ই-কমার্স বিজনেস মুলত কি-

সেশন- ১.১

ই-কমার্স বিজনেস মুলত কি-

আমরা, বিগত সময়ে সবচেয়ে বেশি বোধহয় পড়েছি এই টপিকে।এইজন্য এই টপিকে খুব বেশি আলোচনা করার আসলে কিছু নেই,আমার ধারণা এতে আপনারা বরং বিরক্ত হবেন।
আমি আবার শিক্ষক হিসাবে ক্লাসে গেলে ধরেই নিই,আমার ছাত্র-ছাত্রীরা পারেনা কিছুই।সেই আলোকে আমি ক্লাস নিতে থাকি।ওইভাবেই একটু আলোচনা করবো আপনাদের সাথে।
ই-কমার্স: ইন্টারনেটের মাধ্যমে ব্যবসায়িক লেনদেনে সুবিধা ব্যবহার করাকে ই-কমার্স বলে। ইন্টারনেট কমার্সকে সংক্ষেপে ই-কমার্স বলা হয়। অনলাইনে পণ্য বেচাকেনা এর সহজ উদাহরণ। বস্তুত, যে কোনো ব্যবসাকে ইলেক্ট্রনিক্সের মাধ্যমে পরিচালনা করাই হল ই-কমার্স।
শুধুমাত্র পন্যের কেনাবেচা মানেই ই-কমার্স নয়, সেবার আদান-প্রদান টিও যদি এই মাধ্যমের সাহায্যে হয় তাহলে আপনি সেটিকেও ই-কমার্স বলতে পারেন।
ই-কমার্সের ভিতরে একটু দেখে আসি-
যতই দিন যাচ্ছে ততই ইন্টারনেটের ব্যাবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে সাধারন ব্যাবসা-বাণিজ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক ই-বাণিজ্য বেড়েই চলেছে। বিখ্যাত ই-কমার্স কোম্পানি অ্যামাজনের কথা আমরা সবাই জানি। বর্তমানে তারা একচেটিয়ে কিভাবে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী বিক্রি করছে। তারই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশেও এখন অনেক ই-কমার্স সাইট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আমি উদাহরণ না দিলেও আপনারা জানেন এবং নাম মনে মনে বলে দিচ্ছেন।
ই–কমার্সের সুবিধা:
  • আধুনিক জীবন ব্যবস্থা এখন ইলেকট্রনিক কমার্স বেজড।
  • আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে
নিয়েছে ই কমার্স ইন্ডাস্ট্রি। বিভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এই ই-কমার্স
প্ল্যাটফর্ম।
উদাহরণস্বরূপ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার, ইন্টারনেট বিপণন, অনলাইন ডাটা ইন্টারচেঞ্জ, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ছাড়াও অনলাইন লেনদেন প্রক্রিয়া প্রায় সম্পূর্ণরূপে ই-কমার্স দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে।
✅ 2000 সালের পর থেকে ই কমার্স ব্যাপকভাবে পৃথিবীব্যাপী অনলাইন ট্রানজেকশনের মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
✅ 2013 সালে ই-কমার্স এর মাধ্যমে পৃথিবীব্যাপী 1.2 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য বেচাকেনা হয়। দিন দিন ই-কমার্সের গুরুত্ব আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে, পাশাপাশি আমাদের দেশেও ই কমার্স এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *