একটি সীধান্ত নেবার গল্প- বিস্তারিত পর্ব (০২)

Ferdousi Akhter

 আপুর কথা হলো, আমি আপনার লেখা অনুযায়ী আগের দুইটা পয়েন্ট পড়ে একটু উপকৃত হয়েছি আপনি পরের টা একটু বিস্তারিত জানাবেন প্লীজ।

সৌভিক- ঐ কাজ গুলি করার পরে ও যদি সীধান্ত না নিতে পারেন তাহলে আপনার মাঝে দ্বৈতাবস্থা আছে।তাই-
দ্বৈতাবস্থা পরিহার করুন
Swapna Ahmed

 আপু জানতে চাইলেন এটা কেমন?

কোনো কাজের ব্যাপারে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে গেলে আপনাকে মানসিকভাবে স্থির হতে হবে। বৈজ্ঞানিকভাবে একথা প্রমাণিত যে,
মানুষ একই সাথে দুইটি কাজ কখনো ভালোভাবে করতে পারে না। তাই আপনি যদি আপনার কাজের কথা চিন্তা করার পাশাপাশি
অন্যান্য বিষয়গুলো আপনার মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে নেন তাহলে সহজেই আপনার মনোযোগ বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়বে। যা আপনার
সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। তাই একই সাথে কখনো দুই দিকে মনোযোগ দিবেন না। আপনার কাজগুলো একটা
একটা করে শেষ করুন।
Shamima Sultana

 ও আচ্ছা, বুঝলাম ব্যাপার টা, কিন্তু আর কি করবো?

সৌভিক- এই যে কথা বললেন, এটার অর্থ আপনি কথার শেষ টা জানতে চান। কেন চান?
কারন যখন শুনছেন তখন মনে হচ্ছে আজ ই এসপার ওসপার করে ফেলবো কিন্তু এর পর ই আপনার মাঝে ভর করে ক্লান্তি তাই-
ক্লান্তি পরিহার করুন
সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ক্লান্তি আপনার জন্য অন্যতম একটি বাঁধা হিসেবে কাজ করে। কোনো ব্যাপারে ভাবতে গেলে যদি
আপনার খুব উত্তেজিত বোধ হয় তাহলে সবকিছু বন্ধ করে একটু সময় আরাম করে নিন। আপনার মস্তিষ্ক স্থির হলে
এরপর ওই বিষয়গুলো একসাথে সাজিয়ে মনোযোগ সহকারে ভাবতে থাকুন। দেখবেন কোনো ধরনের ক্লান্তি ছাড়াই
আপনি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছেন।
Ratna Rani Dev

 ক্লান্তি আমার আসে না ভাই, কিন্তু আমি অনেক পারিপার্শ্বিক ব্যাপার নিয়ে হতাশ।

সৌভিক- সেটার জন্য ও সমাধান আচে দিদি, আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যেমন 

Shanzida Afrin Kanta

 আপু 

Nadira Rahman Dipu

 আপু ও অনেক ভাবেন এসব নিয়ে তাই আপুদের জন্য বলি-

নিয়ন্ত্রণের বাইরে কিছু করতে যাবেন না
আমাদের এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে যে, একটা মানুষ একহাতে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আপনার শুধুমাত্র সেই
দলের দায়িত্ব নেওয়া উচিত যে দলকে আপনি নিজের হাতে নিজের মতো করে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন।
যা আপনার নিয়ন্ত্রনের বাহিরে সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কাজ পিছিয়ে যাওয়া ছাড়া কখনো সামনের দিকে এগোবে না।
এমনকি আপনার নিয়ন্ত্রিত দলের প্রতি আপনি যতটা মনোযোগ দিতে পারবেন বা যতটা তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন
অন্য দলের জন্য সেটা কখনও আপনার জন্য সম্ভব হবে না।
Shanaz Hassan

 আপু জানালেন যে আমি একটু বুঝেছি।

সৌভিক- হ্যাঁ আপু আপনি তো সিনিয়র আর এক্ষেত্রে তো অভিজ্ঞতা ও একটা বড় ফ্যাক্ট। তাই-
অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান
দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে গেলে সর্বপ্রথম আমাদের অতীতের অভিজ্ঞতা নিয়ে ভাবা উচিত। যেমন আপনাকে যদি দুইটি রাস্তা
বাছাই করার জন্য দেওয়া হয় তাহলে রাস্তার ধরনের ওপর ভিত্তি করে আপনার অভিজ্ঞতার বিষয়টি খুঁজে দেখতে হবে।
পূর্ববর্তী সময়ে কোন ধরনের রাস্তা গ্রহণ করে আপনি বেশি এগিয়ে ছিলেন বা কোন ধরনের রাস্তায় গিয়ে আপনি বিপদে
পড়েছিলেন সেই বিষয়টা মাথায় রেখেই আপনার রাস্তা ঠিক করা উচিত। তাই সবসময় অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যেকোনো
বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলেও সেটা কার্যকরী হবার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
Abida Khan Shompa

 আপু-এজন্য আমি আপনার সব পোষ্ট পড়ে সেই অনুযায়ী কাজ করছি এবং করবো।

সৌভিক- এজন্য আমি বলি যে অভ্যাস গড়ে তুলুন। এজন্য-
অভ্যাস গড়ে তুলুন
প্রতিদিন জীবনে চলতে-ফিরতে ছোটখাটো বিভিন্ন ব্যাপারে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়। কখনও এই ছোটখাটো
বিষয় গুলোকে অবহেলা করবেন না। কারণ যদি আপনি এই ছোটখাটো বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেকে
সফলতার দ্বারপ্রান্তে খুঁজে পান তবেই বড় কোনো ব্যাপারে কম সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে আপনার কখনও সমস্যার
সম্মুখীন হতে হবে না। খুব সহজেই দ্রুত যেকোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। তাই, এই ছোটছোট বিষয়ে
নেওয়া সিদ্ধান্ত এবং নিজের অভিজ্ঞতা কে সমৃদ্ধ করার উদ্দেশ্যে তার ফলাফল গুলো পর্যবেক্ষণ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *