উত্তর- বিস্তারিত পোষ্ট আমার আগেই করা আছে একটু পড়ে নিবেন।
আমি একটু রিভিউ দিয়ে দিচ্ছি-
“একটি লোগো হল কোন একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির বা প্রতিষ্ঠানের সিম্বল বা প্রতীক যেটির মাধ্যমে সেই নির্দিষ্ট কোম্পানির পরিচয় বহন করে।”
প্রশ্ন-২: লগো কি কাজে লাগে?
উত্তর: “আপনি হয়তো ইতিমধ্যে কোন ব্যবসা করছেন অথবা কোন ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন আবার এমনও হতে পারে কোন চাকরির সাথে জড়িত আছেন। কিন্তু আপনি কি একবার ভেবেছেন আপনি যেখানেই থাকুন আর যেখানে কাজ করুন না কেন সেখানে একটি ব্র্যান্ডিংয়ের ব্যাপার-স্যাপার রয়েছে!
আচ্ছা সেটা বাদ দেন, আর একটি কথা, আপনি কি জানেন একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ততক্ষণ পর্যন্ত ব্র্যান্ডিং সম্পূর্ণ হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত না সেই কোম্পানির একটি নিজস্ব ব্র্যান্ডিং লোগো থাকে।
আপনি যদি পৃথিবীর বড় বড় কোম্পানি বা ব্রান্ডের কথা বলেন তাহলে দেখবেন তাদের প্রত্যেকের এক একটি ব্র্যান্ড লোগো রয়েছে যেটির মাধ্যমে সেই কোম্পানিকে মানুষ ভালোভাবে চিনতে পারে এবং সেই কোম্পানি সম্পর্কে মানুষের আস্থা স্থাপন হয়।”
নিন্দুকেরা- ওহ এই ব্যাপার, ব্রান্ডিং ছাড়া তো আর লাগে না।
প্রশ্ন-৩: লগো থাকার সুবিধা কি?
1. চেনার ব্যাপার- আপনার কাস্টমাররা শুধু আপনার কোম্পানির নামেই আপনার কোম্পানিকে চিনবে না বরং আপনার কাস্টমাররা আপনার কোম্পানির ব্র্যান্ডের লোগো বা চিহ্ন দেখে চিনবে।
2.রেপুটেশন- আর দশটি কোম্পানির থেকে আপনার কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানটি মোটেও রেপুটেশনের দিক থেকে পিছিয়ে থাকতে চাইবে না, নাকি ঠিক বললাম তো?
3. ব্রান্ড ভ্যালু- একটি লোগোর মাধ্যমে আপনার কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালু আরো বৃদ্ধি করতে পারবেন।
4.কোন ব্যাংকে একাউন্ট খোলা- হ্যাঁ আপনি যখন কোন ব্যাংকে আপনার প্রতিষ্ঠানের নামে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলবেন তখন আপনার প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির একটি লোগো থাকা লাগবে।
প্রশ্ন-৪: লগো তৈরি করতে কত খরচ আসে?
উত্তর- লগো তৈরির জন্য খরচ আসলে ডিপেন্ড করে অনেক গুলি বিষয়ের উপরে।
যেমন-
1. লগো কি ধরনের কোম্পানির জন্য হবে?
2.লগো টা কি ধরনের হবে?
3. লগো যিনি তৈরি করবেন তার কোয়ালিটির উপরে।
4. লগো যিনি তৈরি করবেন তার সময়ের মূলের উপরে।
5. লগোর সাথে কোন কোন ফাইল পাবেন।
6. লগো প্রেজেন্টেশন কোয়ালিটি।
নিন্দুকেরা- আরে নাহ ৫০০ টাকায় লগো পাওয়া যায়, আবার ফ্রী তে ও নিজে নিজে মোবাইল দিয়ে বানানো যায়।
প্রশ্ন-৫: নিজে নিজে বানাতে পারবো না?
উত্তর- অবশ্যই পারবেন, তবে খেয়াল রাখবেন ঐ মোবাইলে এপস দিয়ে লগো বানালে তার কোয়ালিটি থাকে না।
প্রশ্ন-৬: তাহলে কি দিয়ে বানাবো?
উত্তর- প্রফেশনাল লগো বানাতে হলে অবশ্যই Adobe Illustrator দিয়ে বানাবেন।
অনেকেই ফটোশপে লগো বানান, তাদের জন্য বলছি ভেক্টর ফাইল বা ইলাস্ট্রেশনের জন্য ই এডোবি কর্পোরেশন ইলাস্ট্রেটর সফটওয়্যার বানিয়েছেন।
আর আপনি যদি ফটোশপ দিয়ে কাজ চালান তাহলে কি তার প্রফেশনালিজম থাকে?
প্রশ্ন-৭: লগো কাউকে দিয়ে বানালে কি কি ফাইল নিব?
উত্তর-
1. অবশ্যই Main File (Ai)
2. Jpg file
3. PNG/transparent file
4. Sticker Print File
5. Shopping Bag print file
6. Mug Print File
7. minimum 5 Logo Presentation
প্রশ্ন-৮: প্রেজেন্টেশন বা মগ,স্টিকার ও ব্যাগ কেন নিব?
উত্তর: ধরুন আমি একটা লগো করে দিলাম যার ব্যাকগ্রাউন্ড কালো আর ফন্ট কালার সাদা।
সাদা ও কালোর মিশ্রন তো ভালো লাগবেই।
1. এবার ভাবুন মগ প্রিন্টে লগোর ঐ সাদা কালার বোঝা যাবে না, কারন মগের কালার সাদা ই হয়।
2. স্টিকারে ঐ সাদা ফন্ট বোঝা যাবে না, কারন স্টিকার ও সাদা ই হয়।
3. শপিং ব্যাগ যদি সাদা করেন তাহলে তো আর বোঝা যাবে না।
4. আপনার মেমো বই যদি বানান তাহলে?
লগোর প্রয়োজনীয়তা বলতে গেলে শেষ হবে না।
তাই এত প্রয়োজনীয়তা যখন এই লগোর তখন ভাবুন এবং সময় নিন।
কাজ তো আজীবনের জন্য করাবেন।
তাহলে কেন প্রফেশনাল মানুষ খুঁজবেন না?
= একটা প্রশ্ন আমার ছিলো-
আচ্ছা সৌভিক নাম টা মনে হলে কি তার চেহারা টা ভাসে না?
তাহলে আপনার উদ্যোগের নাম টা কি শুধু নাম দিয়ে মনে রাখবে মানুষ?
নাকি তার সাথে লগো নামক সিম্বল ও মনে রাখবে?
নিজে জানুন, অন্যকে জানান,
সৌভিক
পেশায়- লেকচারার,কম্পিউটার বিভাগ।
কাজ করছি লগো, ফেসবুক পেইজ ও ডোমেইন-হোষ্টং নিয়ে।
ফাউন্ডার এন্ড সি ই ও- আই সি টি কেয়ার/ICT CARE