আসেন একটা গল্প বলি-

একদেশে একজন সৎ ও বেশ আমুদে লোক বাস করতেন।তার আমুদে অভ্যাসের কারনে তিনি সকলের কাছেই বেশ সমাদৃত ছিলেন,আবার এটাই সকল সম্পর্ক নষ্টের মুলে কাজ করতো।
আসলে সমস্যাটা ঐ আমুদে লোকের না,যেহেতু তিনি সৎ ছিলেন এবং বেশ আমুদে তাই দূর থেকে সকলেই তার কাছে আসতে চাইতো।কিন্তু কাছে আসার পরেই আর এটা ঐ লোকগুলি মেনে নিতে পারতোনা।
তখন ঐ কাছের লোকদের কম্পলেইন শুরু হতো-
✅ আমি তোমার কাছের লোক,কিন্তু আমাকেও তুমি আর সবার মত এক পাল্লায় পরিমাপ কেন করো?
✅ আমি তোমার কাছের মানুষ,আমার কেন একটু বেশি সুবিধা দাও না?
✅ সবাই যেখানে অর্থ দিয়ে একটা কাজ করছে আমি তোমার কাছের হয়েও কেন একই নিয়ম হবে?
✅ তোমার হাতে পাওয়ার আছে,সেটা নিয়ে তুমি কেন ওমুক রাজাকে শাস্তি দাও না?
এমন নানান প্রশ্নের কোন উত্তর এই আমুদে আর সৎ ব্যাক্তিটি দিতে পারতেন না,কিভাবে পারবেন? তিনি নিজেই তো বুঝতে পারতেন- এই ব্যাক্তিগুলি স্বার্থপর টাইপের।
যাহোক এক পর্যায়ে সেই সুবিধাবাদী দলের লোকবল সৎ মানুষটির নিকট থেকে কোন অবৈধ সুবিধা আদায় না করতে পেরে আলাদা হয়ে যায় এবং এই মানুষটির দূর্ণাম করতে শুরু করলো।
এদিক, এত ভালো মানুষটিকে নিয়ে যারা দুর্নাম রটালো তাদের শাস্তি চাইতো এই আমুদের মানুষগুলির দল।কিন্তু সেই সৎ ও আমুদে লোকটি সবাইকে ডেকে দেখালেন-
দেখো, যারা আমার দুর্নাম করেছে- তারা আমার সুনাম দেখে হিংসা করেছে।তারাই আমার অর্জনকে আবার প্রেজেন্ট করছে।
তারা তাদের জীবনের গ্রাফকে উন্নত করতে আমার দেয়া শিক্ষাকেই হুবহু ফলো করছে।
আপনারা আশাপাশে চোখ বুলালেই দেখবেন- আমার দেয়া শিক্ষার ডিজিটাল চুরি হচ্ছে,শেখানোর প্যাটার্ন এমনকি টাইমিং ও ফলো করা হচ্ছে একইসাথে তারা তো আমার অনুভূতি বা ফিলিংস টাও মূল্যায়ন করে সেই পছন্দের মতই সব করছে।
তাহলে তাদেরকে নিয়ে আর কিছু কি ঐ আমুদে লোকটার বলার আছে?
নেই তো সত্যিই,কারন সৎ মানুষেরা পরাজয় বরন করেনা,তারা জিতেই যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *