যুগ না থাকা সত্ত্বেও সে সময় থেকেই বাইজু’স ভিডিওতে অত্যাধুনিক টেকনিক ব্যবহারের মাধ্যমে উপমহাদেশের চিরাচরিত মুখস্তবিদ্যা ছাড়া শিক্ষার চালু করে। ভারতের সর্ববৃহৎ এড-টেকে রূপান্তরিত হয় এবং বিভিন্ন নাকি দামী কোম্পানির সাথে শেয়ার এবং পার্টনারশিপ চালু হয়।
বাইজু রবীন্দ্রন এরপরে আরও দ্রুত বড় আকারের হওয়ার জন্যে বিরাট লোন নেয়, কিন্তু এখন সেই লোন আর পরিশোধ করতে পারছেন না। বাইজু’স প্রতিষ্ঠানে কাজ করা এম্প্লইরা তাদের কাজের টক্সিক পরিবেশ সম্পর্কে মুখ খোলে, সাথে এও বাইরে আসে যে তারা কোর্সে ভর্তির জন্য ডিসকাউন্টে অ্যাড দেয় তবে পরবর্তীতে ডিসকাউন্ট দেয় না।
এসবের পরে বর্তমানে ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানিগুলো বাইজু’সের প্রতি ইন্টারেস্ট দেখাচ্ছে না, আর প্রতিষ্ঠানটির লস বাড়ছেই। ২০২২ অর্থবছরে ৪৫০০ কোটি রুপির লস হয়।
সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী বাইজু’স তার এমপ্লয়িদের বেতন দিতে পারছে না, যারা কোম্পানি ছেড়ে দিচ্ছে তাদের সেটেলমেন্টের টাকা দিতে পারছে না, এমনকি বর্তমানে অফিসের বিল পর্যন্ত দিতে পারছে নাহ। এইভাবে বাইজু’সের ধ্বস আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনে দিনে।