আপনি স্টার্টআপ হোন কিংবা কর্পোরেট অফিসে চাকুরী নিয়ে বলেন, সব চেয়ে বেশি যে শব্দ গুলির সাথে পরিচিত হবেন তার মধ্যে একটি হলো কমিউনিকেশন স্কিল।
কমিউনিকেশন স্কিল কি?
কমিউনিকেশন এর বাংলা প্রতিশব্দ হলো যোগাযোগ এবং স্কিল এর মানে দক্ষতা।
অর্থাৎ সহজ ভাষায়, যোগাযোগ করার যে সহজাত দক্ষতা তা হলো কমিউনেকশন স্কিল।
কমিউনিকেশন স্কিলের ব্যাপকতা কেমন?
ব্যাপক অর্থে বলতে গেলে অন্যের দেয়া তথ্য সঠিক ভাবে বুঝতে পারা এবং নিজের তথ্য অন্যের কাছে সহজে বোধগম্য করে তোলার যে দক্ষতা তা হলো কমিউনিকেশন স্কিল। এখানে “যোগাযোগ” হতে পারে মানুষ বা যন্ত্র অথবা কোনো প্রাণীর সাথে।
কমিউনিকেশন স্কিলের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু?
স্টার্ট আপ বা কর্পোরেট জব সব ক্ষেত্রেই সফলতার জন্য মূখ্য ভূমিকা পালন করে কমিউনিকেশন স্কিল। আমরা আমাদের নিত্যদিনে পরিচিত হই অনেক মানুষের সাথে কিন্তু সবার সাথে আমাদের সম্পর্ক এক রকম কিন্তু হয় না।
কারন আমরা তাদেরই পছন্দ বা প্রাধান্য দিই যারা আমাদের কাছে খুব সহজেই মনোভাব প্রকাশ করে কিংবা আমাদের কথা বুঝতে পারেন।
কর্পোরেট জবে কমিউনেকশন স্কিলের প্রভাব?
চাকরি ভাইভাতে গেলেন; সেখানে আপনার চাকরি পাবার সম্ভাবনা নির্ভর করে আপনি ভাইভা বোর্ডের লোকজনের সাথে কতটা সাবলীল ভাবে যোগাযোগ করছেন তার উপর।
চাকরি টা পেয়ে গেলেন, আপনি নিশ্চয়ই ঐ কোম্পানির একমাত্র ব্যক্তি নন।
আপনার সিনিয়র, জুনিয়র, সহকর্মী এদের সাথে আপনাকে সম্পর্ক রাখতেই হবে। টিম ওয়ার্ক, মিটিং বা গ্রাহক সেবা সব ক্ষেত্রেই যোগাযোগ সাধারন।
এসব কাজে বা সম্পর্কে যত সহজে যোগাযোগ করতে পারবেন ততো পদোন্নতি পাবার সম্ভ্যাবতা বেশি।
স্টার্ট আপে কমিউনিকেশন স্কিলের নির্ভরতা?
গ্রাহক সন্তুষ্টি বা স্টার্ট আপের প্রসার নির্ভর করে কমিউনিটির সাথে যোগাযোগ দক্ষতার উপর।
কিছু বেসিক কমিউনিকেশন স্কিলঃ
১. যতসম্ভব কম কিন্তু যৌক্তিক কথার মাধ্যমে ধারণা স্পষ্ট করা।
২. হৃদয় জয় করা হাসি দিয়ে আপনার তথ্যের গুরুত্ব তুলে ধরা।
৩. চোখের দৃষ্টিতে নিজের সততা, নির্ভরতা, শ্রদ্ধা এবং ভরসা প্রকাশ করা।
৪. হ্যান্ডশেক বা পিঠ চাপরের মাধ্যমে নিরাপত্তা ও নির্ভয়তা ফুটিয়ে তোলা।
এগুলি শুধুমাত্র উদাহরণ ছিলো, আপনি আপনার মত করেই চিন্তা করবেন।
কিভাবে ডেভেলপ করবেন কমিউনিকেশন স্কিল?
১. অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা। যা আমরা করতেই চাই না।
কিন্তু একজন ভালো শ্রোতা ই ভালো বক্তা।
২. বডি ল্যাংগুয়েজ বা অঙ্গভঙ্গি যেমন- নিজের তথ্য উপস্থাপনে আই কন্টাক্ট, হাত নাড়াচাড়া, স্বরভংগি পরিবর্তন ইত্যাদির সুষ্ঠু ব্যবহার।
অন্যের কথা শোনার সময়ও সুন্দর, সহজভাবে তাকানো বা আইকন্টাক্টের মাধ্যমে আপনি যে তার কথা বুঝেছেন এই ব্যাপারে আস্বস্ততা দেওয়া।
৩. বক্তব্যে সহজ, স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত ভাবে যুক্তি উপস্থাপন করা।
৪. বন্ধুত্বপূর্ণ আচরন করা।
৫. অন্যের দেওয়া তথ্য এবং অন্যকে সম্মান ও শ্রদ্ধা করা।
৬. অন্যের বক্তব্যের ফিডব্যাক বা সাড়া দেওয়া।
৭. সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার করা।
কমিউনিকেশন স্কিল ডেভলপ করতে যা পরিহার করবেন।
১. দুর্বোদ্ধ ভাষা ব্যাবহার করবেন না।
২. অমোনযোগী হবেন না।
৩. হঠাৎ করেই কাউকে বিচার করে তার পার্সোনালিটি ট্যাগ দিবেন না (Don’t judge a book by its cover)।
৪. অযথা উপদেশ বা সমাধান দিবেন না।
৫. উদ্ভট অঙ্গভংগি যেমন নখ কামড়ানো, নাকে হাত দেয়া, চুলকানি পরিহার করবেন।
৬. সাইড টক বা বক্তাকে এড়িয়ে যাওয়া পরিহার করবেন।
আজ এই পর্যন্ত।