গোছানো মানুষ মানে গোছানো জীবন। আর গোছানো জীবন মানেই সফল জীবন। নিজেকে যদি গোছাতে না পারেন, তবে কোনও কাজেই সফল হতে পারবেন না। পৃথিবীতে যত সফল মানুষ আছেন, তাঁদের সবার লাইফস্টাইলই অনেক গোছানো। ছাত্র জীবন, পারিবারিক জীবন, ও পেশাগত জীবন – আপনি যেখানেই সাফল্য চান না কেন, আপনাকে গোছানো মানুষ হতে হবে।
সফল মানুষদের সবকিছুই একটি ছকে বাঁধা থাকে। সবার ছক এক রকম নয়, তাঁরা নিজের সুবিধা অনুযায়ী নিজের মত করে জীবনকে গুছিয়ে নেন – এবং সেভাবেই কাজ করেন। তাঁদের কাজ থেকে শুরু করে বিনোদন পর্যন্ত সুন্দর করে একটি ছকে বাঁধা থাকে। আর এই ছকে বাঁধা জীবনই তাঁদের সফল করে।
কিন্তু কিভাবে তাঁরা এই গোছানো জীবন তৈরী করেন?
একটা ব্যাপার খুবই স্পষ্ট ভাবে চোখে পড়ে। গোছানো মানুষদের চিন্তা ভাবনা খুব পরিস্কার থাকে। তাঁরা কখন কোন কাজটি করছেন, এবং কেন করছেন – এসব খুব ভালো করে জানেন। কোনও কাজই তাঁরা অহেতুক করেন না। বিনোদন করার পেছনেও তাঁদের একটি সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকে। তাঁরা তাঁদের উদ্দেশ্যের বাইরে অহেতুক কোনও কাজ করেন না, ফলে সময়কে অন্যদের চেয়ে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারেন।
গোছানো মানুষ হয়ে গোছানো জীবন গড়ার জন্য অনেকটা মানসিক শক্তির প্রয়োজন। আর এই শক্তি একদিনে আসে না। কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস চর্চা করার মাধ্যমে এই শক্তি গড়ে ওঠে। আপনার জন্য সুখবর হলো, আপনিও চাইলে এই অভ্যাসগুলো চর্চা করে একজন গোছানো মানুষ হয়ে নিজের জীবনকে একটি গোছানো জীবন বানিয়ে সফল হতে পরবেন।
ব্যক্তিত্বমূলক ও উদ্দেশ্যমূলক অভ্যাস:
এই অভ্যাসগুলোকে ব্যক্তিত্বমূলক বা “identity-based habits” বলা হয়। অন্য আরেক ধরনের অভ্যাস আছে, যাকে বলা হয় উদ্দেশ্যমূলক বা “Goal-based habits” – যেগুলো মূলত নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে গড়ে তোলা হয়। যেমন ধরুন ভালো রেজাল্ট করার জন্য একটানা সারাদিন ধরে পড়ার অভ্যাস করা। শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে গেলে সারাদিন ধরে পড়ার এই অভ্যাসের আর তেমন একটা প্রয়োজন হবে না।
ব্যক্তিত্বমূলক অভ্যাসের সুবিধা হলো, এই অভ্যাসগুলো একবার রপ্ত হয়ে গেলে – জীবনের যে কোনও লক্ষ্য পূরণে আপনাকে সাহায্য করবে। এই অভ্যাসগুলো সারা জীবনের জন্য আপনাকে একজন গোছানো মানুষে পরিনত করবে। গোছানো ও সফল জীবনের জন্য এই অভ্যাসগুলো চর্চা করা খুবই জরুরী।
পরের কন্টেন্টে আমরা আরো বিস্তারিত জেনে নিব ইনশাআল্লাহ।