টাইম ম্যানেজমেন্ট টিপস প্রতিটি ক্ষেত্রে সফল হতে চাওয়া মানুষের জন্য প্রয়োজন। সফল হতে গেলে আপনাকে কাজ করতেই হবে, যথেষ্ঠ পরিশ্রম বা হার্ডওয়ার্ক করতে হবে। তবে, আপনি যদি হার্ড ওয়ার্ক এর সাথে ‘স্মার্ট ওয়ার্ক’ যোগ করতে পারেন – তবে এই সময় ও পরিশ্রমের পরিমান অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব।
আমরা অনেকেই নিজেদের কাজকে নিয়ে অনেক বিড়ম্বনার শিকার হই এবং চিন্তা করি যে-আমার কাজের সময় কোথায়?
সেই বিষয়কে ফোকাস করেই আমার আজকের লেখা।
নিজের স্বপ্নকে সংজ্ঞায়িত করা
প্রথমে ৫ মিনিট সময় নিয়ে নিজের জীবনের স্বপ্নটিকে বোঝার চেষ্টা করুন। এর জন্য নিজেকে একটি প্রশ্ন করুন, এবং সেটি নিয়ে ডিটেইলে চিন্তা করুন। প্রশ্নটি হল, যদি আমার হাতে যে কোনও কাজ করে অর্থ আয় করার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকতো, তাহলে আমি কি করতাম?
আপনি কি এখন যা করছেন, তাই করতেন, নাকি অন্যকিছু করতেন? কোথায় কোথায় সময় দিতেন?
এরপর নিজেকে আরেকটি প্রশ্ন করুন, আমি সবকিছু বাদ দিয়ে শুধুই নিজের কাজ করার সবচেয়ে খারাপ ফলাফল কি হতে পারে?
এই প্রশ্নটা নিয়ে ৫ মিনিট চিন্তা করুন। – হতে পারে আপনি বর্তমান চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিজের ব্যবসা গড়ার কাজে মন দিলেন। এতে করে হয়তো কয়েক মাস বা বছর আপনাকে আর্থিক ভাবে খুব খারাপ অবস্থায় কাটাতে হবে। অথবা বন্ধুবান্ধবদের সময় দেয়া কমিয়ে নিজের অফিসের কাজে আরও ভালো করে মন দিলেন। এতে কিছু মানুষ হয়তো আপনাকে ভুল বুঝবে এবং তাদের সাথে সম্পর্ক আগের মত গভীর থাকবে না।
দ্বিতীয় প্রশ্ন নিয়ে চিন্তা করা হয়ে গেলে আরও পাঁচটা মিনিট সময় নিয়ে চিন্তা করুন যে, নিজের কাজে সম্পূর্ণ ভাবে মনোযোগ ও সময় দেয়ার খারাপ দিক বেশি, না ভালো দিক বেশি?
বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই ভালো দিকই বেশি হয়। আপনারও যদি তাই হয়, তাহলে পরের ধাপগুলো অনুসরন করে টাইম ম্যানেটমেন্ট আরও ভালো ভাবে করতে পারেন, এবং নিজেকে আরও সফল মানুষে পরিনত করতে পারেন।
আপনাকে হয়তো টিঁকে থাকার জন্য চাকরি করতে হবে, বা যা করতে ভালো লাগে না – তা করতে হবে। কিন্তু আপনি যদি এর মধ্য থেকেই পর্যাপ্ত সময় বাঁচিয়ে নিতে পারেন – তবে দেখবেন স্বপ্ন পূরণের জন্য অনেক সময় হাতে থাকছে – যা কাজে লাগিয়ে আপনি বেঁচে থাকার জন্য অপছন্দের কাজ করার পাশাপাশিও নিজের স্বপ্নটাকে বাস্তব করার কাজকরতে পারছেন।