না বলার পর ক্ষমা না চাওয়াটা আপনার কাছে প্রথম প্রথম অস্বস্তিকর লাগতে পারে। কিন্তু কিছুদিন অভ্যাস করলেই ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়ে যাবে।
আপনাকে বুঝতে হবে যে, যদি আপনি কাউকে কোনও ব্যাপারে সাহায্য করতে অপারগ হন, তবে আপনার ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই। আপনি তো মিথ্যা বলেননি। ক্ষমা চাওয়ার মানে হলো, আপনি অপরাধ করেছেন, এবং সঠিক কারণে কাউকে ‘না’ বলাটা কোনও অপরাধ না। আপনি ক্ষমা চাইলে একে তো আপনার নিজের মাঝে অপরাধবোধ জাগবে, সেইসাথে যাকে না বলছেন – সে-ও ভাববে যে, আপনি চাইলে কাজটি করে দিতে পারতেন।
এখানে বলে রাখি, আপনার হয়তো মনে হচ্ছে আপনি ক্ষমা না চাইলে সে কষ্ট পেতে পারে। কিন্তু আপনি যদি আগের টিপসটি ফলো করেন, তাহলে আর এই সমস্যাটি দেখা দেবে না। হয়তো আপনার কোনও বন্ধু আপনাকে ফোন করে বলল যে তারা কয়েকজন মিলে আপনার আরেক বন্ধুর জন্মদিনের সারপ্রাইজ পার্টির প্ল্যান করছে, আপনারও সেখানে থাকা দরকার। কিন্তু আপনি সেই মূহুর্তে খুব জরুরী একটা প্রেজেন্টেশন বা পেপার রেডি করছেন। আপনি বলতে পারেন, এখন আপনার পক্ষে আসা সম্ভব না, কিন্তু কাল বার্থডে কেকটি আপনি কিনে আনবেন। – এতে আপনার বন্ধু মন খারাপ করবে না। এটাকে বলে বিকল্প সমাধান।
কিন্তু আপনি যদি আসতে পারবেন না বলার পর আবার ক্ষমা চান, তাহলে সে ভাববে আপনি না আসার জন্য অজুহাত দিচ্ছেন।