আমার শুরুটা যেভাবে করলে শেষটা ধরা দিবে- ০২
এই ধাপে উত্তির্ন হতে পারলে পরের কাজ করা সহজ হয়ে যায়।চেষ্টা তো থাকতেই হবে সেই সাথে জীবনের লক্ষ্য স্থির করতে হবে।যা আপনি করতে চান তা যদি স্থির করা সম্ভব হয় তাহলে তাকে সময় দিতে হবে।
সে বিষয়ে শিখতে হবে।দক্ষতা অর্জন করতে হবে।পড়াশোনা করতে হবে।অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ করেই মনে করে আর কিসের পড়াশোনা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শুধু পরীক্ষা পাশের জন্য কাজে লাগে।আর টাকা আর্নিং এর জন্য।
কিন্তু সফলতার জন্য বিশেষ বিষয়ে বিশেষ দক্ষতা অর্জনের জন্য পড়াশোনা সব সময় প্রয়োজন। আর প্রয়োজন তাকে সময় দেওয়া, লেগে থাকতেই হবে নিয়মিত। হয়তো এ কারনে আপনাকে শুনতে হবে অনেকের নেগেটিভ কথা। কাছের কিংবা দূরের লোক, প্রতিবেশী অনেকেই আছেন আপনাকে বাঁধা দিতে পারে।সেক্ষেত্রে আপনার নিজেকে শক্ত হতে হবে সবাই কে দূরে সরিয়ে নিজেকেই সময় দিতে হবে লক্ষ্যপানে।
আপনি যদি ৯০% নিজেকে সময় দেন বাকি ১০% একদিন আপনাকে সমীহ করবে আপনার সফলতা দেখে।
আমি নিজেকে এই ফর্মুলাটা দিয়েছি,যেখানে আমি বলি, যদি ৮ থেকে ১০ ঘন্টা সময়ও নিজেকে দেওয়া যায় তাহলে ছয় মাসে আপনার উন্নতি দেখার মতো হবে।অবশ্যই সেটা লোক দেখানো নয়, নিজেকে দেবার মত।
একবারে সম্ভব না হলেও শুরুতে এক ঘন্টা আস্তে আস্তে তা বাড়াতে হবে।অবশ্যই সেখানে আপনার মনোযোগ থাকতে হবে।তারপরও হয়তো ভাবতে পারেন একবছর সময় দিলেই কি শূন্য থেকে সফল হওয়া যাবে? তা হয়তো যাবেনা তবে সফল হওয়ার জন্য যা প্রয়োজন তা আপনি পেয়ে যাবেন অবধারিত ভাবেই।
একটা জিনিস আপনি যদি বার বার করতে থাকেন তাহলে আপনার জন্য তা করা একটুও কঠিন হবে না।সে রকম সব কিছুই। নিয়মিত কাজে সফলতা আসবেই।
সফলতার জন্য প্রথম লাগবে লক্ষ্য স্থির করা।অবস্থা যত খারাই হোক চেষ্টা থামানো যাবে না পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। প্রতিদিন এক ঘন্টা অন্তত সব বাদ দিয়ে অনুশীলন করতে হবে। অন্যদের ফালতু কথাকে পাত্তা দেওয়া যাবে না। বছরখানেক এভাবেই লেগে থাকতে হবে।কিছু পেতে কিছু ছাড় দিতেই হবে।
আরাম আয়েশে আনন্দে হয়তো বিঘ্ন ঘটবে তবে বিনিময়ে পাবেন কাঙ্ক্ষিত সফলতা।