চাকুরীর সাথে ব্যাবসার তুলনা করাটা বোকামিই বটে তবে আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আবার এইটা একটু বেশিই হাইপ তোলে সব সময়।
আমি এখন কোথাও গেলে, কোন স্পিচে কাউকে ব্যবসা করার কথা দিই না কিংবা এই রিলেটেড সাজেশন দিই না।পরে যদি আবার সেই ছেলেটার বিয়ে না হয় কিংবা সিকিউরিটির (লাইফের) সৃষ্টি না হয়,তাহলে সেই দ্বায় টা আমার ঘাড়ে এসেই পড়বে হয়তো।
সত্যি কথা বলতে,যেকোন চাকুরীজীবি যদি কখনো ব্যবসা করার সিধান্ত নেন,তাহলে তাকে মুলত কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।এরপরে আমার মনেহয় শুরু করে দেয়া উচিত।
১. চাকুরীর পাশাপাশি কোন একটা বিষয়ে স্কিলড হওয়া শুরু করে দিতে হবে।
২. যে বিষয়টা চুজ করবেন,সেটি যেন নিজের পছন্দের হয়।অন্য কারো ইনকাম দেখে কিংবা অন্য কারো মত হবেন এমন চিন্তা থেকে শুরু করবেন না।
৩. যে বিষয় টি আপনি শেখা শুরু করবেন,সেটির উপরে অনেক লেখাপড়া করেন এবং কেস স্ট্যাডি করুন ঐ বিষয়ে।
৪. যখন আপনি দেখবেন যে, আপনার জ্ঞান দিয়ে আপনি ঐ বিষয়ে মোটামুটি দক্ষতা অর্জন করেছেন,তখন সেটি শুরু করুন।
৫. চাকুরীর পাশাপাশি প্রতিদিন ঐ বিজনেসে সময় দেয়া শুরু করুন।
৬. শুরু করেই ছুটি কাটানোর নেশা বাদ দিয়ে বরং চাকুরী ছুটির দিনে ব্যাবসায় পুরো সময় ব্যায় করুন এবং নিজেকে প্রস্তুত করুন।
৭. নিজের সংসারে যে খরচ টা হয় প্রতিমাসে,সেটা হিসাব করে মিনিমাম ৬ মাসের খরচ আগে সঞ্চয় করুন।
৮. আপনার বিজনেস থেকে সংসারে ৬ মাসের খরচ বহন করুন।এই সময়ে চাকুরীর টাকাতে হাত দিবেন না।
৯. উপরের শর্তগুলি যদি আপনি ফিলাপ করে থাকেন,তাহলে আপনার উচিত এখন চাকুরী ছেড়ে শুরু করা।
১০. চাকুরীর পাশাপাশি বিজনেস করে কখনোই আপনি বিজনেস টাকে জেনারেশন বাই জেনারেশন ক্যারি করাতে পারবেন না।এটা মুলত ঐ প্রতিষ্ঠান কে ঠকানো,কারন আপনি বিজনেসে সময় না দিলে সেটি বড় হবেনা কারন এটা সন্তানের মতই।
বিজনেস শুরু করার সময় ধরে রাখুন আপনার আপনজন,পরিবার,বন্ধু-বান্ধব কারো থেকেই কোন সাপোর্ট পাবেন না।কারন,এইদেশে সবাই চাকুরীকে সেইফ ভাবে এবং নিশ্চিত জীবন আছে বলেই চিন্তা করে।
বাস্তবতা হলো- নিজের উপরে কনফিডেন্স থাকলেই কেবল শুরু করা উচিত।কারো কথায় নয়,কাউকে দেখে নয়।
আমার পোস্ট পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে কেউ আবার চাকুরী ছেড়ে দিয়েন না।সংসার না টিকলে আমার কোন দ্বায় নেই
