সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং স্কিল
সোশ্যাল মিডিয়া চালানো সহজ মনে হলেও এর মাধ্যমে ওয়েবসাইট ট্রাফিক বাড়ানো আর সম্ভাব্য কাস্টমারদের খুঁজে পাবার কাজ কিন্তু বেশ কঠিন।
আমাদের দেশে ফেসবুকের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে আপনাকে মূলত এ প্ল্যাটফর্মে মার্কেটিং করার উপর সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে। এক্ষেত্রে বুস্টিং বা পেইড প্রমোশন ছাড়া ইউজারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ফেসবুকের অর্গানিক মার্কেটিং টুলগুলোর ব্যবহার শিখুন।
অন্যদিকে তুলনামূলকভাবে কম সময়ে ব্র্যান্ড পরিচিতি ও সেলস বাড়াতে হলে হয়তো আপনাকে মাঝে মাঝে বিজ্ঞাপন দিতেই হবে। তখন দরকার হবে ভালো স্ট্রাটেজি ও টার্গেটিং।
এই জন্য ফেসবুক পেইড মার্কেটিংয়ের যাবতীয় স্কিল অর্জন করুন। ভিডিও প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ইউটিউব (YouTube) পরিচিত হলেও এটি একটি সোশ্যাল মিডিয়া। তাই আক্ষরিকভাবে আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব এখানে। একটি ভিডিও চ্যানেল বানানোর মাধ্যমে সে কাজ শুরু হয়। এরপর ভিউ আর সাবস্ক্রাইবার সংখ্যা বড় করতে আপনাকে চালিয়ে যেতে হবে ইউটিউব মার্কেটিং।
কনভার্শন অপটিমাইজেশন স্কিল
অনেক সময় দেখা যায়, মার্কেটিং ক্যাম্পেইনে সবকিছু ঠিকঠাক করার পরও কাস্টমার পাওয়া যাচ্ছে না। এর পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। যেমন:
আপনার ওয়েবপেইজের গুরুত্বপূর্ণ লিংক বা বাটন হয়তো এমন জায়গায় আছে যা সম্ভাব্য কাস্টমারদের চোখে পড়ছে না।
আপনার ওয়েবপেইজের কন্টেন্ট হয়তো সম্ভাব্য কাস্টমারদের বিভ্রান্ত করছে।
আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহারে সম্ভাব্য কাস্টমারদের সমস্যা হচ্ছে।
সমস্যা যা-ই হোক না কেন, আপনাকে তা খুঁজে বের করে সমাধান করতে হবে। এ প্রক্রিয়া কনভার্শন অপটিমাইজেশন (Conversion Optimization) বলে পরিচিত। এ দক্ষতা থাকলে আপনি প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের সেলস পারফরম্যান্স ভালো করতে পারবেন। তবে এর ব্যবহার শুধু আপনার ওয়েবসাইটে আটকে নেই। মার্কেটিংয়ের যেকোনো ক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারবেন একে। যেমন, সোশ্যাল মিডিয়া। বিশেষ করে ফেসবুকের পেইড ক্যাম্পেইন থেকে কনভার্শন বাড়ানোর উপায় জানুন।