কমফোর্ট জোনের ভেতরে থাকার খারাপ প্রভাব থাকলেও, এটি সার্বিক ভাবে খারাপ কিছু নয়।
আপনার যদি একটি ভালো চাকরি বা ব্যবসা থাকে, আপনার জীবন যদি সুন্দর মত চলতে থাকে, আপনি যদি পরিবার ও বন্ধু-আত্মীয় নিয়ে সুখী হন – এবং এটাই যদি হয় আপনার কমফোর্ট জোন – তাহলে এখান থেকে বের হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই।
আপনি এখন যা – তারচেয়ে বেশি কিছু হতে, বা আপনার যা আছে, তারচেয়ে বেশি যদি না চান – তাহলে এখানেই থাকুন।
কিন্তু যদি অনেক বড় কিছু করতে চান, নিজের ক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করে কিছু করে দেখাতে চান – এবং এখন যে অবস্থায় আছেন সেই অবস্থা থেকে বের হতে চান, কিন্তু প্রথম পদক্ষেপটিই নিতে পারছেন না – তাহলে খুব সম্ভবত আপনার কমফোর্ট জোন আপনাকে পেছন থেকে টেনে ধরে আছে।
যখনই মনে হবে আপনার বর্তমান অবস্থাটি আপনার জন্য আদর্শ নয়, এবং সেই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য কি করতে হবে – তাও আপনি জানেন – কিন্তু সেটা না করার জন্য নিজের মন থেকেই নানান অযৌক্তিক কারণ দাঁড় করাচ্ছেন, এবং পদক্ষেপ নেয়া থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন – তবে আপনার কমফোর্ট জোন থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করা উচিৎ।
অনেক সময়ে অনেক মানুষকে আমরা পছন্দ করি না, অথবা তাদের জন্য আমাদের ক্ষতি হচ্ছে – এবং আমরা বুঝতে পারি মানুষটিকে দূরে রাখা দরকার – তবুও আমরা তাকে কিছু বলতে পারি না বা এড়িয়ে চলতে পারি না। এটাও কমফোর্ট জোনে আটকে পড়ার একটি উদাহরণ। আপনি চাচ্ছেন না তার সামনা সামনি সত্যি কথা বলে নিজের মনের ওপর চাপ বাড়াতে। যেমন চলছে – তেমনটাতেই আপনি অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। কিন্তু নিজের কথা না বললে তার দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব আপনার আরও বেশি ক্ষতি করবে। আপনি কাউকে বা কারও কোনও আচরণকে পছন্দ করছেন না; কিন্তু সেটা তাকে বলছেনও না – এমন পরিস্থিতি হলে আপনার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই কমফোর্ট জোনটি ভাঙা প্রয়োজন।