ধরুন, একজন ছাত্র পড়াশুনা খুব কম করে। তার ফলাফল মোটেও ভালো না। প্রথম দিকে খারাপ লাগলেও এখন আর রেজাল্ট খারাপ হলে তার খারাপ লাগে না। কষ্ট করে নিয়মিত পড়াশুনা করার চেয়ে সে টিভি দেখে আর অন্য খারাপ ছাত্রদের সাথে আড্ডা দিয়ে সময় কাটাতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছে। – এই অভ্যস্ততাই কমফোর্ট জোন।
এখন যদি তাকে ভালো রেজাল্ট করতে হয় – তাহলে তাকে টিভিতে ভালো প্রোগ্রাম চলার সময়ে পড়াশুনা করতে হবে, আগের বন্ধুদের বাদ দিয়ে ভালো পড়াশুনা করা ছাত্রদের সাথে চলতে হবে। এগুলো করতে গেলে তাকে তার কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
আগের বন্ধুদের থেকে সে দূরে সরে যাবে, তার প্রিয় টিভি প্রোগ্রাম গুলো মিস হবে – এইসব ছোট ছোট জিনিস হারানোর ভয়ে সে তার রুটিনই পরিবর্তন করলো না। এখন আপনিই বলুন – এটা কি তার জন্য ভালো কিছু হয়েছে?
এমন অনেক প্রতিভাবান মানুষ আছেন, যাঁরা উদ্যোক্তা হতে চান, বা নিজে কিছু করতে চান। কিন্তু কমফোর্ট জোন থেকে বের হতে না পারার কারণে তাঁরা শুরুই করতে পারেন না।
মনোবিজ্ঞানী ও গবেষকরা বহু বছর ধরে এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করে আসছেন। তাঁরা কমফোর্ট জোন কে সঠিক ভাবে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করার পাশাপাশি, এটা থেকে বের হয়ে আসা কেন কঠিন – তা বোঝার চেষ্টা করেছেন। সেইসাথে, কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে আসাকে সহজ করার নানান উপায় বের করার চেষ্টা করেছেন – এবং এখনও করছেন। তাঁদের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে একটু কষ্ট স্বীকার করে যদি নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বের হয়ে আসতে পারেন – তবে দেখবেন আপনার জীবনে এত বেশি ইতিবাচক বা পজিটিভ পরিবর্তন এসেছে – যা আপনি আগে ভাবতেও পারেননি।
যাদের জানার আগ্রহ আছে তাদের জন্য এই লেখা চলবে…