ঘন্টার পরিবর্তে মিনিট হিসাব করে কাজ করুন

৮ ঘন্টা নাকি ৪৮০ মিনিট,কোন সংখ্যা টা বড় বলুন তো? এই প্রশ্ন আবার কেউ করে নাকি? এর উত্তর তো সবাই জানে। তারপর ও করলাম, কারন আমরা অনেকেই তো আবার ঘন্টার হিসাব মেনে কাজ করি। সংখ্যাতত্ব আমাদের মনের উপরে বিরাট একটা ইমপ্যাক্ট ফেলে,অথচ আমরা সেটা বুঝেও কখনো এটা ফিক্স করে কাজে লাগায়নি।
বেশিরভাগ মানুষ ঘন্টা হিসাব করে কাজ করেন। এমনকি উদ্যোক্তারাও দিনে কয় ঘন্টা কাজ করলেন – এটাই হিসাব করেন। কিন্তু ক্রুজ এর ভাষায় “আলট্রা সাকসেসফুল” বা অতি সফল উদ্যোক্তারা কাজ করেন মিনিটের হিসেবে।
ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “সেরা সফল উদ্যোক্তারা দিনে ২৪ ঘন্টার বদলে পুরো ১৪৪০ মিনিট নিয়েই সচেতন থাকেন। এবং তাঁরা বোঝেন জীবনে সময়ের মূল্য সবচেয়ে বেশি। টাকা গেলে টাকা পাওয়া যায়, কিন্তু সময় গেলে আর তা ফিরে পাওয়া যায় না।”
বিল গেটস কে নিয়ে একটা গল্প প্রচলিত আছে। তাঁর ডেস্ক থেকে একবার কয়েক হাজার ডলার পড়ে গিয়েছিল। তিনি সেটা আর তোলেননি। কারণ, সেটা তুলতে গিয়ে তাঁর যতটা সময় খরচ হত, সেই সময় কাজে লাগিয়ে তিনি আরও বেশি টাকা আয় করতে পারতেন।
এই গল্প সত্যি কি মিথ্যা – এটা নিয়ে সন্দেহ আছে। কিন্তু গল্পের পেছনের মেসেজটা দিনের আলোর মত সত্যি। সময়কে যে কোনও কিছুর চেয়ে বেশি মূল্য দিলে, সময় তা বহু গুণে ফিরিয়ে দেয়।
কাজেই, সফল উদ্যোক্তা হওয়ার অন্যতম মূল মন্ত্র হল, প্রতিটি মিনিট এর ব্যাপারে সচেতন থেকে কাজ করতে হবে। যদি ১ ঘন্টা কাজ করেন, তবে খেয়াল রাখুন ৬০টি মিনিটই যেন কাজে লাগে। দেখবেন, ১ ঘন্টার কাজ ১ ঘন্টার অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। বাকি সময়টা আপনি অন্য জরুরী কাজে লাগাতে পারবেন। এতে প্রোডাক্টিভিটি অনেক গুণ বেড়ে যাবে।
আমাদের দেশের চাকুরীজিবীরা তো হিসাব করেন সকাল ৯ টা আর বিকাল ৫ টা।এই দুইটা সংখ্যাকে মনে রেখে কাজ করলে আপনি নিজে কোনদিনই আপনার কাজকে ভালোবাসতে পারবেন না,ইভেন নিজের উন্নতি ও আসবে না।
নিজের কাজের উপরে পরিপূর্ন মনযোগ আনুন,দেখবেন কাজ ও হয়ে যাবে আর সময়ের সঠিক ব্যাবহারও হবে। আমরা সকলেই তো জানি- Time is Money

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *