মানুষকে কথা শোনানো একটা বিশাল দক্ষতা। অনেক মানুষই আছে, যারা মন দিয়ে কথা শুনতে চায় না। যত ভালো কথাই হোক, তাদের কানে ঢোকে না। এই ধরনের মানুষ সাধারণত যোগাযোগে ভালো হয় না, এবং জীবনে খুব একটা উন্নতিও করতে পারে না। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এই ধরনের অনেক মানুষও ভালো ভালো জায়গায় চলে যেতে পারে। এদের দিয়ে কাজের কাজ হওয়া খুব কষ্ট, কিন্তু জায়গা থেকে বাদ দেয়ারও উপায় থাকে না।
আবার ধরুন, আপনার সন্তান, ভাই/বোন, বা অন্যকেউ খুবই মেধাবী – কিন্তু পড়াশুনা করতে চায় না। নতুন কিছু শিখতে চায় না। যত ভাবেই তাদের বলা হোক, তারা কথা শোনে না।এমন কিছু কাষ্টমারও পাবেন আপনি।
হতে পারে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কোনও কর্মী বা আপনার অফিসের কোনও সহকর্মীরও এই ঝামেলা আছে। এই কথা না শোনার অভ্যাসের কারণে – এই ধরনের মানুষ যেমন নিজের ক্ষতি করে, তেমনি এদের আশপাশের মানুষও যথেষ্ঠ ঝামেলায় পড়ে।
পাবলিক রিলেশন ও মার্কেটিং বিষয়ক শীর্ষস্থানীয় ম্যাগাজিন “পিআর ডেইলি” এর একটি গবেষণায় দেখা যায়, মাত্র ২% মানুষ কথা শোনার বিষয়ে ট্রেনিং প্রাপ্ত। হ্যাঁ – এটা একটা দক্ষতা, এবং এই বিষয়েও শেখার অনেক কিছু আছে। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ তা জানেই না। এবং বেশিরভাগ মানুষ অন্যের কথা শোনার চেয়ে নিজের কথা বলতে বেশি পছন্দ করে।
এমনও হতে পারে – মানুষ আপনার কথা শুনছে না, কারণ আপনিও হয়তো কথা বলার মত, কথা শোনায় দক্ষ নন। মানুষকে কথা শোনানোর জন্য আপনাকেও কথা শোনায় দক্ষ হতে হবে। মানুষকে নিজের কথা শোনানোর জন্য এটাও একটা প্রয়োজনীয় বিষয়। এরকম আরও কিছু বিষয় আছে যেগুলো অন্যকে আপনার কথা মনোযোগ দিয়ে শোনাতে সাহায্য করবে। আজকের কন্টেন্টে আমি এই বিষয় নিয়ে লিখবো।
বেশি বেশি প্রশ্ন করুন
আগে অন্যকে বলতে দিন
বোঝাপড়া তৈরী করুন
শ্রোতা বুঝে কথা বলুন
বিভিন্ন ধরনের শেখার প্যাটার্ণ সম্পর্কে জানুন
এই পাঁচটি টেকনিক নিয়ে বিস্তারিত আমি লিখবো ইনশাআল্লাহ। শুধু রেডি হয়ে যান কথা শোনানোর টেকনিক শেখার জন্য।