কী করে বুঝবেন যে আপনি বিষণ্ণতায় ভুগছেন?

১. কাজের প্রতি অনীহা
আপনার শখের কাজগুলোতে আপনি ধীরে ধীরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে শুরু করবেন। কোন কাজেই উৎসাহ পাবেন না। সারাদিন শুয়ে-বসে থাকাকেই মনে হবে সবচেয়ে সহজ কাজ এবং এর বাইরে সকল কাজকেই বোঝা মনে হবে। এক সময় যে কাজে খুব আনন্দ পেতেন, সে কাজেও কোন আগ্রহই খুঁজে পাবেন না।
২. খাদ্যাভাসে পরিবর্তন
ডিপ্রেশনে আক্রান্ত হলে আপনার রেগুলার খাদ্যাভাসে পরিবর্তন দেখা দেবে। হয় আপনি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি খাবেন আর নয়তো আপনার খাবারে অরুচি দেখা দেবে। এ ফলে আপনার ওজন দ্রুত বাড়বে বা কমতে থাকবে যা আপনার শরীরে বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি করবে। খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে অনীহা কাজ করবে, প্রিয় খাবারগুলোকেও স্বাদহীন মনে হবে।
৩. দীর্ঘকালীন অনিদ্রা
দীর্ঘ সময় ধরে অনিদ্রা বিষণ্ণতার একটি লক্ষণ। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে যারা বিষণ্ণতায় ভুগছেন তাদের আশি ভাগেরই অনিদ্রার সমস্যা রয়েছে। যেসব রোগীর দীর্ঘকালীন অনিদ্রাজনিত সমস্যা রয়েছে তাদের বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবতা তাদের চেয়ে তিন গুণ বেশি যাদের এ সমস্যা নেই। অনেক চিকিৎসকরা বিশ্বাস করেন, অনিদ্রা রোগের যথাযথ চিকিৎসার মাধ্যমে বিষণ্ণতা রোগের তীব্রতা প্রশমন করা সম্ভব। বিষণ্ণতা থাকলে অধিকাংশ রাতেই আপনার ঘুম হবে না, মনের সব খারাপ লাগাগুলো রাতে এসে হাজির হবে আপনার কাছে। যদি আপনার দীর্ঘকালীন নিদ্রাহীনতাজনিত সমস্যা থেকে থাকে, তবে আপনি হয়তো বিষণ্ণতায় ভুগছেন।
৪. অবসাদ
বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হলে অবসাদ আপনাকে গ্রাস করবে। তাই যখন দেখবেন আপনি অবসাদগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন, কোন কিছুতেই উৎসাহ পাচ্ছেন না তখন বুঝবেন আপনি বিষণ্ণতায় ভুগছেন।
৫. নিজের মধ্যে গুটিয়ে যাওয়া
বিষণ্ণতার কারণে আপনি নিজেকে নিজের মধ্যে গুটিয়ে ফেলতে থাকবেন। পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গ ভালো লাগবে না। সামাজিকতা অনেক সময় অসহনীয় হয়ে দেখা দেবে। একাকীত্ব ঘিরে ফেলবে আপনাকে যা আপনার সমস্যা আরো বাড়িয়ে তুলবে। কোথাও যেতে ইচ্ছে হবে না, কারও সাথে কথা বলাটা বিরক্তিকর মনে হবে। একা থাকতে ইচ্ছা হবে সব সময়।
৬. সবকিছুতেই মনোযোগের অভাব
বিষণ্ণতার ফলে আপনি একটা ঘোরের মধ্যে ঢুকে যেতে থাকবেন। কোন কিছুতেই ঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে পারবেন না। অন্যদের কথা মন দিয়ে শুনতে পারবেন না বা কোন আলেচনায় অংশ নিতে পারবেন না। ফোকাস কমে যাবে, সব কিছুতেই অন্যমনস্ক হয়ে পড়বেন।
৭. সব বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব
দুঃখবোধ, আশাহীনতা ও হতাশা আপনাকে ঘিরে ফেলবে, সবকিছুতেই নেতিবাচক মনোভাব দেখা দিতে থাকবে; আপনার দ্বারা কিছুই হবে না।” – এমন চিন্তা আসতে শুরু করবে।
ডিপ্রেশন আমাদের জীবনের একটা পর্যায়, সবার জীবনেই এমন খারাপ সময় আসতে পারে। তাই সংকোচ,দ্বিধা ভুলে ডিপ্রেশন থেকে উদ্ধার পেতে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *