অনলাইনের এই সময়ে মানুষ তার চাহিদার
অধিকাংশ জিনিস অনলাইন থেকে পেয়ে থাকে।
কারন আপনি এখন অনলাইন থেকে যেকোন পণ্য অর্ডার দিয়ে কিনতে পারছেন এবং আপনার চাহিদা মেটাতে পারছেন। এখন একটি ওয়েব সাইটের গুরুত্ব অনেক ধরনের হয়ে দাড়িয়েছে। এখান থেকে যেমন আপনি আপনার বিভিন্ন সখ মেটাতে পারবেন তেমনি অনেক টাকাও আয় করতে পারবেন।
ইন্টারনেট বলতে কি বুঝি আমরা ?
ইন্টারনেট হচ্ছে কম্পিউটার নির্ভর বৈশ্বিক তত্ত্ব পদ্ধতি। পরস্পর সম্পর্ক যুক্ত অনেকগুলো কম্পিউটার
কেন্দ্রিক নিরবিচ্ছিন্ন্য নেটওয়ার্কের সমষ্টিই হচ্ছে ইন্টারনেট।
প্রতিটি নেটওয়ার্কের সাথে শত শত অথবা
হাজার হাজার কম্পিউটার যুক্ত থাকে, এগুলোর একটি অন্যটির সাথে গননাকারী তথ্য যেমন শক্তিশালী
সুপার কম্পিউটার সমূহ এবং তথ্যের উপাত্তভান্ডার আদান প্রদান সক্ষম করে।
ইন্টারনেট বিশ্বব্যাপী মানুষকে ফলপ্রসূভাবে এবং সূলভে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম করেছে।
ওয়েবসাইট
একই ডোমেইনের অধীনে একাধিক ওয়েবপেজের সমষ্টিই ওয়েবসাইট । ওয়েবসাইটে প্রথম ঢুকলে যে পেজটি প্রদর্শিত হয় সেটিকে হোমপেজ বলা হয় । সারা বিশ্বে প্রতিদিন হাজার হাজার ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে ।
সুতরাং ওয়েবসাইট হলো কোন নির্দিষ্ট ওয়েব সার্ভারে রাখা বিভিন্ন ধরনের ওয়েব পৃষ্ঠা, আপলোড কৃত ছবি,
অডিও, ভিডিও ও অন্যান্য বিষয় যেমনঃ Infographic, GIP, Animation ইত্যাদি ডিজিটাল তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়, যা আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা অন্যন্য স্মার্ট ডিভাইসের এর মাধ্যমে এক্সেস করে দেখতে পারি।
এই সকল তথ্য জমা রাখার জন্য দরকার পড়ে হোষ্টিং এর আর যে নামে আপনি সাইট টি বানাতে চাইছেন সেটি হলো ডোমেইন।
এই সম্পর্কিত পোষ্ট আছে আমার অনেক।
ইন্টারনেটে একটি ওয়েবসাইট খুলতে যা যা করতে হয়:
১। প্রথমত একটি ডোমেইন নেম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
২। ভালো মানের হোস্টিং ভাড়া নিতে হবে।
৩। ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে।
ওয়েব পেজ বলতে কি বুঝায়?
দেখবেন একটি ওয়েবসাইটে বেশ কিছু ওয়েব পেজ বা পৃষ্ঠা থাকে। ওয়েব পেজ বা পৃষ্ঠা মূলত একটি html
document যা http protocol এর মাধ্যমে ওয়েব সার্ভার থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওয়েব
ব্রাউজারে স্থানান্তরিত হয়।
আর এই সমস্ত উন্মুক্ত ওয়েবসাইট গুলিকে সমষ্টিগতভাবে “WWW” অর্থাৎ
(ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা বিশ্বব্যাপী জাল) নাম বলা হয়ে থাকে।
আপনি কেন একটি ওয়েব সাইট কিনবেন এবং একটি ওয়েব সাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা গুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ
১.স্বল্প ব্যয়ে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাদের ব্যবসার প্রসারের জন্য ওয়েবসাইট ব্যাবহার করতে পারে।
২.খুব কম খরচে যে কোন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইট ব্যাবহার করে তাদের ব্যবসার প্রসার করতে পারে।
৩.প্রিন্ট মিডিয়ার চেয়ে অনেক কম খরচে আকর্ষণীয় সাইট তৈরি করা যায়।
৪.ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য যে কেও যেকোন স্থান থেকে যে কোন সময় দেখতে ও পড়তে পারে।
৫.নির্দিষ্ট প্রসেস এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটে তাৎক্ষনিক তথ্য প্রকাশ করা যায়।
৬. ওয়েবসাইটে লেখা, অডিও, ভিডিও, স্থির চিত্র, অ্যানিমেশন ইত্যাদি যুক্ত করা
৭. বড় বড় কর্পোরেশন ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো আন্তর্জাতিকভাবে তাদের ব্যবসায়িক লেনদেনের ও
পরিচিতি লাভের জন্য ওয়েবসাইটকে তাদের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
৮. ওয়েবসাইট থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ( যেমনঃ বিভিন্ন ছবি, অডিও, ভিডিও, পিডিএফ ফাইল ) ডাউনলোড করা যায় ।
৯.ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের প্রয়োজনীয় তথ্য ডাউনলোড করা যায় ।
১০. বিভিন্ন সরকারি ওয়েবসাইট থাকার ফলে আমরা সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ ও জানতে পারি ।
যেমনঃ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্ট, ভুমি বা জমি-জমা সংক্রান্ত তথ্য, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি।
১১.একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে খুব দ্রুত ও সহজেই যেকোন ব্যবসা মানুষের কাছে পরিচিতি করানো যায়।
১৩. ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ই কর্মাস ব্যবসা করা যায়।যেমন Amazon, Aliexpress, Ebay বড়
বড় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠিত সাইট ।
১৪. একটি ই-কমার্স সাইটের সাথে আপনি আপমার একাউন্টস এর কাজ ও করে নিতে পারবেন অটোমেটিক।
১৫. কাষ্টমার ডাটাবেজ ও ম্যানেজ করতে পারবেন সহজেই।
শুধুমাত্র ই-কমার্স ওয়েবাসাইটের সুবিধা নিয়ে লিখবো আলাদা পর্বে।