ডিজিটাল মার্কেটিং পর্ব-০১

অনলাইনে ব্যবসা করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকাল আমরা ইন্টারনেট এর মাধ্যমে ঘরে বসে আমাদের প্রয়োজনীয় ডিজিটাল প্রোডাক্ট কেনার পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস ক্রয় করার ক্ষেত্রেও ইন্টারনেটের সাহায্য নিয়ে থাকি।
কাজেই ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতি ফোকাস না করে এখনো আগে কার পুরনো মানুষের মত ট্রাডিশনাল মার্কেটিং নিয়ে পড়ে থাকলে, আপনি অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবেন না।
আপনি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকলে আপনাকে অবশ্যই ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হবে। কারণ,ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে প্রোডাক্ট সম্পর্কে মানুষকে সহজে জানিয়ে দেওয়ার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাইতে সহজ কোন মার্কেটিং ব্যবস্থা বর্তমানে নেই।
সঠিকভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারলে, ঘরে বসে খুব অল্প দিনে যেকোন কোম্পানির প্রোডাক্ট মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া সম্ভব হবে।
এখন যেহারে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাতে পরিষ্কারভাবে আভাস পাওয়া যাচ্ছে যে,খুব শীঘ্রই আমাদের দেশেও ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবস্থা মার্কেটিং এর বড় একটি জায়গা দখল করে নিবে।
🔰 ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
সাধারণত কোন পণ্য বা প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দিয়ে অথবা যেকোন উপায়ে প্রোডাক্ট এর ভালো দিক
তুলে ধরে সেগুলো মানুষের কাছে বিক্রি করাকে মার্কেটিং বলে।
অর্থাৎ যেকোন উপায়ে প্রোডাক্ট কোন ব্যক্তির কাছে বিক্রি করার জন্য মার্কেটিং করা হয়। ঠিক একইভাবে ইন্টারনেট, ডিজিটাল মিডিয়া ও ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করে ইন্টারনেট এর মাধ্যমে
কোন প্রোডাক্ট বা পণ্য মানুষের কাছে পৌছে দিয়ে সেগুলো বিক্রি করার কৌশলকে ডিজিটাল মার্কেটিং
বলা হয়।
মূলত ইন্টারনেট ও ডিজিটাল টেকলোজি ব্যবহার করে মার্কেটিং এর যে সমস্ত কাজ পরিচালনা করা হয়।
🔰 ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবেন?
যারা মার্কেটিং সর্ম্পকে জানেন, তারা সহজে ডিজিটাল মার্কেটিং এর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারছেন। মার্কেটিং এর প্রধান কাজ হচ্ছে, কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট মানুষের কাছে পৌছানো।
🔰 যত সহজে বেশি মানুষের কাছে প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে মানুষ প্রোডাক্ট কেনার জন্য উৎসাহিত হবে এবং আপনার প্রোডাক্ট তত বেশি সেল হবে।
🔰 ডিজিটাল মার্কেটিং এর সুবিধা কি?
১.খুব কম খরচে ছোট, বড় সকল কোম্পানি ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারবেন।
২.ঘরে বসে অনলাইনে প্রোডাক্ট এর অর্ডার পাওয়া যায় বিধায় সহজে পণ্য বিক্রি করা সম্ভব হয়।
৩.ঘরে বসে কম্পিউটার দিয়ে মার্কেটিং করা যায় বিধায় কারো কাছে যেতে হয় না।
৪.অল্প সময়ে প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন কাস্টোমারদের কাছে পৌছানো সম্ভব হয়।
৫.ওয়েবসাইটের প্রচারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সবচাইতে সহজ উপায়।
৬.ইন্টারনেটে কোম্পানির ব্রান্ড তৈরি করা যায়, যেটা অন্যকোন উপায়ে সহজে করা যায় না।
৭.এলাকা ভিত্তিক বিভিন্ন বয়সের কাস্টোমার টার্গেট করে মার্কেটিং করা সম্ভব হয়।
৮.কাস্টোমারদের সাথে অনলাইনে কমিউনিটি তৈরি করা যায়।

Newsletter Updates

Enter your email address below and subscribe to our newsletter

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *