একটি বিজ্ঞাপনের আত্নকাহিনি- পর্ব ০১

 

একবার একটা পেজে অ্যাড দিলাম, গুড়ের অ্যাড, ক্লায়েন্ট মুলত যশোরের গুড় নিয়ে আসেন এবং তিনি গুলশান এলাকায় থাকেন।
আমার সাথে যারা কাজ করেন,তারা জানেন যে-আমি কাজের শুরুতেই কিছু মুল ব্যাপার ক্লিয়ার করতে সকল ব্যাপার জানাতে লিংক দিয়ে ভিডিও দেখায় অথবা কণ্টেন্ট পড়তে দিই,আর সাথে কিছু রিকয়ারমেন্ট নিয়ে নিই।
যেমন- এড কত দিনের জন্য দিতে চাই, কত ডলার খরচ করতে তিনি আগ্রহী, কোন কোন লোকেশনে তিনি ডেলিভারি দিতে পারবেন ইত্যাদি।

ক্লায়েন্ট জানালেন যে তিনি শুধুমাত্র ঢাকা সিটিকেই কাভার করতে চাইছেন,কারন হলো- ঢাকার মানূষের কাছে সঠিক পন্য পাওয়াটাই সবচেয়ে কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

কাজ শুরু করার আগে,আরো যা যা দেখা দরকার দেখবো কিন্তু ওনার কিছু বেসিক কথা রয়েছে,যা সবারই থাকে।
আমার পেজটা দেখুন তো ঠিক আছে কিনা
আমার কন্টেন্ট টা ঠিক আছে কিনা
আমার এই কন্টেন্টে কেমন রেসপন্স আসবে?
কত রিচ আসতে পারে?
আসলে, কখনো করিনি তো তাই কন্টেন্ট কেমন লেখা উচিত?

আমি এই প্রশ্নগুলিতে দোষের কিছুই দেখিনা,কিন্তু দোষের দেখি যেখানে সেটা হলো-
পেজ দেখার দ্বায়িত্ব দিলে সেটার চার্জ দিতে হয়
কন্টেন্ট কিংবা রিচ বা রেসপন্স, সবকিছুর জন্য কন্টেন্ট এবং ভিডিও দেয়া আছে,আমি সেগুলি প্রোভাইড করার পরেও যদি আপনার প্রশ্ন থাকে, তার অর্থ আপনি দেখেন নি।তাহলে ২য় বার একই প্রশ্ন করার আগে একজন এক্সপার্টকে আলাদা মুল্যায়ন করুন।
যেহেতু বিজ্ঞাপন দেবার বেলাতে, আমি ডলার চার্জ ছাড়া আর কোন ক্যাম্পেইন চার্জ করিনা-তাই এক্সট্রা সময় দেয়া টাফ,কেননা সময় দিলে সকলেই সময় চাইবে।

যাহোক,আমি ক্লায়েন্টের চাহিদা জানার পরে, ফটোগ্রাফি দেখলাম, এক কথায় দারুন, আমার নিজেরই গুড় খেতে ইচ্ছে হচ্ছিলো, যদিও আমি মিষ্টি জাতীয় কিছুর প্রতি খুব এডিকটেড না।

আমি এইজন্যই সবসময়ই বলি, ফটোগ্রাফি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
অ্যাডের বাজেট খুব বেশি নয়,নারী উদ্যোক্তাদের এখনকার মেইন সমস্যা থাকে বাজেট আর উনিও এইবার প্রথম শুরু করেছে্ন।

অ্যাড দিলাম, আমি কন্টেন্ট নিয়ে বেশ কনফিডেন্ট ছিলাম, কারন- টাকা নিয়ে কন্টেট লিখেছিলাম তবে সমস্যা হলো- ছোট এরিয়াতে আসলে ডিটেইলস টার্গেটিং করার তেমন কিছু থাকে না, এমনি ই অডিয়েন্স কম, তাই বেশি টানাটানি না করে ডিটেইলস টার্গেটিং খালি রাখলাম।মুলত আমি, ফেসবুককে ডিসাইড করার সুযোগ করে দিলাম।
ফেসবুক খুব ভালোভাবেই ডিসাইড করলো, কারন সেই অ্যাডের কনভার্শন রেট ছিলো ৯০% এর বেশি। যারা ম্যাসেজ দিয়েছে তারা প্রায় সবাই কিনেছে আর বাকিরা না কিনলেও আগ্রহ দেখিয়েছে।কিন্তু সমস্যা হলো- ম্যাসেজ এসেছে ৪০ টা, আর ক্রেতা ৩০ জন।

এদিকে ঐ ভদ্রমহিলা- একটা পোষ্টে দেখলেন যে, ওমুকের সেইম ডলারে ১০০+ ম্যাসেজ এসেছে, আর উনি আমাকে সেগুলি এসে বলা শুরু করলেন।

আমি শুধু চুপচাপ শুনে গেলাম,আর কিছু ব্যাপার শিখে নিলাম- আপনি যেটাই করেন না কেন, সবাই যেন জানানোর চেয়ে শো অফে বেশি বিশ্বাসী।
এদিকে আমার চিন্তা হলো মানুষকে জানানো, তাই জানাতে লিখি।আর কাজ যা করি সারাদিনে,সেগুলি পোষ্ট করার মত সময়ই তো পাইনা।
আপনারা কি কি শিখলেন?

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *