খুব বেশি মোবাইল ব্যাবহার করে কি কি ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারি ?

প্রযুক্তি যে, আমাদের জীবনযাত্রা কে করে দিয়েছে সহজ এবং আরামদায়ক তা বলার অবকাশ রাখে না।
প্রযুক্তির এই ব্যাপক উৎকর্ষ একদিকে যেমন সুফল বয়ে এনেছে,
তেমনি এর অতিরিক্ত ব্যবহারে রয়েছে নানা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
 স্মার্টফোন আসক্তি তৈরি হতে পারেঃ

আমেরিকায় সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে একজন কলেজ স্টুডেন্ট দিনে গড়ে ১০ ঘন্টা ফোন ব্যবহার করে।

হতে পারে সেটি ইন্টারনেট ব্রাউজিং করা কিংবা পিডিএফ ফাইল পড়া কিংবা মেসেজিংসহ বিভিন্ন কাজ।

মজার বিষয় হলো দিনে তারা বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট সহ যতগুলো মেসেজ আদান প্রদান করে তত কথা তারা সারাদিনে কারো সাথে বলেনা।

আরেকটা গবেষণায় দেখা গেছে, আমেরিকার প্রতি পাঁচ জন স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের

মধ্যে তিন জনই ৬০ মিনিটের বেশি একবারও ফোন চেক না করে থাকতে পারে না।
পুরো বিশ্বেই স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অবস্থা কম-বেশি এরকমই।
কাউকে যদি বলা হয় ফোন ছাড়া থাকতে হবে তখন তার মাঝে একরকম ভয় দেখা দেয়, যাকে মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন নোমোফোবিয়া।
 ব্যাকপেইন সমস্যাঃ

British Chiropractic Association এর মতে, গত কয়েক বছরে তরুণ সমাজের মধ্যে ব্যাকপেইন সহ মেরুদন্ডের নানা সমস্যা নাটকীয়ভাবে বেড়ে গেছে।

২০১৫ সালের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৬ থেকে ২৪ বছরের মাঝে ৪৫% তরুণ ব্যাকপেইন সহ মেরুদন্ডের নানা সমস্যায় ভুগছে।

কারণ হিসেবে তারা বলছেন, মেরুদন্ডের উপর বাড়তি প্রেসার দেয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে এবং এই সংখ্যা ২০১৪ এর তুলনায় ৬০% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে তারা স্মার্টফোন এ বিভিন্ন টেক্সটিংকে বেশি দায়ী করছেন।

২০১৪ সালের এক গবেষণা অনুযায়ী, টেক্সট করতে গেলে আমাদের মেরুদন্ডকে আমরা

যে কোণে বাঁকিয়ে থাকি এবং এতে করে মেরুদন্ডে যে পরিমাণ চাপ পড়ে তা ৫০ পাউন্ড এর সমান, যা একটি সুস্থ স্বাভাবিক সাত বছরের বাচ্চার ওজনের মতোই।
 স্নায়ু সমস্যাঃ
স্মার্টফোন স্নায়বিক সমস্যার জন্যও দায়ী। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের ফলে আমাদের
মেরুদন্ডের শুরু থেকে মস্তিষ্কে যে স্নায়ুর সাহায্যে সংযোগ স্থাপিত আছে তা অতিরিক্ত চাপে সংকুচিত হয়ে যায় কিংবা অন্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যার ফলে দেখা দিতে পারে তীব্র মাথা ব্যাথাসহ মাইগ্রেইন সমস্যা। এই সমস্যাকে বলা হয় Occipital Neuralgia।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *