অবাক হবার কিছুই নেই, এই গ্রুপটা আমি ওপেন করেছিলামই এইজন্য যে আমার অনেক ক্লায়েন্ট আছেন আলহামদুলিল্লাহ, কিন্তু তারা সঠিক কিছুই জানেন না,আবার সঠিক গাইডলাইন মুলত ওয়ান বাই ওয়ান দেবার মত সময় আমার নাই।
একটা প্ল্যাটফর্ম চেয়েছি যেখানে আমি মনখুলে লিখবো এবং শেখাবো, অন্তত কোন অপশক্তির মাঝে থাকা লাগবেনা,যেখানে সঠিক লেখাগুলিকে এপ্রুভ করা হবেনা কিংবা করে পরে কমেন্ট ডিলেট বা অফ করে দেয়া হবেনা। যেখানে অন্তত পোস্টের রিচকে স্লো করে দেয়া হবেনা।
একটা ওপেন গ্রুপ এবং সম্পূর্ণ সঠিক শিক্ষার গ্রুপ বানাতে চেয়েছিলাম।তিন ২ বছর ৫ মাসে হয়তো আহামরি মেম্বার হয়নি কিন্তু যারা আছেন তারা সঠিক শিক্ষা আর ন্যায়-নিতীর কারনেই এইখানে আসেন ও পড়েন। আপনাদেরকে একটা স্ট্যাট দিচ্ছি আমি, এই গ্রুপে প্রতি মাসে ৩০০০০+ মানুষ লেখাপড়া করেন একটিভলি কিন্তু কমেন্ট রিয়াক্ট হয়তো করেন না।
অনেক সাইলেন্ট মেম্বার আছেন যারা মুলত গ্রুপটা থেকে সঠিক জ্ঞানটা নিচ্ছেন চুপচাপ। আমি গ্রুপের একটিভিটি ও আপনাদের শেখার জন্যই মুলত একটিভিটি রিওয়ার্ড চালু করেছি,কিন্তু এখন এসে দেখছি ব্যাপারটা অনেকটা,আপনাদের আসল রুপ প্রকাশের মত হয়েছে।
কেমন একটু ব্যাখা করি-
আমাকে আপনারা চেনেন কিভাবে?
আমার লেখা দিয়ে,এইটাই একবাক্যে সত্য।
উত্তর হলো- নাহ, এক বাক্যেই না।
আমি আমার কর্মজীবনে ক্লাসে কখনো বই হাতে করে লেকচার দিই নি,আমি কখনোই আমার ছাত্র-ছাত্রীদের হুবহু বই কিংবা গুগল থেকে পড়াই নি। আমি সব সময় নিজে একটা বিষয়ে স্ট্যাডি করেছি, নিজের মত করে রিসার্চ করেছি, তারপরে একটা কন্টেন্ট জেনারেট করেছি। আর যখন বিভিন্ন গ্রুপে সেগুলি লিখেছি তখন সেগুলি কপির উপরে কপি হয়েছে,কখনো কখনো কেউ কেউ ক্রেডিট দিয়েছে আবার কেউ কেউ ক্রেডিট ছাড়াই বড় বড় গলা দেখিয়েছে।
একটা পর্যায়ে আমি এগুলি নিয়ে মাথাব্যাথা কমিয়েছি এবং সব জায়গায় লেখা বাদ দিয়েছি কিন্তু তবুও আমার গ্রুপের থেকে লেখা কপি হয়েছে আমার ব্লগ থেকে কপি হয়েছে। এরপরে আমি ব্লগ থেকে কপি করার অপশনটাই বাদ দিয়েছি তবুও থেমে থাকেনি।
কেন হয়েছে কপি জানেন?
লেখাটা তার ভালো লেগেছে তাই।কেউ কেউ আমার সকল লেখাকে পার্ট বাই পার্ট ভাগ করে দুইটা গ্রুপে নিজের নামে লিখে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং নিজেই আইটির জ্ঞান না থাকা স্বত্তেও আইটির প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। সেখানে আবার আমার দুই একটা ক্লায়েন্ট ও চলে গেছেন ঐ লেখার প্রেমে পড়েই।
তবুও আমিই বিজয়ী দিনশেষে, কারন কি জানেন? লেখার মধ্যে নলেজ ছিলো। আমি গত এপ্রিল,২০২২ এর পরে লিখিনা কোথাও।তবু এখনো অনেকের কাছেই প্রশ্ন করলে পাওয়া যাবে,আইটির নলেজ কার লেখা পড়ে পেয়েছেন?
উত্তর আসবে- সৌভিক স্যার কিংবা ভাইয়া। এটাই একটা কন্টেন্টের স্বার্থকতা।
অথচ,আপনারা কি করছেন?
প্রথম হবার নেশায় ৮০% কন্টেন্ট নিচ্ছেন গুগল থেকে কপি করে,কিংবা কোন কবির লেখা কবিতা থেকে। এই করে কি আপনাদের মেধার বা শিক্ষার কোন উন্নতি আছে?
আপনারা গুগল থেকে পড়ুন, আমার আর্টিকেল পড়তে হবে এমন না কিন্তু আইটি বেইজ লেখা পড়ুন,পড়ে তারপরে একটা কন্টেন্ট জেনারেট করুন। দিনে ২০-২৫ টা কন্টেন্ট না দিয়ে তিনটা দেন, যেন ঐগুলা থেকে নিজেও শিখতে পারেন আর সাথে অন্যরাও শিখতে পারে।
আপনাদের অবস্থা হলো- I am GPA 5 এর মতই। আমি সব জায়গায় বলি- শিক্ষা নস্ট হবার পিছনে শুধু এককভাবে কেউ দ্বায়ি না,বরং সবচেয়ে বেশি দ্বায় হচ্ছে অভিভাবকদের। তারা কেউ বাচ্চাকে শেখাতে চাইনা,শেখাতেও পাঠাই না।সবাই পাঠায় পড়াতে আর পড়তে কিন্তু শিখবেটা কি?
সবার জি পি এ ৫ লাগবে,যেকোন মুল্যে।এখন ছাত্র-ছাত্রীদের বিচার করা হয়,তার সি জি পি এ কত এটা দিয়ে,কিন্তু সে মানুষ হিসাবে সঠিকভাবে বেড়ে উঠছে নাকি না,এই চিন্তাটা নেই। আপনার বাচ্চাকে নিয়ে আপনি এত ব্যাস্ত যে,আপনার বাবা-মা কিংবা শ্বশুর শাশুড়ী কে দেখার মত সময় নেই। এই কালচারে থেকে আপনার বাচ্চা কি শিখবে?
জানি আমার লেখা ভালো লাগবেনা কিন্তু কিছুই করার নেই, আমি এমনই।
ঠিক যেমন করে,আমরা আমাদের কালচার আর আপনজনদের থেকে নিজেদেরকে দূরে সরাচ্ছি সেভাবেই। নিজের বাচ্চাকে নাহয় যেকোন মুল্যে GPA 5 পাওয়াচ্ছেন,নিজেকেও কি তাই?
কি হবে ঐ শিক্ষা দিয়ে ,যা একটা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে শেখাই না,যা একটা মানুষের বিপদে তার দিকে এগিয়ে যেতে শেখায় না।
আসুন,আমরা শিখে তারপরে শেখানোর জন্য এবং নিজেকে যাচাই করার জন্য লিখি,এমন প্রতিযোগিতায় না নামি। আজকে থেকে এডমিন প্যানেল ও বাইরের কিছু মানুষকে নিয়ে একটা জুরি বোর্ড আমি বানাচ্ছি,তারাই সিধান্ত নিবেন- কে হচ্ছেন,মাসের শেষে গ্রুপ সেরা।