টপিক- বাদ দেয়া
টপিক দেখে ঘাবড়ে যাবার কিছু নেই,বিস্তারিত অংশে গেলেই বুঝে যাবেন কেন টপিকের নাম এমন দেয়া হয়েছে।
আপনার প্রতিদিনকার জীবনে যদি টাইম ম্যানেজমেন্ট আরও ভালো করে করতে চান, এবং কর্মজীবনকে আরও প্রোডাক্টিভ করতে চান – তবে এই ধাপে আপনার জন্য বেশ ভালো কিছু টাইম ম্যানেজমেন্ট টিপস আছে। এই টিপস বা টেকনিক গুলো আপনার প্রতিদিনকার ছোট ছোট সময় নষ্ট কারী কাজগুলো চিনতে ও সেগুলো বাদ দিতে সাহায্য করবে।
কাল কি করবেন, তা আজ ঠিক করে রাখুন:
এই লিস্টে কোনও কাজ যোগ করার সময়ে চিন্তা করুন, কাজটি আপনার নিজের কাজ বা স্বপ্ন পূরণের জন্য কতটা জরুরী? – যদি জরুরী না হয়, তবে কাজটি বাদ দেয়ার চেষ্টা করুন। পরের দিনের প্রতিটি কাজ ঠিক করার আগে যদি এভাবে চিন্তা করেন – তাহলে দেখবেন অনেক কাজই আছে যেগুলো আপনার না করলেও চলে। কিন্তু সঠিক ভাবে চিন্তা না করার কারণে এগুলো আপনার জরুরী মনে হচ্ছিল। এভাবে আপনার পরের দিনের অনেকটা সময় বাঁচানো সম্ভব।
একসাথে অনেক কাজ করার অভ্যাস বা মাল্টিটাস্কিং একেবারে বাদ দিন:
এটি আমি নিজেই বাদ দিয়েছি,
এর মানে হল, যখন কোনও রিপোর্ট লিখবেন, অথবা হিসাব করবেন – বা অন্য যে কোনও জরুরী কাজই করবেন – তখন আপনার ম্যাসেঞ্জার, অপ্রয়োজনীয় ব্রাউজার ট্যাব – ইত্যাদি সবকিছু বন্ধ করে দিন। যেটা করছেন – শুধু সেটার ওপরই ফোকাস করুন। আপনি যদি ঘড়ি ধরে হিসাব করেন – তাহলে দেখবেন শুধুমাত্র একটি কাজে ফোকাস করে কাজ করার কারণেই আপনি সাধারণের চেয়ে অনেক কম সময়ে কাজ করতে পারছেন। এছাড়া এভাবে কাজ করলে কাজের মানও অনেক ভালো হয়।এই কাজের জন্য আমার একটি লেখা আছে “পমোডরো টেকনিক” সেটা পড়ে নিতে পারেন।
দিনে মাত্র দুইবার মেইল/নোটিফিকেশন চেক করুন:
কাজের মাঝে নোটিফিকেশন চেক করতে গেলে গড়ে মানুষের ২৩ মিনিট সময় নষ্ট হয়। আপনিই চিন্তা করে দেখুন, অন্য একটি কাজের মাঝে নোটিফিকেশন আসলে সেটা চেক করতে যাওয়ার পর কি কখনও অন্য কনটেন্টে আটকে যাননি? অথবা কাজের কথাই ভুলে যাননি? – এমনটা আমাদের সাথে প্রায়ই ঘটে। এবং অবিশ্বাস্য হলেও এটা মানুষের প্রোডাক্টিভ সময়ের অনেকটাই নষ্ট করে ফেলে। তাই কাজের সময়ে ফোনের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন। এবং মেইল ও নোটিফিকেশন চেক করার জন্য নির্দিষ্ট সময় রাখুন। হতে পারে সন্ধ্যার পর বা লাঞ্চের পর ঘন্টাখানেক এর পেছনে সময় দিলেন। এতে করে অগোছালো ভাবে অনেক বেশি সময় নষ্টের হাত থেকে বাঁচবেন।
অযথা মিটিং করবেন না:
বিশেষ করে নতুন উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে এই ব্যপারটা সবচেয়ে বেশি ঘটে। টিমের মধ্যে কারণে অকারণে প্রচুর মিটিং হয়। এতে সত্যিকার কাজের সময় অনেকটাই নষ্ট হয়। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়েই মিটিং করার পরামর্শ দেন। টাইম ম্যানেজমেন্ট এর জন্য এটা খুবই জরুরী। মিটিং কেন হচ্ছে, এবং আপনার বা আপনার টিমের নির্দিষ্ট কিছু মেম্বারের আসলেই সেখানে থাকা দরকার কিনা এটাও ভালোভাবে ভেবে দেখতে হবে। সব মিটিং এ টিমের সবার থাকার দরকার নেই। তাদের পরে জানিয়ে দিলেও হবে। এই সময়টা আপনি বা অন্য টিম মেম্বার কাজ এগিয়ে নিতে পারবেন। এজন্য কাজের আগেই এজেন্ডা ঠিক করুন।
কাজের সময়ে ‘না’ বলুন:
আমরা অনেকেই ভদ্রতার খাতিরে অথবা কাছের মানুষদের কষ্ট দেয়ার ভয়ে কাজের সময় নষ্ট করে অন্যদের সময় দেই। এতে কাজের অনেক ক্ষতি হয়। এমন অবস্থায় লেখক পরামর্শ দেন, কাজের সময়ে দরজার বাইরে “ডু নট ডিসটার্ব” সাইন ঝুলিয়ে রাখার। অথবা আপনি সবাইকে জানিয়ে দিতে পারেন দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে খুব বড় বিপদ বা ইমার্জেন্সী না হলে যেন কেউ আপনাকে না ডাকে। প্রয়োজনে কাজ শেষ করে দেখা করার বা কথা বলার প্রতিশ্রুতি দিন। এটা যদি কেউ না বোঝে, সে আসলে আপনার ভালো চায় না। তারা আপনার ওপর মনো:ক্ষূন্ন হলেও পাত্তা দেবেন না।