এফ-কমার্সের মাধ্যমে বিজনেস করেন অথচ আপনার প্রোফাইল নিয়ে কথা শোনেননাই এমন কেউ হয়তো নেই।আপনি থেকে আপনারা হয়ে আমি পর্যন্ত সকলকেই শুনতে হয় এই প্রোফাইল নিয়ে কথা।
ফেসবুক প্রোফাইল টা কে আমরা অনেকেই শুধু এন্টারটেইনিং প্ল্যাটফর্ম হিসাবে দেখি কিংবা অনেকেই না বুঝে ডাষ্টবিনের মত দেখি। এই জায়গায় আমরা অনেক বড় ভূল করি।কেননা ফেসবুক প্রোফাইল ই আমাদের গ্লোবাল সিভি।
এদিকে আমাদের সাথে সারাউন্ড করে থাকা সার্কেল এতটাই উচ্চলেভেলের কিংবা এততাই উচ্চমনা যে আপনার প্রোফাইলে আপনার বিজনেসের প্রচার কিংবা আপনার পার্সোনাল ব্রান্ডিং নিয়ে তাদের সমস্যার শেষ নেই।তারা কি কি বলে সেসব নিয়ে আমি আর নাই বা বলি।
তবে আমি আজ ফেসবুক প্রোফাইলের গুরুত্বটালে আলোচনা করবো-
আপনি যদি ফেসবুক প্রোফাইল টা কে কাজে লাগাতে পারেন তাহলেই আপনার সাকসেস রেশিও বেড়ে যাবে অনেক গুনে।
প্রথমেই নিজের নাম: সঠিক ও সুন্দর ভাবে নিজের নাম লিখুন।যেমন- দিবা রাত্রী, পুষ্প মালা, রোদেলা বিকেল এসব বাদ দিন।
এগুলি বিশ্বাস যোগ্যতা নষ্ট করে।
প্রোফাইলে নিজের ছবি ব্যাবহার করুন।ব্যাবসা আপনার কিন্তু প্রোফাইলে ছবি কিসের?
কার্টুন,বাচ্চা,পাখি,ফুল সহ ইদানিং কেউ আবার জামা-কাপড়ের ছবিও দেন,(এসব আইডি আমি একসেপ্ট করিনা)
যাদের একান্ত ই ছবি দেয়া নিয়ে সমস্যা তারা হিজাব পরে দুই কান ঢেকে ক্রপ করে শুধু মুখের ছবি বসাতে পারেন।
আপনাকে না চিনে আপনার সাথে ডিলিংস কেন করবো?
কভার ফটোতে বিশ্বাস যোগ্যতার ছোয়া রাখুন।
নিজের পেজের ব্যানার বা লগো সম্বলিত কিছু বসাতে পারেন।যদি একান্তই নিজেকে বা পরিবারকে রাখতে সমস্যা হয়।আপনার অর্জনের কিছুও রাখতে পারেন।
ফেসবুক প্রোফাইলে বায়ো অপশন আছে, যেখানে ১০০ শব্দের মধ্যে কিছু লিখতে হয় সেখানে আপনার প্যাশন কে ফুটিয়ে তোলে এমন কিছু দিতে হবে।
১০০ শব্দ আমাকে বোঝাতে সক্ষম না , ওয়েল কাম ও টু মাই প্রোফাইল, এই সব বর্জন করুন।
নিজের বাসা, লাইফ স্টাইল, লেখাপড়া, কর্মক্ষেত্র এই সব কিছু সঠিক দিয়ে সুন্দর করে পুরন করুন যেন বিশ্বাস যোগ্যতা আসে।
এবাউট ইনফো টা সুন্দর করে পুরন করুন।
যা দেয়া উচিত সেগুলি কিছুই বাদ রাখবেন না।
ফিচার অপশন কে কাজে লাগান- ফেসবুকে ফিচার অপশনে ৯ টি ছবি দেয়া যায় এখানে আপনার লাইফের বড় বড় অর্জন কিংবা কাজের সাথে সম্পৃক্ত এমন ছবি গুলি দিয়ে সাজান, সর্বদা আপডেট রাখতে পারেন।
নিজের প্রোফাইল লক করে রিকুয়েষ্ট পাঠাবেন না, আপনাকে না চিনলে কীভাবে আপনাকে একসেপ্ট করবে অন্য জন?
আপনার সিকিউরিটি আছে অন্যের ও তো আছে।
আর প্রোফাইল ইমেজ লক করলেই হয় সম্পূর্ন প্রোফাইল লক করা লাগে না।
এতে আপনার ফ্রেন্ড লিষ্টের বাইরের কাষ্টমার হারাচ্ছেন।
প্রোফাইলে শুধু ঘোরা ফেরা আর আড্ডাবাজীর ছবি না দিয়ে লাইফ স্টাইল কে আনতে চেষ্টা করুন, আপনার কাজের রিভিউ পোষ্ট পেজের সাথে সাথে প্রোফাইলে ও করুন।
অনেকেই আছে নতুন দেখে অনুপ্রানিত হবে।
আপনার কাজ কে পেজে ই না প্রোফাইলে ও দিতে পারেন। তবে লিমিট রেখে মাছ, জামা, এই সব বিজ্ঞাপনেই যেন ভরে না যায় প্রোফাইল।
উদ্যোক্তা হয়েছেন তাই রেভিনিউ শেয়ার করুন- মানে সমাজে আমাদের দ্বায়বদ্ধতা আছে।
আপনি কোন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশ নিলে সেটা প্রকাশ করুন এতে আপনাকে যারা ফলো করে তারা উদ্বুদ্ধ হবে।
রেভিনিউ শেয়ার মানেই কিন্তু টাকা পয়সা না, আপনার সময় কাউকে দেয়া ও তো রেভিনিউ শেয়ার।
রক্ত দিলে পোষ্ট করুন।
প্রতিটি প্রজেক্ট শেষ করে দেবার চেষ্টা করুন প্রোফাইলে (অন্তত শুরুর দিকে)।
নোট- আমি নিজেই এখন সব দিয়ে পারি না কারন দিনে ৫ টার বেশি প্রজেক্টের পোষ্ট দিলে অনেকেই বিরক্ত হয়ে যাবে।
অন্তত সপ্তাহে একটা দিতে হবে।
ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এলেই একসেপ্ট না করে দেখুন উনি আপনাকে শুধু একদিন দেখেই রিকুয়েস্ট দিলেন কিনা।
নাকি আপনাকে প্রতিনিয়ত ফলো করছেন।
যারা রেগুলার তাদের কে বন্ধু তালিকায় রাখুন।
কেননা লিমিট তো ৫০০০।
আপনার পোষ্টের রিচ হিসাব করুন, ইনএকটিভ মেম্বার বাদ দিন।
আত্নীয় হলেও কারন আত্নীয় তো ফেসবুক হবার আগেও ছিলো।
সে থাকার হলে এমনি তেই থাকবে।
আজ এই পর্যন্ত ই।
আপনাদের নিজেদের করা এই ভূল গুলি আপনাদের কে পিছিয়ে দিচ্ছে অনেক।এগুলি ঠিক করুন ইনশাআল্লাহ কাজের পরিমান বেড়ে যাবে।