“গুগল এডস” নাম টার সাথে হয়তো আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত, কিন্তু আপনি তার সঠিক ব্যবহার জানেন তো?
না জানা থাকলে চলুন আজ আমার লেখা কনটেন্ট এর মাধ্যমে জানি।
গুগল এডস হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানী গুগলের একটি বিজ্ঞাপন অনলাইন প্লাটফর্ম। বিশ্বের যে কেউ তাদের ব্যবসার কিংবা কোন কোম্পানী ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন।
ছোট বড় সকল কোম্পানি কিংবা যে কোন ধরণের ব্যবসায়ীরা এখন ডিজিটাল মার্কেটিং করার প্রথম পছন্দ হিসাবে বেচে নিচ্ছে গুগলকে। কারণ ইন্টারনেটের ৯০ ভাগ জায়গা দখল করে রেখেছে গুগল। ব্যবসায়ীদের জন্য অনেক টুলস নিয়ে এসেছে এই টেক জায়ান্ট কোম্পানিটি।
উদ্যোক্তারা গুগল এডস কিভাবে তাদের ব্যবসায় ব্যবহার করবে?
ব্যবসায়ীরা এটির মাধ্যমে তাদের সংক্ষিপ্ত বিজ্ঞাপন, অফার, পন্য বা সেবার তালিকা কিংবা ব্যবসা প্রসারের জন্য অনলাইন ব্যবহারকারীদের জন্য ভিডিও প্রদর্শন করার জন্য বিড করতে পারে।
এই প্লাটফর্মে আপনি টাকার বিনিময়ে বিজ্ঞাপন বা ক্যাম্পেইন প্রচারণার পাশাপাশি বিভিন্ন ফ্রি সেবা উপভোগ করতে পারবেন। যেমন- আপনার ব্যবসার জন্য কিওয়ার রিসার্চ, কিওয়ার্ড প্লানিং ইত্যাদি।
সুতরাং গুগল এড হলো গুগল এর একটি পরিসেবা, যার মাধ্যমে অনলাইন ব্যবহারকারীদের নিকট ডিজিটাল মার্কেটিং করা হয়।
বর্তমানে এর প্রতিদন্দী ফেসবুক হলেও এখন পর্যন্ত গুগল এডস ওই শীর্ষে স্থানে রয়েছে।
এখন কথা হলো বিজ্ঞাপন তো আর ফ্রী তে হবে না।অবশ্যই এর একটা খরচ রয়েছে। তাহলে, গুগল এডস এ বিজ্ঞাপন খরচ কত?
গুগলের মাধ্যমে আপনি মার্কেটিং করতে কত টাকা খরচ করবেন সেটা আপনার একান্তই ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্ত। ৫ ডলার দিয়ে শুরু করে কোটি কোটি ডলার খরচ করে মার্কেটিং করতে পারেন।
গুগল এডস এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিলে সাধারণত সিপিসি, সিপিএম কিংবা সিপিএস অনুসারে বিজ্ঞাপন খরচ নির্ধারণ করে দিতে হয়।
আপনি যে হিসাবেই খরচ নির্ধারণ করুন না কেন নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতেই। আপনি যদি সিপিসি অর্থাৎ বিজ্ঞাপনে প্রতি ক্লিক অনুসারে খরচ নির্ধারণ করে দেন তাহলে গুগল সেই অনুযায়ী টাকা কর্তন করে বিজ্ঞাপন দেখাবে।
এখানে আপনি ১০০ ডলারের বিজ্ঞাপন খরচ করতে পারেন আবার ১ কোটি ডলারেও বিজ্ঞাপন খরচ করতে পারেন, এটা আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়।তবে আপনার ব্যবসার পরিধি অনুযায়ী বিজ্ঞাপন খরচ করবেন।