-
অন্যের কাছ থেকে আপনি যতটা ভালোবাসা আশা করেন, নিজে নিজেকে তার চেয়ে বেশি ভালোবাসুন। কেননা, আপনি নিজেই নিজেকে যেটা দিতে পারছেন না, অন্যের কাছ থেকে কীভাবে সেটা আশা করেন? সেই আশা আপনার মানসিক অশান্তির কারণ হবে। যতটা সম্ভব নিজেই নিজের জন্য সচেষ্ট হোন।
-
মানবিক যত অনুভূতি আপনার আছে, এগুলোর জন্য কেবল আপনি দায়ী। যেমন ধরেন, আপনি রাগ করে আপনার প্রিয় আইফোনটা ছুড়ে ফেললেন। যার ওপর রাগ করে কাজটা করলেন, ফোনের ক্ষতির জন্য তাকে দোষারোপ করবেন না। কেননা, অন্যের কোনো কর্মকাণ্ডের ওপর আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই। কিন্তু আপনার নিজের সব কর্মকাণ্ডের দায় একান্তই আপনার। বিশেষ করে আবেগীয় কর্মকাণ্ড। নেতিবাচক আবেগ যতটা সম্ভব, নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, এটা একটা যুদ্ধ, আর সেই যুদ্ধে আপনাকে জিততেই হবে।
-
আপনার যত সমস্যা আছে, এগুলো নিয়ে দুশ্চিন্তা করে রাতের ঘুম হারাম করবেন না। নিজের কর্মক্ষমতার অপচয়ও করবেন না। বরং সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করুন। একান্তই যদি সেই সমস্যা সমাধানের না হয়, তাহলে সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে নিন।
-
আপনি আপনার জন্য কতটা যথেষ্ট? এই প্রশ্নের উত্তর পরিমাপের একটা মাপকাঠি আছে। আপনি পরিবর্তিত অনিশ্চিত পরিস্থিতির সঙ্গে যতটা মানিয়ে নিতে পারদর্শী, আপনার মানসিক সুস্থতা নিয়ে টিকে থাকার সম্ভাবনাও তত।
-
আপনার যেমন সুস্থ শরীর দরকার, তেমনি দরকার একটি স্বাস্থ্যকর মন। সুন্দর মনের জন্য ‘ফাস্ট ফুড’-এর মতো আপনার আশপাশে যত ‘জাঙ্ক’ আছে, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন। নেতিবাচক বন্ধুত্ব এড়িয়ে চলুন। ভালো বই পড়ুন। নিয়ম করে হাঁটুন। ইতিবাচক আলোচনায় যুক্ত থাকুন। নিজেকে সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখুন।
সূত্র: গ্রোথ মাইন্ডসেট টিপস