কোন কোন ব্যাপারে ফোকাস করতে হবে একটি কন্টেন্টে।যারা এই কার্যক্রমে অংশ নিবেন তারা কমেন্ট করবেন।
শায়ান প্রতিবারই ইলিশ মাছ কিনে ঠকে যায়,কোন না কোনভাবে সেই মাছ নিয়ে ওকে বাড়িতে কথা শুনতেই হয় আম্মার কাছে।
আজ অফিসে যাবার পথে শায়ান এইটা ভাবতে ভাবতেই রওনা হলো,আজও ওকে কিছু ইলিশ মাছ কিনতে হবে অন্তত শুক্রবারে হৃদির বাসা থেকে শায়ানকে দেখতে এসে ফাইনাল করবে বিয়ের কথা বার্তা।
এদিকে হৃদির বাবা,ভাইয়া সকলেই ইলিশ পছন্দ করে,সেটা যেন মেন্যুতে থাকে এই কথাটা বলে দিয়েছে শায়ানকে,হৃদি স্বয়ং নিজেই।
এসব ভাবতে ভাবতেই কখন যে শ্রেয়ানকে পাশ কাটিয়ে অফিসে ঢুকে গেছে শায়ান সেটা ও খেয়াল করেনি।ছোট বেলা থেকেই দুই বন্ধু একসাথে আছে,এখন অফিসেও একই সাথে দুইজন।এত ভালো বন্ধুত্ব অথচ দেখেই নাই,এইজন্য শ্রেয়ান এসে একটা গুতা দিয়ে জিজ্ঞেস করলো- ঐ তোর কি হলো রে,বিয়ের আগেই বন্ধুকে দেখেও চিনতে পারছিসনা,আর বিয়ে হলে কি হবে?
শায়ান,সরি বলে সবটা খুলে বললো শ্রেয়ানকে।সব শুনে শায়ান অট্টহাসি দিয়ে দিলো।আফ জানালো- তুই কি ক্যাবলা কান্তরে বাবা,দোস্ত এখন অনলাইনের যুগ।
এই যুগে তুই সরাসরি পদ্মার মাছ নিতে পারবি,তাও চাঁদপুরের একেবারে সঠিক জায়গা থেকে।আমিও সেখান থেকেই মাছ নিচ্ছি,তুই জানিস না?
শায়ান- ওমা সেটা কিভাবে?
শ্রেয়ান- শোন, তুই ফেসবুকে যেয়ে তাজা Fish লিখে সার্চ কর,১৪০০০+ লাইক আছে ঐ পেজ টা আসল পেজ।যার ওনার হলো,
রোকেয়া আক্তার প্রীতি আপু।
ওনাকে একটা ম্যাসেজ দিয়ে বল দে,কি চাইছিস আর কবে চাইছিস?
বাকি চিন্তা সব তার।আপু সব বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিবে,তুই ব্যাংকে কিংবা বিকাশ বা নগদে পেমেন্ট করে দিবি।
শায়ান- দোস্ত,কি বাঁচানোটা না বাঁচাইলি।
শ্রেয়াম- শোন,বাজার ঘোরার টাইমটা যেহেতু বেঁচে গেলো।অফিস শেষে আজ আড্ডা হবে মাষ্ট।
শায়ান- আচ্ছা বন্ধু,তাহলে আমি আগে অর্ডার করে নিই।
শ্রেয়ান- আচ্ছা বন্ধু।আমিও কাজে গেলাম।