একজন উদ্যোক্তার জন্য যে বিষয় গুলি গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠতে পারে।

একজন উদ্যোক্তার জন্য যে বিষয় গুলি গুরুত্বপূর্ন হয়ে উঠতে পারে।
আপনারা অনেকেই আছেন গ্রুপে যাদের কাজে লাগবে।

♦️ট্রেড লাইসেন্স কী?

🌹ট্রেড লাইসেন্স হলো রাষ্ট্র কর্তৃক ইস্যুকৃত কোনো ব্যবসার বৈধ অনুমতিপত্র।

♦️ট্রেড লাইসেন্স কেনো প্রয়োজন?

🌹ব্যবসার বৈধতা নিশ্চিত করার জন্য ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন। ট্রেড লাইসেন্স নেই মানে আমার ব্যবসার বৈধতা নাই। তার মানে আমার ব্যবসা অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এতে যে কোনো আইনী ঝামেলায় ফেঁসে যাওয়ার চান্স থাকে। এছাড়াও নিম্নোক্ত কাজগুলোর জন্যও ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন-
১।ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক হিসাব চালু করতে।
২।শো-রুম দিতে চাইলে।
৩।ব্যবসা সংক্রান্ত কোনো ক্লাব বা সমিতির সদস্য হতে চাইলে।
৪।সরকার থেকে বিনা সুদে ঋণ নিতে চাইলে।
৫।আমদানি – রপ্তানি সংক্রান্ত কাজে।
৬।বড়ো ধরনের কাজ বা কন্ট্যাক্ট এর ক্ষেত্রে।
৭।কোনো ভালো প্রতিষ্ঠানের সাথে ডিল করতে গেলে।
৮।ঝামেলা এড়িয়ে আইনী সুবিধা পেতে।

এছাড়াও ব্যবসা সংক্রান্ত আরও অনেক কাজে ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হয়।

♦️ট্রেড লাইসেন্স কাদের প্রয়োজন?

🌹সকাল ছোটো / বড়ো, অনলাইন /অফলাইন ব্যবসায়ী /উদ্যোক্তার ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন, যদি ব্যবসা নিয়ে সুদূরপ্রসারী কোনো প্ল্যান থাকে।

♦️ট্রেড লাইসেন্স কোথায় পাওয়া যাবে?

🌹স্থানীয় সরকার কার্যালয় থেকে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। আপনি যে এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করবেন, সেই এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ কার্যালয় কিংবা সিটি কর্পোরেশন কার্যালয় থেকে এটি সংগ্রহ করতে হবে।

♦️ট্রেড লাইসেন্স পেতে করণীয় কী?

🌹স্থানীয় সরকার কার্যালয়ে গিয়ে ট্রেডের ক্যাটাগরির অনুকূলে ফরম পূরণ করে, প্রয়োজনীয় দলিলাদি ও নির্দিষ্ট ফি দাখিল করে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।

ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কমন ক্যাটাগরি হলো ‘বিক্রয় এবং বিপনন’। এটার মাধ্যমে প্রায় সব ধরনের ব্যবসার অনুমতি দেওয়া হয়।

ই-কমার্সের আলাদা কোনো ক্যাটাগরি না থাকায় অনেকে ICT ক্যাটাগরিতে লাইসেন্সের কথা বলেন।

♦️ট্রেড লাইসেন্স করতে কী কী জমা দিতে হয়?

🌹ট্রেড লাইসেন্স করতে জমা দিতে হয় –
১।৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
২।NID কার্ডের ফটোকপি।
৩।নিজস্ব জায়গায় অফিস কিংবা দোকান হলে ইউটিলিটি বিল এবং হালনাগাদ হোল্ডিং ট্যাক পরিশোধের রশিদ।
ভাড়ায় হলে অফিস বা দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্রের ফটোকপি।

এছাড়াও ব্যবসার ধরন অনুযায়ী অতিরিক্ত দলিল দাখিলের প্রয়োজন হতে পারে।

♦️ট্রেড লাইসেন্স এ কেমন খরচ হয়?

🌹ট্রেড লাইসেন্স এর খরচ নির্ভর করে ব্যবসার ধরন বা ক্যাটাগরির উপর। ICT ক্যাটাগরির ট্রেড লাইসেন্স এর জন্য সর্বোমোট ৪০০০/= থেকে ৭০০০/= পর্যন্ত খরচ হতে পারে।

🌹🌹🌹জেনে রাখি:
১।ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করা হয় এক বছরের জন্য।
২।প্রতি বছরান্তে নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে হয়।
৩।ট্রেড লাইসেন্স করলেই কর দিতে হয় না। কর নির্ভর করে লাভের পরিমাণের উপর। সুতরাং নির্ভয়ে করতে পারেন।
৪।এক ব্যক্তি একাধিক ক্যাটাগরিতে ট্রেড লাইসেন্স নিতে পারবেন।
৫।ব্যবসায় অংশীদার থাকলে সব অংশীদারের বিপরীতে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে।
৬।ট্রেড লাইসেন্স বাজেট বর্ষ অনুসরণ করে। অর্থাৎ ট্রেড বর্ষ শুরু হয় জুলাই মাসের এক তারিখে।

♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️♦️
আমি যে সব তথ্য সংগ্রহ করেছি, এর বাইরে আরও অনেক কিছু জানার আছে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাদ গেলে উল্লেখ করবেন। আর কোথাও ভুল হয়ে থাকলে দয়া করে শুধরে দেবেন।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *