ই-কমার্স ডেলিভারি কোম্পানি Paperfly বন্ধ হয়ে গেছে। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া ২০০০ কর্মী নিয়ে কোম্পানিটি দিনে ৪৫-৫০ হাজার ডেলিভারি দিত। করোনায় তাদের গ্রোথ দেখে ইন্ডিয়ার ডেলিভারি কোম্পানি ইকম এক্সপ্রেস পেপারফ্লাইতে দুই দফায় ১০০ কোটি টাকা ইনভেস্ট করে। ২০২২ তে আরও ১০২ কোটি ইনভেস্ট করবে ঘোষণা দিলেও সেটা আর দেয়নি।
বাংলাদেশে ই-কমার্সের গ্রোথে অন্য কুরিয়ার কোম্পানির সাথে পেপারফ্লাইয়ের অবদান অনেক। তাদের ঝরে যাওয়ার কারণ নতুন ইনভেস্টমেন্ট পাওয়ার কথা থাকলেও না পাওয়া, নন-ব্যাংক প্রতিষ্ঠানে ১১ কোটি টাকা আটকে পরা, ইভ্যালির কাছে প্রায় ৭ কোটি টাকা পাওনা।
ই-কম এক্সপ্রেস তাদের ৮০% শেয়ার বিক্রি করতে চাচ্ছে মাত্র ১০ কোটি টাকায়।
যেখানে অন্য ডেলিভারি কোম্পানি যেমন পাঠাও, স্টেডফাস্ট চার্জ করে ১২০-১৪০, সেখানে তারা দারাজের মত কর্পোরেট ক্লায়েন্ট ধরার জন্য প্রায় লসে ৭৫-৮৫ টাকায় ডেলিভারি দিত। এই যে এগ্রেসিভ বার্নিং, এই বার্নিং এর জন্য তাদের ফ্রিকোয়েন্ট ফান্ড রেইজ করার দরকার ছিল, যেটা তারা পারেনি।
স্টার্টাপ মডেলের ফেইলিয়ারের এটা একটা মোক্ষম উদাহরণ। ডিস্কাউন্টে লসে সার্ভিস দিয়ে মার্কেট ধরার জন্য ইনভেস্টরের টাকা বার্ন করা, টাকা শেষ হয়ে গেলে আর নতুন ইনভেস্টমেন্ট না পেলে কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়া। সব ব্যবসা স্টার্টাপ মডেলে চলেনা, লজিস্টিক ব্যবসার মত ব্যবসা প্রফিটেবিলিটি ফোকাসড না হলে ব্যবসা একদিন মুখ থুবড়ে পরবেই।
লেখাটা : সানজেদুল আলম শান ভাইয়ের ওয়াল থেকে নেয়া।
ডেইলিস্টারের নিউজটি কমেন্টের দেয়া হলো।
সান ভাইয়ের কথাটি সঠিক শেখার আছে অনেক কিছু আমাদের ফান্ড বেজড উদ্যোগ বা স্টার্টআপ গুলো প্রফিট জেনারেশন না করে ফান্ড বার্নিং শুরু করেন, আর এই ফান বার্নিং এ এক সময় কোম্পানিগুলোকে ফেইলি ওর দিকে নিয়ে যায়।
পেপারফ্লাই বন্ধ হওয়ার কারণে অনেক উদ্যোক্তা ক্ষতির সম্মুখীন হবেন কারণ তাদের পেমেন্ট রিটার্ন প্রোডাক্ট সবকিছুই আটকা পড়ে যাবে, অনেক উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সবারই আরো সতর্ক এবং সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
প্রতিটা ঘটনা ঘটার পরেই আমরা কেন সংবাদ পাই, প্রত্যেকটা ঘটনায় একপক্ষকে সব সময় ক্ষতির সম্মুখীন করে। যাদের এগুলি দেখার কথা তারা জেনে বুঝে কেন অনেক সময় চুপ করে থাকেন?