চলুন জেনে নেওয়া যাক হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp) এর কিছু তথ্য।

✪বিবরণঃ-
➤WhatsApp
স্মার্টফোনের জন্য জনপ্রিয় একটি মেসেঞ্জার। বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনে এই মেসেঞ্জার ব্যবহার করা যায়। শুধু চ্যাটই নয়, এ মেসেঞ্জারের মাধ্যমে ছবি আদান-প্রদান, ভিডিও ও অডিও মিডিয়া বার্তাও আদান-প্রদান করা যায়। মেসেঞ্জারটি অ্যাপলের আইওএস, ব্ল্যাকবেরি, অ্যান্ড্রয়েড, সিমবিয়ান ও উইন্ডোজ ফোনে ব্যবহার করা যায়। ব্যবহারকারীর ফোনে থাকা ফোন নম্বর তালিকা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে নম্বর সিংকক্রোনাইজ করে নেয়। (বর্তমান ইমো যেমনটা করে থাকে) ফলে আলাদা করে আইডি যোগ করার প্রয়োজন হয় না।

✪স্মার্টফোনে বিনা মূল্যে ব্যবহারের উপযোগী মেসেঞ্জারটিতে ব্যক্তিগত হালনাগাদ, ব্যবহারকারী যেখান থেকে চ্যাট করছেন সে এলাকা, গ্রুপ তৈরি, গ্রুপের জন্য আলাদা আইকন তৈরি করা যায়। বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ্লিকেশনটিতে ভিডিও কল সুবিধা চালু রয়েছে।

✪প্রতিষ্ঠিতঃ-
➤হোয়াটসঅ্যাপ তৈরী করক হয় ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে। এখন থেকে ১১ বছর আগে।

✪ব্যবহারকারীর সংখ্যাঃ-
➤ফেব্রুয়ারি ২০১৮ এর হিসাব অনুযায়ী ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৫০ কোটিরও অধিক। বর্তমানে প্রতিদিন ১০ লাখ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড করছেন এবং এই অ্যাপটির ৪৫ কোটি সর্বসময় সচল ব্যবহারকারী রয়েছেন।

✪প্রতিষ্ঠাতাঃ-
➤২০০৯ সালে ইয়াহুর সাবেক কর্মী ব্রায়ান অ্যাক্টন ও জান কউম মিলে হোয়াটসঅ্যাপ তৈরি করেন। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানটিতে ৫৫ জন কর্মী রয়েছেন। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ কিনে নিয়েছেন ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ।

✪ফেসবুক দাবি করেছে, হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার করে যত সংখ্যক বার্তা পাঠানো হচ্ছে তা সারা বিশ্বে টেলিকমে এসএমএসের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

✪হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ তাদের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনটির বর্ণনায় লিখেছে, প্রথম বছরে একেবারেই বিনা মূল্যে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে, তবে পরের বছর থেকে ০.৯৯ মার্কিন ডলার করে চার্জ দিতে হবে।

✪এ অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যবহারের সুবিধা কী?
➤হোয়াটসঅ্যাপের ভাষ্য, এতে কোনো লুকানো চার্জ নেই। যখন ব্যবহারকারী ও তার বন্ধু এটি তাদের মোবাইলে ডাউনলোড করে নেবেন, তখন দুজন যত খুশি তত চ্যাট করতে পারবেন। দিনে লাখ লাখ মেসেজ পাঠালেও এক পয়সা খরচ হবে না। তবে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। মোবাইল অথবা ওয়াই-ফাই সব নেটওয়ার্কে এটি ব্যবহার করা যাবে। এতে ভিডিও, ছবি, ভয়েস নোট প্রভৃতি মাল্টিমিডিয়া ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। এতে কয়েকজন মিলে গ্রুপ চ্যাটও করা যায়।

✪আন্তর্জাতিক কোনো চার্জ আছে কি না?
➤হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, মেইল ব্যবহার করতে যেমন নগদ অর্থ খরচের প্রয়োজন পড়ে না, তেমনি অন্যান্য দেশের বন্ধুদের সঙ্গে চ্যাট করতেও খরচ লাগে না। এতে সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে পিন বা ইউজার নেম প্রয়োজন পড়ে না। এসএমএসের মতো মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেই চ্যাট চালানো যায়। লগইন বা লগ আউটের বালাই নেই বলে এটি সব সময় চালু থাকে। যাঁরা ব্যবহারকারীর ফোন তালিকায় থাকেন এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন, তাদের নতুন করে বন্ধু তৈরি করতে হয় না।

✪কীভাবে আয় করে হোয়াটসঅ্যাপ?
➤হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবসা মডেলটি নিয়ে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা নানা ধারণা করেন। এর মূল আয় ধরা হয় সাবসক্রিপশন ফি। কিন্তু অনেকেই মনে করেন ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনা থেকেও আয় করতে পারে হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু গ্রাহকদের তথ্য বিক্রি বা গ্রাহকদের তথ্য বিশ্লেষণ করে অন্য প্রতিষ্ঠানকে কোনো সেবা তৈরি করতে দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হোয়াটসঅ্যাপের প্রধান নির্বাহী। বিজ্ঞাপন থেকে আয় করার বিষয়টি নিয়েও কোনো পরিকল্পনা করেননি তিনি। অবশ্য হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিষ্ঠাতারা সার্ভিসটি তৈরি করতে যে শ্রম দিয়েছেন, এখন ফেসবুকের কাছে এক হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলারে বিক্রি হওয়াটাকেও বড় ধরনের আয় বলছেন বিশ্লেষকেরা। এ প্রতিষ্ঠানটির পেছনে ১০০-১৫০ কোটি ডলারের মতো বিনিয়োগ করা হয়েছিল৷

আশাকরি পোস্টটা ভালো লেগেছে। এতোক্ষণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আবার আসবো অন্য কোনো টপিক নিয়ে। ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আর আমাদের সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ A Content By

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *