আমাদের দেশটা ব্যবসায়ী বান্ধব না।এটা যেমন সত্য ঠিক তেমনই,বিজনেস নিয়ে আমাদের জ্ঞানের যে বেশি মাত্রায় সল্পতা আছে,সেটাও সত্য।
পাশাপাশি,আমরা জাতি হিসাবেও কিছু কাজ করি খুব শর্টকাটে চিন্তা করে-
১. শর্টকাটে বড়লোক হওয়া।
২. শর্টকাটে জান্নাতে যাওয়া।
৩. শর্টকাটে কোটিপতি হবার কোর্স করা।
এসকল কারনেই বিশ্বের একমাত্র দেশ হিসাবে,ব্যবসা করা লোকের চেয়ে ব্যবসা শেখানো লোকের সংখ্যা এখন বেশি বাংলাদেশে।
Chatgpt এর যুগে,বই না পড়েই এক একটা প্রমট লিখে আর জ্ঞান দেয় ফেসবুকে।আর সেটাতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে জনগন।
ম্যাক্সিমাম ব্যবসা শেখানো পাবলিক নিজেই আসলে ঐ লোভ দেখিয়ে,ব্যবসা করা ছাড়া আর কোন ব্যবসার সাথে জড়িত না।
আপনাকে কেস স্ট্যাডি করা শিখতে হবে এবং জানক্তে হবে যে- এই কারনেই বড় বড় কোম্পানিও ঠিক কোন সুত্র মেনে বড় হলো আর কেন এমন হলো।
KFC এর কথায় ধরেন।বাংলাদেশে তাদের যেকোন আউটলেটে গেলে বুঝবেন- একই স্বাদের চিকেন,একই রকম ফ্রেশনেস আর সেই ক্রিস্পিনেস টাও সেইম।
আমি ওনাদের সাথে কথা প্রসঙ্গে জেনেছিলাম যে, ওনারা বড় হবার আগেও চিকেন যারা প্রোভাইড করতো, এখনো ঠিক তারাই করেন।
একট সিস্টেম কিভাবে গড়ে ওঠে দেখেন-
একটা বিজনেসের সাপ্লাই চেইন টা অনেক বড় ফ্যাক্ট।যার সাপ্লাই চেইন টা ভালোভাবে গড়ে তোলা,তার ব্যবসা আসলেও ভালো করে।
আমরা কি করি- আজ এখানে তো কাল ঐখানে।
আমাদের সবার মধ্যেই যেন লয়ালিটি কম।
আর আমাদের তো সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো- দুইটা টাকার মুখ দেখলেই শেকড় ভুলে যাই আমরা।
আমারই তো কত শত ক্লায়েন্টকে শুন্য থেকে তোলার পরে, হুট করেই চেঞ্জ হতে দেখেছি।আবার সব হ্রিয়ে ফেরত আসতেও দেখেছি।
দিনশেষে একটা কথা মনে রাখবেন- একা একা সিস্টেম চলেন।একা একা কোন সিস্টেম গড়েও ওঠেনা।
একজন ড্রাইভার,পিওন থেকে শুরু করে সবাই আসলে একটা সিস্টেমের অংশ।তাদেরকে ঐ ভ্যালুটা দিন আর তাদেরকে অনুভব করান যে,আপনার জীবনেও তারা খুব গুরুত্বপূর্ণ।