এক শ্রক্রবারে আমি আমার অফ ডে হিসাবে ফ্যামিলিকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলাম,যথারীতি ঘোরা শেষে, আমার ছেলের রেগুলার রুটিন হলো ক্যাফে ডি লাইট (যশোর) যাবে। এখানেই সে তার পছন্দের ব্লাক ফরেষ্ট কেক ও হটডগ অর্ডার করে নিজেই।আমাদের সাথে এই রেষ্টুরেন্টের সম্পর্ক ১০ বছরের। এজন্য অন্য কোথাও খুব কম যাওয়া হয় ছেলেকে নিয়ে,কারন টাও হলো ছেলে অন্য কোন জায়গা পছন্দ করেনা।
শুক্রবার ঐ রেষ্টুরেন্ট বন্ধ থাকার জন্য,একে একে ২য়,৩য় সব পছন্দ ঘুরেও তার চয়েজ মত যখন হলোনা তখন তাকে অনেক বুঝিয়ে ক্যাফে থিয়েটার নামক রেষ্টুরেন্টে নিয়ে গেলাম।
যথারিতি ছেলের ও ছেলের মায়ের পছন্দের খাবার অর্ডার করে বসে আছি,বেশ দেরি হচ্ছে এজন্য আমি রিডিং সিলেবাস পড়ছিলাম। দেরি বেশ হচ্ছে দেখে আমি মোটামুটি বিরক্ত হচ্ছি সবেমাত্র,এমন সময় একটা ওয়েটার ভদ্রলোক খুব মিষ্টি হেসে জানালেন- স্যার আপনাদের সকল অর্ডার প্রসেসিং এ, প্রন ফিস টা একটু সময় সাপেক্ষ বলে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে এজন্য আমরা ক্ষমা চাইছি।
আমি মুচকি হাসি দিয়ে বললাম আচ্ছা ঠিক আছে,একটু পরেই দেখি দই ফুচকা দিয়ে গেলো।
আমি- আমাদের এটা,বলার আগেই ওয়েটার জানালো
স্যার ম্যাডাম একটু এটা টেষ্ট করুক,এটা ম্যাডামের জন্য। আপনাদের অর্ডার টা আসছে একটু পরেই।
আমি হতবাক এবং একই সাথে আমার যত বিরক্তি সৃষ্টি হয়েছিলো সব যেন উধাও,কারন এত দারুন ব্যাবহার আর খাবার গুলি এত ফ্রেশ ছিলো যা বলার বাইরে।
আমার মত একজন রেগুলার কাষ্টমার ক্যাফে ডি লাইটের সেও কিনা এই রেষ্টুরেন্টের খাবারের প্রেমে পড়ে অন্যদের রেফার করে দিলাম।
এই পুরো গল্প থেকে কে কি বুঝলেন?
কাষ্টমার কেয়ার ব্যাপারটা কিন্তু আসলেই খুব গুরুত্বপূর্ণ
মোঃ সৌভিকুর রহমান
শিক্ষক (কম্পিউটার বিভাগ)
যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
আমার কাজ- লগো ডিজাইন,ফেসবুক পেজ ডেকোরেশন, ওয়েবসাইট ডিজাইন, ফেসবুক পেজ প্রোমোট,পোষ্ট বুষ্ট,ডোমেইন-হোষ্টিং,ভিডিও এডিটিং,কন্টেন্ট রাইটিং।