এত মোটিভেশনে, লাভ টা হলো কোথায়

 

আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি,অনেকেরই ভালো লাগবেনা কিন্তু আমি ভাল লাগাতে মিথ্যা বলতে পছন্দ করিনা। অনেকেই আমার কথায় একমত হবেন না জেনেই আমি লিখছি এভাবে।

সারাদিনে সবচেয়ে বেশি আমি যে ধরনের লেখা ও পোষ্ট পাই আমার ওয়ালে,তার ৯০% ই আসে উদ্যোক্তাদের মাঝ থেকে আর সেখানেও প্রায় ৯০% পোষ্টই হয় – এ**লন মাস্ক, জেফ বেজস, জ্যাক মা, ওয়ারেন বাফেট, বিল গেটস, মুকেশ আম্বানি, রতন টাটা। **এই ব্যাক্তিদের** **বানীগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করি, তাদের কে একদম গুরু মনে করি, তারা যা করেছে, যেভাবে করেছে সেটাই করতে চাই।

এদিকে পাশার দান উল্টে দিয়ে বাস্তবতা হয়ে যায় বদলে, আপনি হয়ত তাদের ্লাইফস্টাইলে দেখেছেন যে, ৬/৭ টার মধ্যে উঠতে হবে,১২-১৪ ঘন্টা কাজ করতে হবে কিংবা শুরুতে তারচেয়েও বেশি।

এদিকে, আপনি ১১ টার আগে ঘুম থেকে উঠতেই পারেন না। এর পর অনেক কষ্টে চোখ খুললেও শুয়েই হাতে মোবাইল নিয়ে আরও ৩০/৪০ মিনিট ফেইসবুক স্ক্রল করতে থাকেন।

এইবার একটু ভেবে দেখুন তো, তাদের দেখে মোটিভেটেড হয়ে কি লাভ টা হয়েছে? ধরেই নিলাম আপনি কাল থেকেই একদম ঠিক ঠিক সকাল ৬ টা না ৫.৩০ টায় উঠে কাজে লেগে যাবেন কিন্তু তাতেই কি সফলতা আসবে?

তারা যেভাবে তাদের প্রোজেক্ট স্কেল আপ করেছে , আমরা কি সেভাবে চিন্তা করি? সেই একাগ্রতা নিয়ে কাজ করতে দেখাও যায়না সেভাবে।একমাস কাজ করেই আপনারা হাপিয়ে যান।

আমি আমার এই তিন বছরের বেশি সময়ে উদ্যোক্তাদের সাথে কাটানো সময়ে, হাতে গোনা খুবই সামান্য মানুষকে সব নিয়ম মেনে নিয়ে কাজ করতে দেখেছি।এবং যারা এইভাবে কাজ করেছে তারা সবাই সফলতা পেয়েছেন এমন না কিন্তু অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা পেয়েছেন।

আমি ৯০% কে দেখি একাগ্রচিত্তে কাজ না করতে। একটা মাস কাজ কন্টিনিউ (তাও পুরোপুরি না করেই) করেই পরের মাসে একটা না একটা অজুহাতে হারিয়ে যায়।

তাই বলি কি-এভাবে অন্য কাউকে দেখে মোটিভেশন নিয়ে আসলে কিই বা হবে,এরচেয়ে মনের উপরে জ্বোর না দিয়ে,যেটা করতে ভালো লাগে সেটা করেন।এসব সৌভিক ভাই বা ওমুক বা তমুক মেন্টর মেনে কাজ নেই।

সবাইকে দিয়ে সব হবেনা,এইটা মেনে নিয়ে আপনাকে দিয়ে যেটা হবে সেটা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *