১. রাতেই তালিকা করুন, আগামীকাল সারা দিনে কী করবেন। টুকে রাখুন। তাতে আপনার কাজের ‘প্রোডাক্টিভিটি’ বাড়বে। তালিকা অনুযায়ী কাজ করলে সময়ও নষ্ট হবে কম। আবার কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ ভুলে যাওয়ার আশঙ্কাও কমে আসবে। রাতে পরদিনের একটা খসড়া পরিকল্পনা করে আরাম করে ঘুমাতে পারবেন।
২. ঘুমানোর আগে, চলে যাওয়া দিনের ছোট্ট একটা ‘পর্যালোচনা’ করার অভ্যাস করেন। আপনার কোন কাজটি আপনি কীভাবে আরও ভালোভাবে করতে পারতেন, এমন একটি বিশ্লেষণ দিয়ে সেটি শুরু হবে। আর শেষ করুন নিজেকে কোনো একটা কাজ সুন্দরভাবে শেষ করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে। যে দিনটি খুব খারাপ গেছে, সেখান থেকেও কোনো ইতিবাচকতা নিয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
৩. ব্যস্ততম জীবনে দিনে আমাদের অনেকেরই বই পড়ার সময় হয় না। সে ক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর আগে কিছুক্ষণ বই পড়ুন। এতে আপনার ঘুম ভালো হবে। আর ফোন নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাসকেও সহজেই ‘টা টা বাই বাই’ করা যাবে।
৪. প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এমন তিনটি পয়েন্ট লিখুন, যেগুলো নিয়ে আপনি কৃতজ্ঞ। আপনার মন যত কৃতজ্ঞতায় আর্দ্র থাকবে, আপনি তত সহজেই একটা সন্তুষ্ট মন নিয়ে সুখী হতে পারবেন। কে আপনার জন্য কী করেনি, এগুলো ক্ষুদ্র হয়ে যাবে। ফলে জীবনটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। রাতে একটা সন্তুষ্ট হৃদয় নিয়ে ঘুমাতেও পারবেন।
৫. রাতে ঘুমানোর আগে একটু ধ্যানও করতে পারেন। এতে আপনার শরীর, মন দুই–ই শিথিল হয়ে যায়। আর সারা দিনে আপনি যে ‘ওভারলোডেড তথ্য’ দিয়ে সিক্ত, সেটা থেকেও মুক্ত হয়ে সুন্দরভাবে ঘুমাতে পারেন।