“কাউকে গাইড করার আগে তার স্বপ্নটা বুঝতে হয়।”
দিন যাচ্ছে, আর রাগ বাড়ছে আমার উপর — কারণ আমি নাকি এখন আর আগের মতো হেল্পফুল নেই।কিছু জানতে চাইলেই প্রশ্ন করি।
প্রতিদিন অন্তত ২০ টা ম্যাসেজ আসে- আমার আসলে ক্যারিয়ার কোনদিকে নেয়া উচিত?আমার ক্যারিয়ার গাইডলাইন কেমন হওয়া উচিত?
কিন্তু আমি সেই উত্তর না দিয়ে বরং এখন অনেক বেশি প্রশ্ন করছি। আসলে ভুল ভাবছেন।আমি দায়িত্বশীলতা শিখেছি বা অর্জন করেছি,আগের চেয়ে বেশি।
কারণ আমি বুঝেছি —
“জোর করে কারো ক্যারিয়ার গড়া যায় না।”
আপনি যতই কাউকে শেখান না কেন,যদি তার নিজের মধ্যে আগ্রহ না থাকে —সেই শেখা কষ্ট হয়ে যায়,কোন ভাবেই সেটা থেকে সাফল্য আসেনা।
তাই আমি এখন কাউকে গাইড করার আগে আগে কিছু প্রশ্ন করি।এই প্রশ্নগুলোর উত্তরই বলে দেয় —
তার ক্যারিয়ার কোন পথে গেলে সবচেয়ে সুন্দরভাবে ফুটে উঠবে।
নিচের পয়েন্টগুলোই আমি দেখি, বোঝার চেষ্টা করি —

ইন্টারেস্ট ও প্যাশন: কোন কাজ করতে সে সময় ভুলে যায়?

স্ট্রেন্থ: কোন কাজে সে তুলনামূলকভাবে ভালো পারফর্ম করে?

ভ্যালু ও বিলিফ সিস্টেম: জীবনে তার কাছে কী বেশি গুরুত্বপূর্ণ — অর্থ, প্রভাব, স্বাধীনতা, না স্বীকৃতি?

অভিজ্ঞতা ও এক্সপোজার: সে আগে কী কী কাজ বা এক্সপেরিমেন্ট করেছে?

স্কিল গ্যাপ: সে কোন জায়গায় দুর্বল, কোন জায়গায় স্কিল বাড়ালে গ্রোথ আসবে?

লাইফস্টাইল ভিশন: সে কেমন জীবন চায় — কর্পোরেট, ক্রিয়েটিভ, না উদ্যোক্তা ধাঁচের?

ইমোশনাল রেজিলিয়েন্স: চাপ এলে সে কীভাবে রিঅ্যাক্ট করে?

লার্নিং হ্যাবিট: নতুন কিছু শেখার আগ্রহ কতটা আছে?

ইনার মোটিভেশন: কেন সে এই পথ বেছে নিতে চায় — নিজের জন্য, না অন্যের জন্য?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা থাকলে,
একজন মানুষের ক্যারিয়ারের “ম্যাপ” তৈরি হয়ে যায় নিজের ভেতর থেকেই।
কারণ দিক দেখানোর আগে,
দিকটা জানতে হয়।
আর মনে রাখা উচিত, ভুল পথে গতি মানে—
সময়, শক্তি আর ভালোবাসা— তিনটাই হারানো।”