কোম্পানি কা মাল, দারিয়া মে ঢাল

Sharmin Sultana আপু একদিন জিজ্ঞেস করেই বসলেন, সৌভিক ভাই- আমি কোনভাবেই আমার কোম্পানির কস্ট মিনিমাইজ করতে পারছিনা,এই কথা শুনছি আর মনে মনে একটু দ্বিধায় পড়ে যাচ্ছি দেখেই কফিতে একটা চুমুক দিতে চেষ্টা করছি।
এমন সময়ে Jebin Sultana Jara আপু বললেন- ভাই,উদ্যোগের কাজ তো সব একা করা যায়না,আপনিও বলেছেন যে- “আমাদের Budget Finalizing ক্লাসে,আমরা যেন খরচগুলি কমাতে চেষ্টা করি।সেটার একটা সহজ সমাধান দেন।”
আমি বেশ চিন্তিত হয়ে গেলাম-আসলে এত বড় একটা টার্মের সমাধান এত সহজে কিভাবে দিব সেটা ভাবছি।কারন, এই কাজটা যারা করতে পারে তাদেরকে বলা হয়- “Company Person”
প্রশ্ন করে বসলাম- Kaniz Sayema Rumpa আপুকে, আচ্ছা আপনাদের কোম্পানিতে এমন Company Person কতজন আছে?
Ferdousi Akhter আপু বললেন- এইটাই আবার কি জিনিস?
আমি হাতের সামনে থাকা টিস্যু পেয়ে একটু খুশিই হলাম,আর হাতে থাকা টিস্যু দেখিয়ে বললাম- “আপনাদের সকলেরি ব্যাক্তিগত ব্যবহারের জন্য মাসে কতবক্স টিস্যু খরচ হয়?
সকলেই প্রায় একসাথে বলে বসলেন- “এই তো এক, দেড় কখনো দুইটা!”। মানে কারোর ই মাসে, ১-২ টার বেশি লাগেনা।
এইবার আমি Abdullah Noman কে জিজ্ঞাস করলাম- “নোমান আমাদের ICT CARE এর জন্য মাসে কতগুলি প্রয়োজন পড়ে?
নোমান জানালো- স্যার, মাসে ২৮-৩০ বক্স তো লাগেই।
আমি- আমাদের অফিসে চাকুরী করে কতজন ফিজিক্যালি?
নোমান- স্যার ৬ জন আর রিমোর্ট করেন ৬ জন।
আমি- ঐ ৬ জন ব্যাক্তি যদি দুই বক্স করেও ব্যবহার করতেন তাহলে আমাদের মাসে টিস্যু খরচ হতো ১২ বক্স।আর বেঁচে যেতো ১৮*৬০= ১০৮০ টাকা।
এই কারনেই আমি এখন সবার ডেক্সে টিস্যুর বক্স আলাদা করে দিয়ে বলেছি- মাসে ১ টা বক্স পাবেন,সর্বোচ্চ ২ টা বক্স।
এখন অটোমেটিক্যালি আমাদের ১০ টা বক্সেই হয়ে যাচ্ছে।
আমি হেসে বললাম সবাইকে, “আপনি যদি য়াপনার বাসাতে কিংবা ব্যাক্তিগত ব্যবহারের জন্য মাসে এক, দেড় অথবা দুইটা বক্স ব্যবহার করেন এবং আপনার অফিসেও সেইম কাজ করেন- তবেই আপনি একজন “Company Person!”
সবার হাতে থাকা টিস্যুগুলি নিয়ে বেশ লজ্জা নিয়েই- মাথা নিচু করে Shamima Sultana আপু বললেন-আমিতো এতদিন কোথাও গেলে শুধু টিস্যু এইভাবে নষ্ট করতেই থাকি। এখন থেকে Company Person হতে চেষ্টা করবো 🙏
ইংরেজিতে একটা শব্দ আছে ”Company Person’ বাংলায় যার অর্থ বুঝায় আমরা যে কোম্পানিতে জব করি তাকে নিজের কোম্পানি মনে করে সার্বিক বিষয়াদির উপর খেয়াল রেখে Cost Minimize করা।
মনে রাখতে হবে- একটা কোম্পানি মাস শেষে যতবেশি টার্ন ওভার করতে পারবে,তত বেশি হবে বছর শেষে,আর ততটাই সন্তষ্টির উপরে আপনাদের সবার স্যালারী বেড়ে যাবে।
Cost Minimize হলে সকলের সেল টাও বেড়ে যাবে,কারন খরচ টাও তো কমে আসে।
মুল কাজ কি জানেন- “কোম্পানি কা মাল, দারিয়া মে ঢাল”এই নীতি থেকে আমাদের বের হতে হবে সবাইকেই।
Zahra Hasina Parveen আপুর বেশ কাজে আসার কথা এটা।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *