কোয়ালিটি ধরে রেখে কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ।

কোয়ালিটি ধরে রেখে কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
আমি সব সময়ই বলি- কাজ কম হোক তবে যতটুকু হোক,সেটাতে যেন কোয়ালিটি ধরে রাখা সম্ভব হয়।গত দুইদিনে আমি বেশকিছু পজিটিভ ব্যাপার দেখেছি।
১. আমাদের তরুনরা নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করার জন্য শুধুমাত্র চাকুরীর পিছনে ছুটছেনা।
২. সংখ্যাটা খুবই সামান্য, তবে তারা অন্তত এই নষ্ট হয়ে যাওয়া সমাজের ভীড়ে নিজেকে আলাদা করতে চেষ্টা করছে।
প্রথমেই বলবো, Ramisha Mobassira Shuktara আপুর কথা।উনি নিজেই ইউটিউব দেখে ফেসবুক বুস্ট করতে যেয়ে একটা গুবলেট পাকিয়ে আইডিতে একটা রেস্ট্রিকশন পান আবার একটা ফিশিং লিংকে ক্লিক করে আইডি থেকে পেজের এক্সেস হারিয়ে ফেলেন।তবে এই সমস্যা যতটা জটিল ছিলো,তারচেয়ে ঢের ভয়ংকর ওনার অভিজ্ঞতা।
মাত্র এইচ এস সি পাশ করা একটা মেয়ে,তার দারুন ক্রিয়েটিভ স্কিল দুইটাকে কাজে লাগিয়ে কাজ শুরু করেছেন,আর শুরুতেই দুইটা জায়গায় যেয়ে ১০০০০ টাকা ধরা খেয়েছেন।
আমার সাথে একটা কনসাল্টেন্সি সেশনে,আমি আইডি সেইফ করেছি এবং সিম্পলি পেজটাও আমরা ব্যাক করেছি সেটাও মাত্র ৩,০০০/- (কনসাল্টন্সি+কাজ)তে।
সদ্য ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়া এই মানুষটাকে আমি নিজে থেকেই কিছু সাজেশন দিয়েছি এবং ওনার যে ক্রাফটিং স্কিল সেটা কাজে লাগানোর জন্য আমি নিজে Shamima Nasrin আপুকে রেকোমেন্ডে করবো বলে বলেছি।
যদি তিনি চান তবে আমি আমার সম্ভাব্য সকল সাহায্য করবো কারন আমি চাই,আমাদের পরের জেনারেশন শুধুই চাকুরীর পিছনে না ছুটে চলুক।
একইসাথে আমার খুব ভালো লাগা কাজ করেছে,এই কারনেই যে,আমার দুই কাজিন (আমার দুই বোন)ওরা নিজেরা কাজ শুরু করেছে।
Gunjan Ashraf Godhuly আর Lamiya Ashraf ওরা দুইজন দুইটা উদ্যোগ নিয়ে শুরু করেছে।প্রথমটা ওর হাতে তৈরি চুড়ি ও গহনা নিয়ে আর ২য় টা শুরু করেছে লেডিস ব্যাগ নিয়ে।
সময়ের অভাবে আমি ওদের দুইজনকে গাইড করতে পারিনাই বাট খুব দ্রুতই ওদেরকে নিয়ে বসবো।আমি ওদেরকে এইজন্যই এপ্রিশিয়েট করতে চাই,কারন ওদের কারো টাকাতেই ওদের লেখাপড়ার খরচ করা কিংবা পরিবারের কোন খরচ করা লাগবেনা বাট ওরা নিজেদের স্কিলকে কাজে লাগাতে চাইছে।
আর একটা ভালোলাগা কাজ করেছে গতকাল বিকাল ৪ টার একটা কনসাল্টেন্সি সিডিউলে Sirajum Monira Kanta আপুর প্ল্যানিং শুনে।ওনার পেজটা আর ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট টা দেখলাম।আমার কাছে খুবই গোছানো লেগেছে কাজগুলি।
আমার সাথে বেশ ভালোভাবেই ওনার মোটিভ টা মিলে যায়।আপুর সাথে যেটা বেশি মিলেছে সেটা হলো, এই কাজের ফিউচার নিয়ে ওনার প্ল্যানিং আর কাজ কম হোক কিন্তু কোয়ালিটি বজায় থাকুক এই ব্যাপার টা।
আমি সব সময় বলি- ইনকামে ফোকাস না করে আগে স্কিলে ফোকাস করেন।যদি আপনি আপনার কাজটা ঠিকঠাক ভালোবেসে,লেগে থেকে করে যেতে পারেন, তাহলে টাকা,সম্মান আর ক্ষ্যাতি সবই আসবে কিন্তু যদি শুধু টাকা উপার্জনকেই লক্ষ হিসাবে ধরেন তাহলে সেটা থেকে সফলতা আসাটা কঠিন।
আমি চিনি অন্তত ২০,০০০ উদ্যোক্তাকে।কানেক্টেড তো ৫ লাখ মানুষ হতে পারে কিন্তু লিখিনা সবাইকে নিয়ে।আর এদিকে ওনারা কেউ জানেনই না যে আমি আমার ভালোলাগা থেকে লিখবো।
এটাই হলো প্রপার Word of Mouth marketing. যারা নিজের যোগ্যতার মুল্যায়ন করে ক্রিয়েটিভ কিছু করতে চাইছেন বা করছেন,তাদের সবার জন্য আমার শুভকামনা থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *