সেশন- ১.৪
ই–কমার্স ব্যবসা শুরু করার আগে করণীয় কাজ গুলি এবং কৌশলগত দিক গুলি জেনে নিই।
ই-কমার্স ব্যবসা করতে হলে আপনাকে তেমন বেশি কষ্ট করতে হবে না । ই-কমার্স ব্যবসাটি সরাসরি তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমাদের দেশে এর সম্ভাবনা অনেক। ই-কমার্সের সুবিধা হলো এখানে পুঁজি লাগে কম। শুধু আপনার ইচ্ছাশক্তি, সৃজনশীলতা ও পরিশ্রমই ই-কমার্স ব্যবসার সবচেয়ে বড় পুঁজি। এই ব্যবসা পরিচালনার জন্য অনেক মাধ্যমের প্রয়োজন হয়।
ব্যবসায়ী, খুচরা বিক্রেতা, সেবাদাতা, ব্যাংক, নীতি নির্ধারক, থার্ড পেমেন্ট প্রসেসর এবং সর্বোপরি, ক্রেতা বা ভোক্তাদের ই-কমার্সের মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা হয়। এসব মাধ্যমকে এক প্ল্যাটফর্মে এনে আর্থিক লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনাই হচ্ছে ই-কমার্স।
এই ব্যবসা চালুর জন্য গ্রাউন্ড ওয়ার্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে ব্যবসায়িক মডেলসহ ব্যবসা পরিচালনার একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হয়। আসুন ই-কমার্স ব্যবসা করতে কি কি কাজ করতে হবে তার বিষয়ে
একটু জেনে নিই।
ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার কৌশলগত বিষয়সমূহ:
১. ই-কমার্স ব্যবসা করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।
২.ই-কমার্স সাইটটিকে ওয়েবসাইট অনুসন্ধানের প্রথম দিকে নিয়ে আসার জন্য এসইও সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। কারণ, সাইটটিতে যতো বেশি ভিজিটর বাড়ানো যাবে ততো বেশি পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বাড়ানো সম্ভব হবে।
এস ই ও সম্পর্কে আমার পোষ্ট আছে বিস্তারিত।
৩.:ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা জন্য বিভিন্ন পণ্যের গুনগত মানের উপর কন্টেন্ট লিখতে হবে এবং প্রোডাক্ট বা কনটেন্ট মার্কেটিং করতে হবে।
৪. ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিং পণ্য বিক্রি করতে হবে।
৫. ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করা জন্যে এবং ব্যবসার প্রসার বাড়ানোর জন্য প্রচার মাধ্যমের সহায়তা করতে হবে ।
৬. ই-কমার্স ব্যবসার পন্য প্রচার প্রচারনার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে হবে।যেন মানুষ পন্যটি সর্ম্পকে জানতে পারে।
৭. ছবি তোলা ও অডিও–ভিডিও এবং তা আপলোড করার দক্ষতা থাকতে হবে।
৮. পণ্যটি সম্পর্কে লেখা ও আকর্ষণীয় শিরোনাম তৈরির দক্ষতা থাকতে হবে।
৯. প্রোডাক্ট বা কনটেন্ট এর চাহিদা নিরূপণের জন্য গবেষণা বা সার্ভে করতে হবে।
১০. পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে ব্যাংক ও মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধা ভালো থাকতে হবে।
১১. পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা ভালো হতে হবে যেন সময় মতো পন্য গ্রাহকের নিকট দেওয়া যেতে পারে।
১২. ভোক্তার সঙ্গে অটোমেইলে কানেক্টিভিটি থাকতে হবে।