জানলে হয়তো অবাক হবেন, প্রতিদিন সকালে উঠে প্রথমেই নিজের বিছানা নিজে গোছালে আপনার দিন অনেক বেশি ভালো যাবে। আপনার অভ্যাস যদি হয় সকালে উঠে বিছানা অগোছালো রাখা, অথবা অন্য কাউকে দিয়ে গোছানো – তবে এই অভ্যাসটি বদলে প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে নিজের বিছানা নিজে গুছালে দিনের শুরুতেই আপনার মাঝে একটি পজিটিভ ভাব তৈরী হবে।
কারণ, যত ছোটই হোক, আপনি সকালে উঠেই একটি দরকারী কাজ করেছেন। গোছানো বিছানার দিকে তাকালেই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে। বিশ্বাস না হলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। আপনি নিজেরই বুঝবেন।
অভ্যাস পরিবর্তন করা আসলে খুব একটা কঠিন নয়। ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগালে যে কোনও বাজে অভ্যাস পরিবর্তন করা যায়। এভাবে প্রতিদিন খুব ভোরে উঠে একটু মেডিটেশন বা শরীরচর্চা করার অভ্যাস করুন – দেখবেন অন্যান্য দিনের চেয়ে আপনার মন অনেক বেশি ভালো থাকছে।
একটি খারাপ বা ক্ষতিকর অভ্যাস বাদ দিয়ে তার জায়গায় নতুন একটি ভালো অভ্যাস করতে পারলে নিজের প্রতি বিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে। এই ছোট ছোট অর্জন গুলো করার সাথে সাথে আপনার মনের ভেতরে একটি ভালো লাগার অনুভূতি তৈরী হবে। আপনি সব বিষয়েই পজিটিভ চিন্তা করতে পারবেন।
বেশি খাওয়ার অভ্যাস, বেশি ঘুমানোর অভ্যাস শরীরকে দুর্বল করে দেয়। শরীর দুর্বল হলে মনও দুর্বল হয়ে যায়। যার ফলে মনে নেগেটিভ চিন্তা বেশি আসে। অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে যদি আপনার শরীরের উন্নতি হয়, তবে আপনার মনও শক্তিশালী হবে, এবং আপনি আগের চেয়ে অনেক বেশি পজিটিভ চিন্তা করতে পারবেন।
হাল না ছেড়ে ভুলগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন
পজিটিভ চিন্তা করার ক্ষমতা যাদের আছে, তারা আসলে সবকিছুকে অন্যভাবে দেখেন। ‘দৃষ্টিভঙ্গী বদলালে জীবন বদলে যাবে’ – এই কথাটি নিশ্চয় একবার হলেও শুনেছেন। যারা সব সময়ে পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গীতে সবকিছু দেখেন – তাঁরা কখনও হাল ছাড়েন না।
কোনওকিছুতে ব্যর্থ হলে তাঁরা অন্যের ঘাড়ে দোষ না চাপিয়ে, এবং কাজ করা না থামিয়ে সমস্যার আসল কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। এই প্রক্রিয়াকে “look out for missing pieces” বলা যায়। যে কোনও সমস্যায় এই মিসিং পিসটি খুঁজে বের করতে পারলেই সেই সমস্যার সমাধান করা অনেক সহজ হয়ে যায়। এটা পজিটিভ থিংকিং এর খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।
আপনি যে সমস্যায় পড়েন না কেন, সেখানে কোনও একটা ভুল হয়েছে। আপনি যদি অন্যের ওপর বা পরিস্থিতির ওপর দোষ চাপাতে চেষ্টা করেন, অথবা হাল ছেড়ে দেন – তাহলেই আপনি ব্যর্থ হবেন। তার বদলে যদি পজিটিভ মনোভাব রাখেন, অর্থাৎ সমস্যাটিকে নিজের উন্নতির আরও একটি সুযোগ হিসেবে দেখেন – তাহলেই দেখবেন চেষ্টার মাধ্যমে আপনি সমস্যার সমাধান করে ফেলেছেন। সমস্যা যত কঠিনই হোক, হাল ছাড়বেন না। বিশ্বাস রাখুন যে, চেষ্টা করলে আপনি পারবেন। এটাই আসলে পজিটিভ চিন্তা করার সেরা উপায়।