ছবিতে যে কুকুর দেখা যাচ্ছে সেটা আসলে কুকুরের মূর্তি। মূর্তিটা বানানো হয়েছে হাচিকো নামে এক কুকুরের আদলে।
১৯২৩ সালে ইসাবুরা নামে এক জাপানী লোক একটা কুকুরছানা কুড়িয়ে পায়। তিনি সেটার নাম রাখেন হাচিকো। হাচিকোকে নিজের পরিবারের একজনের মত করে রাখতেন তিনি। হাচিকো একটু বড় হওয়ার পর থেকে ইসাবুরার সাথে ট্রেন স্টেশনে যেত। সেখানেই সে ১০ ঘন্টা অপেক্ষা করত ইসাবুরার ফেরার জন্য। তারপর দুইজন একসাথে বাড়িতে ফিরতেন।
১৯২৫ সালে কাজের সময়ই ইসাবুরার হার্ট অ্যাটাক হয়। সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার আর বাড়ি ফেরা হয় না। কিন্তু হাচিকো? সে বেচারার অপেক্ষা বাড়তেই থাকে তার প্রিয় মানুষের ফেরার। ১০ ঘন্টার বদলে ১০ দিন ২০ দিন বছর পার হয়ে যায় কিন্তু তার প্রিয় মানুষ আর ফিরে না। এভাবে ১০ বছর চলে যায়। অতপর হাচিকোও মারা যায়। অপেক্ষার পালা ফুরিয়ে যায়। ওইপারে নিশ্চয়ই তার প্রিয় মানুষের সাথে দেখা হয়েছে তার।
সবচেয়ে অবাক ব্যাপার কি জানেন? এই দশটা বছর যে সে অপেক্ষা করেছে তার প্রিয় মানুষের ফেরার আশায়, সেটা ছিলো সেই স্টেশনের প্ল্যাটফর্মেই। বেচারা নিশ্চয়ই ভেবেছে তার প্রিয় মানুষের কোন কাজে দেরী হচ্ছে, ফেরত আসলে একসাথে স্টেশন থেকে বাড়ি ফিরবে। কিন্তু অবুঝ প্রাণীটাকে কেউই বুঝাতে পারেনি, তার প্রিয় মানুষ চলে গিয়েছে এমন এক জায়গায় যেখান থেকে কারো ফেরা সম্ভব নয়।
তারপরে তার প্রতি ভালোবাসায় সেই শিবুই স্টেশনের গেটেই হাচিকোর মূর্তি স্থাপন করা হয়।
বিশ্বস্ততা কোনো কিছু দিয়েই কেনা যায় না। ভালো থাকুক হাচিকো যেখানেই থাকুক
শুনতে বা পড়তে যতই অবাস্তব লাগুক, এটা একদম সত্য ঘটনা। এই ঘটনা নিয়ে বই আছে, মুভিও আছে। বইয়ের নাম Hachiko: The True Story of a Loyal Dog লিখেছেন পামেলা এস টার্নার।
জ্ঞানমুলক তাই সংগ্রহ করা।