আসুন একটু অভিজ্ঞতা শেয়ার করি- লেখাপড়ার অনিহার জন্য কিভাবে ক্ষতি করছি নিজেদের।
সকাল থেকেই অফিসে কাজ করছি,এরমধ্যে অন্তত ক্লায়েন্ট ম্যাসেজ রিপ্লাই করা লাগে ৫০-৭০ জনের। এই চাপ বেড়ে যায় দুপুরের পর থেকে অনেক, আলহামদুলিলাহ।
ঘটনা-০১
একজন কাজ করাবেন ইউটিউব চ্যানেলের,তিনি অনেকক্ষন কনভার্সনের পরে জানতে চাইলেন-আপনার অফিসের ঠিকানা দেন,আমি এসে দেখা করবো।আমি ঠিকানা দিলাম।তিনি সব দেখে বললেন- আমি ঢাকা থাকি, আপনি যশোরে।কিভাবে কাজ দিব আপনাকে?
আমি রিপ্লাই করলাম-ভাইজান,কাজ তো অনলাইনেই ডেলিভারি করা যাবে,তাহলে কাছে থাকার প্রশ্ন তো নেই।উনি আর উত্তর করেন নাই।
গতকাল রাতেও আমি এই যশোরে বসেই ইতালির কাজ করলাম(প্রতিদিনই করি আমরা)।ওনারা বিশ্বাস করতে পারেন কিন্তু আমরা দেশে বসে পারিনা বিশ্বাস রাখতে।
ঘটনা-০২
গত নভেম্বর থেকেই আমাদের পেজ বুষ্ট ও প্রমোটের জন্য মাসিক ডলার লিমিট একেবারে ফুলফিল।আমি কোনভাবেই নতুন ক্লায়েন্ট নিতে পারছিনা,ইভেন যারা মাসে ১০-৩০ ডলার বুষ্টিং করান তাদেরকেও স্পেস দিতে পারছিনা।এর কারন হলো-
১। ডলার সংকট আমার কাছে (আমার লিমিট নাই)
২। এত ভেরিফাইড আইডি নাই,যা দিয়ে ৭০০ এর বেশি পেজে এড দেয়া যাবে।
৩। যারা রেগুলার কাজ করেন,তাদেরকে বাদ দিতে পারবোনা আমি।এটা আমার নীতির বাইরে চলে যায়।
একজন ক্লায়েন্ট এই ২/৩ মাস হলো মাসে ৫০-৬০ ডলার মত বুষ্ট করান,আজ হঠাত একটা নতুন পেজে বুষ্ট করাতে চাইলেন।আমি জানালাম-
আপু,আমার পক্ষ্যে এখন নতুন পেজ নেয়া সম্ভব না,আপনার এই পেজ নিতে গেলে আমাকে কাউকে বাদ দিতে হবে।তবুও আপনি রেগুলার ক্লায়েন্ট তাই আপনার জন্য কি করা যায় দেখি।
ওনার প্রশ্ন-
– ভাই আপনার জন্য আমার পেজে ক্ষতি হবেনা তো?
– আপনি যাই করেন আমার পেজটা নষ্ট করেন না।
– আপনার তো ক্ষতি হবেনা,ক্ষতি হবে আমার পেজের।
আমি খুব শান্তভাবে বোঝাতে চাইলাম,তিনি বুঝতে চাইলেন এমনভাবে- বিচার মানি কিন্তু তালগাছ আমার।
অবশেষে আমি জানালাম- আপু আমায় বিশ্বাস না করতে পারলে আমায় কাজ দেবার দরকার নাই। আমি জ্বোর করে বিশ্বাস অর্জন করতে পারবোনা।আপনার কাজ আমি করবোনা।
এই ঘটনাগুলি বলার কারন হলো- আমরা অনলাইনে কাজ করি বা করতে চাই কিন্তু একটু লেখাপড়ায় আমাদের অনেক অনিহা।আর এই অনিহার জন্যই আমরা জানতে পারিনা সঠিক আর বেঠিক কি।এজন্যই আমাদের এই বেহাল দশা।
তবু দিনের শেষে আমরা এটাই বলবো- লেখাপড়ার করার জন্য ব্যাবসা করতে আসিনি।পড়লেই সব লাভ অন্য লোকের।